আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন, আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।
আবারো হাজির হলাম আপনাদের সামনে একটা নতুন পোস্ট নিয়ে। আশাকরি পোস্টটা পড়ে সবার ভালো লাগবে। আমি আবার লিখব বাংলার পাখি সম্বন্ধে। চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক।
প্রকৃতির সুরম্য লীলা নিকেতন আমাদের এই বাংলাদেশ। নদী-নালা, ফল-ফুল আর পশু-পাখির দেশ এই বাংলাদেশ। পাখির ডাকে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে আর রাতে প্রহর শুনি আমরা পাখির ডাকে।
বিভিন্ন ঋতুতে আমরা এ দেশে বিভিন্ন রকমের পাখি দেখতে পাই। ঋতু বৈচিত্রের সঙ্গে সঙ্গে এসব বিচিত্র পাখি আমাদের আনন্দের খোরাক যোগায়।
প্রভাতে ঘুম থেকে উঠেই আমরা দেখতে পাই উঠানে বা গাছের ডালে নিকষ কৃষ্ণ দ্রুত কয়েকটি পাখি কা-কা রবে ঘুম ভাঙ্গাচ্ছে। এ পাখি আমাদের অতি পরিচিত কাক। কাক দুই প্রকারের, দাঁড় কাক ও পাতিকাক। পাতিকাক আকারে ছোট, কাকের স্বর অতি কর্কশ।
বেগুন গাছে টুনটুনি, ডালিম গাছের বুলবুলি, ঘরের কোণে চড়ূই আর তালগাছে বাবুই গুলো বাংলার অতিপরিচিত পাখি। এদেশ সবকটি পাখি আকারে ছোট, কিন্তু দেখতে খুব সুন্দর। গৃহপ্রাঙ্গণে আর দেখা যায় শালিক, পায়রার, মোরগ-মুরগি।
অনেক পাখি পোষা যায়। টিয়া, ময়না, কাকাতুয়া, শ্যামা, শালিক পাখি পোষ মানে। টিয়া, ময়না, কাকাতুয়া ইত্যাদি পাখি মানুষের শরীরে ছোট ছোট কথা বলতে পারে। টিয়া ও ময়না দেখতে বেশ সুন্দর।
টিয়ার হরিৎ শ্যামল, মিশ্র ও লাল রংয়ের ঠোঁট দুটি দেখতে সত্যিই সুন্দর। ময়না কালো পাখি, এর গলায় আছে একটি হলদে রেখা। কাকাতুয়া সাদা পাখি, এর গলায় দেখা যায় কালো রেখা।
পাখির আশ্চর্যরকম পোষ মানা অদ্ভুত খেয়ালের গল্প রূপকথায় পাওয়া যায়। বেঙ্গমা বেঙ্গমির গল্প, হীরামন পাখির অদ্ভুত কাহিনী, সুখ সারির কথা আমরা জানি। পোষা পায়রার দত্ত কাজের কথা এ যুগেও শুনতে পাওয়া যায়।
বাংলা শ্যামল প্রকৃতির উপযুক্ত করে যেন মহান আল্লাহ পাখিগুলোকে সৃষ্টি করেছেন। শরতের নীল আকাশে শুভ্র বালাকা কার মনে না ভাবাবেশে সৃষ্টি করে। বসন্তের অম্র মুকুল কোকিলের কুহুতান না শুনলে ব্যর্থ হয়ে ঝরে যায়। তেমনি ময়ূরীর কাকা ধ্বনিতে বর্ষা প্রকৃতির আরো গভীর হয়ে ওঠে। সিলেট ডাকে গ্রীস্মের সূর্য ধরণী পক্ষে আরো আগুন লাগায়। আমরা টিয়া ময়না আর কাকাতুয়া সঙ্গে অলস মুহূর্তগুলোকে আনন্দময় করে তোলে। শুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকি সেই দূরে বলাকার পানে।
নদী-নালা দেশ বাংলাদেশ। তাই পানি ও পুকুরের কাছে গেছে বহু পাখি দেখতে পাওয়া যায়। পানির পাখি হাঁস হাঁস আর পদ্ম দীঘির কালো পানির বন্যানা না দিলে বর্ণনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বলাকা অতি সুন্দর পাখি। সন্ধ্যায় যখন নীল আকাশের উপর দিয়ে পাখা মেলে বলাকার উড়ে যায় তখন কতই না সুন্দর দেখায়। বদ বিল-ঝিল ও বা পুকুরের পাড়ে বসে মাছ ধরে খায়। কাকের নায়ক কর্তৃক চেষ্টা এবং বকের মতো ধ্যানই মানুষকে কার্য সাধনায় সহায়তা করে।
আজ এই পর্যন্তই থাক। আমার পড়াটা পরিদর্শন করার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সবাই।