আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আমি ভাল আছি।
আমি এবার লিখতে যাচ্ছি বাংলাদেশে দুর্নীতি ও তার প্রতিকার' সম্বন্ধে। কিভাবে বাংলাদেশের দুর্নীতি হয় এবং তার প্রতিকার কিভাবে করা যায় এবারের পোস্টে আমি তা তুলে ধরার চেষ্টা করব।
দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় গুলো:
Sorsce
আমরা জানি সন্ত্রাস, কালো টাকা, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন দুর্নীতিকে দিয়েছে ভয়াবহ রূপ। যার ফলে সাধারণ মানুষ তার মৌলিক অধিকার থেকে ধীরে ধীরে বঞ্চিত হচ্ছে। লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার।
রাষ্ট্রীয় সংস্থা, সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ইতিমধ্যে দুর্নীতির অতল গহব্বরে নিমজ্জিত। এই অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতেই হবে। আমাদের উপলব্ধি করতে হবে অনেক সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা দেশকে এভাবেই পতনের দিকে আমরা ঠেলে দিতে পারিনা।
রাজনীতি, অর্থনীতি যেহেতু একটি দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক, তাই সুনীতির প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নকে প্রতিরোধ করতে হবে সর্বাঙ্গে। যেহেতু রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিস্তার রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের পথে খুলে দিয়েছে তাই দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ও এক্ষেত্রে সংস্কার করে নৈতিকভাবে উন্নত লোকদের নিয়োগ দিতে হবে।
সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করতে হবে। অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রে সর্বক্ষেত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়ের ভিত্তিক মজবুত করতে।
দুর্নীতির অভিশাপ থেকে আমাদের এ দেশকে ও জাতিকে বাঁচাতে হলে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা, জনপ্রতিনিধি, আমলা, পুলিশ, কর্মচারী, পেশাজীবীদের চিহ্নিত করে তাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামাজিকভাবে নিন্দিত করতে হবে এবং সঠিক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সত্তিকারের দেশপ্রেমিক' জনদরদী নেতা নির্বাচিত করতে হবে। দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের প্রতি সমাজের সব মানুষের ঘৃণা জাগিয়ে দিতে হবে।
তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। এ আন্দোলনে স্লোগান হতে পারে "দুর্নীতি বাজদের কে মন থেকে ঘৃণা করো, দুর্নীতির হাত থেকে আমাদের দেশকে রক্ষা করো, আমাদের দেশে এটাই সময় দুর্নীতিবাজদের প্রতিরোধ করার"।
দুর্নীতি মূলোৎপাটনে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। একাজে সৎ, নির্লোভ ও দেশ প্রেমিক লোকদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। গণমাধ্যম, এনজিও, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
কালো টাকার মালিক ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের পথ রুদ্ধ করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রত্যাশিত উন্নয়নের জন্য সুশাসনের বিকল্প কিছু নেই।আজকালকার দিনে একজন মানুষ অন্য আরেকজন মানুষের দ্বারা দুর্নীতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুর্নীতির বিষয়বস্তু যেকোনো ধরনের হতে পারে।
তাই আমাদেরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যাতে নিজে এবং অপর কেউ যাতে দুর্নীতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের সমাজের প্রতি নিজেরা সতর্ক থাকলে দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার লেখাটা কষ্ট করে পড়ার জন্য।