Good deeds.

in r2cornell •  3 years ago 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

সমস্ত প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের, যিনি আমাদেরকে হায়াতে তাইয়্যেবা দান করেছেন, এবং আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।

আজকে আমার আলোচ্য বিষয় হলো,,,

,,, নেক আমলে বিলম্ব করো না,,,
মানুষের অন্তরে কখনো কখনো আল্লাহ তাআলার বরাদ্দ ও মহত্ত্বের উদ্ভাস দেখা দেয়। তখন তার অন্তর নেক কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়। আর এই সময় শয়তান খুব পরিশান হয়ে পড়ে। শয়তান বুঝতে পারে যে, এখন তাকে নেক আমল থেকে বাঁধা দিলে বাঁধা সে মানবে না। কেননা তাঁর কল হবে এখন নূরের উদ্ভাস রয়েছে। তাই সে বান্দাকে এই বলে ধোঁকা দেয় যে, নেক আমল তো করতেই হবে। তবে জোয়ান বয়সে একটু আমোদ ফুর্তি করে নাও। যখন বয়স হবে, চুল দাড়ি পেকে যাবে, তখন তুমি ইবাদত বন্দেগিতে এমনভাবে ডুবে যাবে যে, মসজিদ থেকে বেরই হবে না।

আর এভাবেই কিন্তু তার দিন গড়িয়ে যায়, আয়ু ফুরিয়ে যায় সেই আমলটি আর শুরু করা হয় না, দাড়ি রাখা হয় না, নামাজ আর শুরু করা হয় না। আর যারা দ্বীনদার নেককার, হঠাৎ বিশেষ কোন একটা নেক আমলের জজবা অন্তরে এসেছে শয়তান তখন তাকে এই বলে ধোঁকা দেয় যে, আজ না হয় থাক আগামীকাল থেকে শুরু করবো। এভাবে প্রতিদিন তাকে আগামীকালের প্রলোভন দেখায়। কিন্তু সেই আগামীকাল তার জীবনে আর আসে না।

তাই এক আল্লাহর অলি বলেছেন, দিলে নেক আমলের ইচ্ছা হওয়ার সাথে সাথে তা শুরু করা উচিত। কেননা পরে হয়তো এ সুযোগ নাও থাকতে পারে, এমনকি এখন যে আগ্রহ আছে তা পড়ে নাও থাকতে পারে। তখন আর আফসোস ছাড়া কিছুই জুটবে না।

বুজুর্গানে দ্বীন বলেছেন, অন্তরে যে নেক আমলের জযবা পয়দা হয় সেগুলো প্রকৃতপক্ষে বান্দার কাছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে পাঠানো মেহমান। মুমিনের অবশ্যই কর্তব্য হলো আল্লাহর পাঠানো মেহমানের কদর করা। অন্যথায় এমন আশংকা আছে যে, আল্লাহ বলবেন, এই বান্দা বড় না শোকর, বড় বে-কদর।

আর তখন আল্লাহ এই বান্দার অন্তরে আর নেক আমলের জযবা ও আগ্রহ দান করেন না।

তাই নেক আমলের ইচ্ছা দিলে আসার পর কোন অজুহাতই সেটাকে বিলম্বিত না করা উচিত। বরং সাথে সাথে আমল শুরু করে দেওয়া উচিত।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নেক আমলে বিলম্ব না করে সাথে সাথে করার তৌফিক দান করুন আমিন।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!