বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন, আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আবারো হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে আমি আমার নতুন আরেকটি লেখা নিয়ে।
আমি আবার লিখব অ্যাসিরীয় সভ্যতা সম্পর্কে। আশা করি আমার লেখাটি পড়ে সবার ভালো লাগবে।
Sorsce
আসিরীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সংমিশ্রণে গড়ে উঠেছিল। কারণ বহুদিন ধরেই ব্যবিলিয়ন আসিরিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল। আসেরীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতি সমসাময়িক অন্যান্য সভ্যতা ও সংস্কৃতি থেকে অনেক বেশি ধার করেছিল। তবে ধার করা হলেও আসেরীয় সভ্যতা আলো ছড়াতে সক্ষম হয়েছিল সভ্যজগতে। আসেনি ওরা অন্যান্য সভ্যতার অনুকরণ করেছে সত্য তবে কিছু ক্ষেত্রে যেমন ভাস্কর্য, স্থাপত্য ও চিত্রকলা ক্ষেত্রে তারা মৌলিক অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছিল। সেনা চেরি নামক একজন আসে ধনপতি নির্মাতা হিসেবে খুবই বিখ্যাত ছিলেন বলে জানা যায়।
তিনি আসরিয়ার রাজধানী নিনেভা পুনঃ নির্মাণ করেন। সুসজ্জিত রাজধানী সূর্যের আলোতে অনেক বেশি দীপ্তমান হয়ে ওঠে। সেনা চেরি ছাড়াও আশূর্বানিপাল নামে একজন বিখ্যাত সম্রাট আসে রিয়াদের শাসন করেন। আশুলিয়ার মধ্যে আশূর্বানিপাল প্রাচীনকালের বহু মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ সংগ্রহ করে এক বিরাট পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। আসরিয়া দের মধ্যে এ পাঠাগার জ্ঞানের আলো বিতরণ করেছিল।
অ্যাসিরিয় সমাজের দাস ও নারীর অবস্থা:
অ্যাসিরীয় সমাজের দাস প্রথা প্রচলিত ছিল। তবে অন্যান্য সভ্যতার সে আসিরীয় দাসরা মোটামুটি ভালো অবস্থানে ছিল। অ্যাসিরীয় সমাজে নারীদের তেমন মূল্যায়ন করা হতো না বলে স্বামীর স্ত্রী গ্রহণ এবং তালাক দিতে পারতো। স্বামীরা স্ত্রীদের সাথে দাসের মতো আচরণ করতো। অভিজাত মহিলাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিতে দেখা যেত। অভিজাত নারীদের কেউ কেউ পর্দা প্রথা মেনে চলত এবং অনেকেই রাজনীতির বদৌলতে প্রদেশের শাসন কর্তা হয়ে যেতেন।
অ্যাসিরীয়দের রোমান্স অফ এশিয়া বলা হয়ে থাকে। অনেক বড় বড় যুদ্ধে জয়ী হওয়া অ্যাসিরীয়রা রোমানদের মত বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হয়ে ওঠে। যুদ্ধবিদ্যায় এরূপ পারদর্শিতার জন্য তাদের এশিয়ার রোমান বলা যুক্তিযুক্ত। এশিয়ার রোমান বলা তাছাড়া অ্যাসিরীদের অনেক কার্যক্রমে রোমানদের কার্যক্রমের সাথে মিলে যায়। রোমানদের ঘের দখল করে তাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ভালো দিকগুলো গ্রহণ করেছিল, ঠিক তেমনি অ্যাসিরীয়রা ওরা ব্যাবিলন অধিকার করে তাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতি গ্রহণ করেছিল।
আমার লেখা টি কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।