সামাজিক রীতি ও শিষ্টাচার : যে সমাজ যত সভ্য, তার লোকব্যবহার তত মার্জিত, সম্ভাবমূলক এবং সুরুচিব্যঞ্জক। সেই লোকব্যবহারকে কোথাও কোথাও আন্তরিকতাহীন, বাহ্যিক রীতিমাত্র বলে ভ্রম হয়। সামাজিক অনুষ্ঠানে সৌজন্য এবং সৌষ্ঠব রক্ষার জন্য কতকগুলো সাধারণ সর্বজনীন রীতি অনুসরণ করে চলতে হয়। ভদ্রতা বাইরের আচরণীয় রীতিমাত্র নয়। রীতি শুধু বাইরের অভ্যাসমাত্র, তাতে অন্তরের স্পর্শ থাকে না। শিষ্টাচার অন্তরের বিকশিত কুসুম, হৃদয়ের অমূল্য সম্পদ।
Sorsce
মনুষ্যত্বের নিয়ন্তা : সবার আগে মানুষের সঙ্গে মানুষের সদাচরণ ও প্রীতির সম্পর্ক চাই। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, “আমরা মানুষ, মানুষের মধ্যে জন্মেছি। এই মানুষের সঙ্গে নানা প্রকারে মেলবার জন্যে, তাদের সঙ্গে নানাপ্রকার আবশ্যকের ও আনন্দের আদান-প্রদান চালাবার জন্য আমাদের অনেকগুলো প্রবৃত্তি আছে।" বাস্তবিকই মানুষের সঙ্গে মানুষের শিষ্ট সুন্দর সম্পর্কই বৃহত্তর সমাজ রচনা করে। পিতামাতা, ভাইবোন, পুত্রকন্যা, আত্মীয়-প্রতিবেশী ইত্যাদি নানারূপে মানুষের পরিচয়। এই পরিচয়কে সত্যসুন্দর করে প্রীতির আচরণ। শুধু তা ই নয়, দুঃখী আর্তের প্রতি করুণা ও সেবা, সম্মানিতের প্রতি শ্রদ্ধা, নেতার প্রতি আনুগত্য, প্রতিবেশীর প্রতি সখ্যতা ইত্যাদি অজস্র দিক দিয়ে প্রত্যেকের সম্পর্কের গণ্ডিরেখা নির্মিত হয়েছে। এই আদর্শ আচরণবিধিই নিয়ন্ত্রিত জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়, যেমন ব্যাত্যাবিক্ষুদ্ধ সমুদ্রের নৌকার হাল নৌকাকে নিয়ন্ত্রণ করে লক্ষ্যে নিয়ে যায়। কাজেই পরিবারের মধ্যে আপনজনের আত্মীয়তা না হলে পরিবারের চলে না, সমাজ ও রাষ্ট্রেরও চলে না। ব্যক্তিজীবনে কঠিন অভ্যাসের মধ্য দিয়েই গড়ে তুলতে হয় এসব আন্তর বহিরাচরণ। শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ গড়া থেকেই সবাইকে সতর্ক করায়, অশিষ্ট, অন্যায়, উদ্ধৃত এবং ইতরোচিত ব্যবহার থেকে বিরত করায়; মিথ্যাবাদিতা, নির্লজ্জতা, গূঢ় ভাষণ বা অপ্ৰিয় ভাষণ, বুচিহীন, অশালীন, ৷ উত্তেজক পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান ইত্যাদি অসামাজিক উপসর্গগুলো সম্পর্কে আত্মসচেতন করায়।
The first half plagiarised from here - https://www.myallgarbage.com/2017/11/etiquette.html