আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।
Sorsce
আবারো হাজির হলাম আরেকটি আমার নতুন পোস্ট নিয়ে। স্বাগতম আমার নতুন পুষ্টি দর্শন করার জন্য। আমি এবার লিখবো কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিস্ময়কর অবদান সম্পর্কে।
আধুনিক বিজ্ঞান যেন আলাদিনের প্রদীপ। তার নব নব আবিষ্কারের ফলে মানব সভ্যতা ও উন্নতির উচ্চ শিখরে আরোহন করেছে। কম্পিউটার আধুনিক বিজ্ঞানের যুগান্তকারী ও বিস্ময়কর আবিষ্কার। বর্তমানে কম্পিউটারে কাজ বিশেষ করে হিসাব নিকাশ সহজসাধ্য এবং দ্রুত সম্পন্ন করে দিচ্ছে। মানুষের মস্তিষ্কের মতকে বলা হয় যন্ত্র মস্তিষ্ক।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের উদ্ভাবন:
চার্লস ব্যাবেজ নামক ব্রিটিশ গণিতবিদ মানুষের মস্তিষ্কের সাহায্য করার জন্য যন্ত্রণা লিখে যান, কিন্তু আধুনিক কম্পিউটার যন্ত্র বোনের কর্তৃত্ব অর্জন করেন মার্কিন বিজ্ঞানী হাওয়ার্ড ১৯৩৭ সালে। হাজার ১৯৪৪ সালে হার্ভার্ডে বুদ্ধি কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করা হয়।
এনালগ কম্পিউটার এর কাজ:
১৯৪৪ সালে উদ্ভাবন কালে এনালগ কম্পিউটারে কাজ ছিল দ্রুত গণনা করা। অতঃপর দ্রুত থেকে দ্রুততর গণনার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে এর সাহায্যে এক সেকেন্ডে ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ সময়ে যোগ বিয়োগ করে ফেলা, পরবর্তীতে সেকেন্ডের কয়েক হাজার ভাগের এক ভাগ সময়ে গুন ভাগ করতে পারা সম্ভব হয়।
পরে আরও উন্নতি হলে এনালগ কম্পিউটার এ জটিল পদ্ধতির সাহায্যে যোগ বিয়োগ ভাগ পূরনসহ আনুপাতিক পার্থক্য ঠিক করা সম্ভব হয়। এনালগ কম্পিউটার খুব দ্রুত এবং জটিল সমস্যার সমাধান করে দিতে সক্ষম হয়।
ডিজিটাল কম্পিউটারের কাজ:
ডিজিটাল কম্পিউটারের অনেক রকম কাজ করে। এটা এনালগ কম্পিউটার এর কাজও করে এবং অন্য কম্পিউটারে ভুল ধরে তার সমাধান করতে পারে।
কম্পিউটারে কর্মপদ্ধতি:
বর্তমান যুগে কম্পিউটারের মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। তা মানুষের চেয়েও দ্রুত এবং অনেক বেশি কাজ সম্পন্ন করতে পারে। কম্পিউটার পদ্ধতিটিকে মোটামুটি পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
কম্পিউটারে ভাষা:
কম্পিউটারে থাকে নিজস্ব ভাষা। কম্পিউটারের ভরে দেয়া তথ্য ও সংকেত কে কম্পিউটারের নিজস্ব পরিভাষা অন অফ একক বা শূন্য মাথা। কম্পিউটারে যার মাধ্যমে ভাষাকে অংকে পরিনিত বা পরিবর্তন করা হয় তাকে বলা হয় বিটম। সংখ্যা হল 6 টি এস টি প্রয়োগের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করা হয়।
এগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন দেখতে এগুলোর টাইপরাইটারের মত মনে হলো কর্মপদ্ধতি আলাদা। সুনির্দিষ্ট নিয়ম ও কর্মপদ্ধতি মাধ্যমেই এগুলো শেখা যায়।
কম্পিউটারের ব্যবহার:
বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি, সামরিক-বেসামরিক সকল ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার করা হচ্ছে। হিসাব-নিকাশ, লেখাপড়া, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পরিকল্পনা, আবহাওয়া, সংবাদ সংগ্রহ, তথ্য আদান-প্রদান, যুদ্ধ-বিগ্রহ, চিকিৎসা, গবেষণা, শিল্প-কারখানা, যোগাযোগ, মহাশূন্য, গবেষণা ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার হচ্ছে।
মানুষের শ্রমসাধ্য ও মস্তিষ্কের কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে সহজে দ্রুততর সময়ে সম্পন্ন হচ্ছে।