বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ ।
প্রিয় ভাই ও বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আমরা রাতের আকাশে তো অনেক তারকা দেখতে পাই। আবার দূরবীন দিও অনেক তারকা আকাশে দেখা যায়। এছাড়া হাজার হাজার কোটি তারকা আছে যা আমরা দূরবীনের সাহায্যে দেখতে পারিনা।
এখন আসুন আমরা প্রথমে আগে জেনে নিই যে, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব কত? আবার এক তারকা থেকে আরেক তারকার দূরত্ব কত? তা জানতে হলে আমাদেরকে প্রথমে বুঝতে হবে আলোক বর্ষ কি।
মাইল বা কিলো মিটার দিয়ে আমরা সাধারণত দূরত্ব হিসাব করি থাকি।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে যে, এখান থেকে মক্কা শরিফের দূরত্ব প্রায় তিন হাজার মাইল। এরপর আমেরিকার দূরত্ব সাত হাজার মাইল। এমনকি চাঁদ ও সূর্যের দূরত্বও মাইল বা কিলোমিটার দিয়ে হিসাব করা যায়। যেমন পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় 2 লক্ষ 38 হাজার 8 শত 50 মাইল। আর সূর্যের দূরত্ব 9 কোটি 30 লক্ষ 3 হাজার মাইল।
কিন্তু এই বিশাল মহাকাশ এবং তাতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা তারকাদের দূরত্ব যদি মাপতে চাও তাহলে মাইলের হিসাবে মাপা সম্ভব নয়। ঝিনুক দিয়ে সাগর সেচা আর মাইল দিয়ে মহাকাশ মাপা একই কথা । তাই বিজ্ঞানীরা মহাকাশের দূরত্ব মাপার জন্য চিন্তা করে আলোকবর্ষ নামে একটা মাপ বের করেছেন।
বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন আলোর গতি সেকেন্ডে এক লাখ ছিয়াশি হাজার দুই শ চৌরাশি মাইল। এই গতিতে সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে লাগে আট মিনিট আঠারো সেকেন্ড। এক বছরে এই আলো যত দূর যায় সে দূরত্বকে বলে এক আলোকবর্ষ।
পৃথিবী থেকে একটা তারকার দূরত্ব যদি হয় এক হাজার আলোকবর্ষ, এক লক্ষ আলোক বর্ষ, এক কোটি আলোকবর্ষ কিংবা আরও বেশি হয় তাহলে কল্পনা করতে পারেন, এই মহাকাশের কোথাও কোনো খুঁটি নেই। মহাবিশ্বের কোথাও কোনো খুঁত নেই, কোন ত্রুটি নেই। আল্লাহ তাআলা এসব কিছুর নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। সেই নিয়মেই সবকিছু চলছে এর কোন ব্যতিক্রম হচ্ছে না। আর কারো কোন অভিযোগ ও নেই। আল্লাহ এই মহাবিশ্বের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন।
কোরআন শরীফে আল্লাহ তা'আলা বলছেন - তিনি স্তরে স্তরে সাতটি মহাকাশ সৃষ্টি করেছেন। তুমি করুনাময়ের সৃষ্টিতে কোনো অসঙ্গতি দেখতে পাবে না। আবার তাকাও, কোন খুঁত দেখতে কি পাও? বার বার তাকাও, তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে।।
বাকিটা ধারাবাহিক ভাবে আগামী পর্বে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ,,,,