যোগাযোগের সঙ্গে উন্নয়নের সম্পর্ক প্রায় হবে সেদ্ধ হয়ে পড়েছে। উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে, যোগাযোগের সাথে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নের যোগ অবিচ্ছেদ্য।
Sorsce
যেমন বলা যেতে পারে পরিবহন যোগাযোগ উন্নত হলে কৃষিজাত পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল সহজে, স্বল্প ব্যয়ে স্থানান্তর করা সম্ভব। উৎপাদন ও বিপণন সহজতর হয়। এতে শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার ঘটে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হয়। তাই বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসেবে যোগাযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। তাই যোগাযোগব্যবস্থা আমাদের খুবই প্রয়োজন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অকল্পনীয় গতিশীলতার বিশ্ব আজ প্রবেশ করেছে যোগাযোগ ও তথ্য বিপ্লবের যুগে। মানুষ ক্রমাগত তার জীবন যাপনে স্থানের দূরত্ব, সময় এর সীমাবদ্ধতা, প্রতিকূল বাধা কাটিয়ে নিজেকে যুক্ত করেছে যোগাযোগের মহাসড়কে।সামর্থ্য হয়ে উঠেছে যোগাযোগের ও উন্নয়নের প্রকল্প বাধা।
যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রকারভেদ:
যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগ, রেল যোগাযোগ, নৌ যোগাযোগ, বিমান যোগাযোগ,ই-মিডিয়া অর্থাৎ মোবাইল, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগ।
বিশ্ব ব্যবস্থার বহুমাত্রিক প্রক্রিয়াকে বিশ্বায়ন বা গ্লোবালাইজেশন বলা হয় কারণ বিশ্বায়নের ফলে মানুষ ভাষার ব্যবধান, ভৌগলিক দূরত্ব, সাংস্কৃতিগত পার্থক্য, আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতা ইত্যাদি অন্তরও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে।
সড়ক, রেল, নৌ, বিমান, যোগাযোগ:
সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি নির্ভর ও গ্রামভিত্তিক কাঁচামাল, শিল্প পণ্য সরবরাহ ও উৎপাদিত পণ্য দ্রুত স্থানান্তর সহজ হয়েছে। কৃষি উন্নয়ন ও শিল্প উন্নয়ন, কৃষি ও শিল্প জাত পণ্য বাজারজাতকরণ, যাতায়াত ও পরিবহন, বনজ সম্পদের সংগ্রহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সড়ক যোগাযোগ এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
পরিবহন ব্যবস্থার সঙ্গে বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবিকার প্রশ্ন জড়িত। পল্লী উন্নয়ন এই দেশের উন্নয়ন এবং তার জন্য সড়ক যোগাযোগের বিশেষ অবদান রয়েছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে, সম্প্রসারিত হচ্ছে সড়ক উন্নয়ন ব্যবস্থা এতে যাত্রীসাধারণ ও মালামাল পরিবহনে সুবিধা অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে রেলপথের গুরুত্ব কম নয়। যাত্রী পরিবহন, পণ্যসামগ্রী পরিবহন, কৃষি ও শিল্প উন্নয়ন বাজারব্যবস্থা সম্প্রসারণ, গ্রাম ও শহরের মধ্যে যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, রাজস্ব আয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে রেলপথের অবদান অপরিসীম ভূমিকা পালন করছে।