অধ্যবসায় ও প্রতিভা : কেউ কেউ মনে করেন, অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী না হলে বড় কাজ সাধন করা যায় না। কিন্তু অধ্যবসায় ও পরিশ্রম ছাড়া শুধু প্রতিভায় কাজ হয় না। মহাবিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন বলেছেন, “আমার আবিষ্কারের কারণ প্রতিভা নয়, বহু বছরের চিন্তাশীলতা ও পরিশ্রমের ফলে দুরূহ তত্ত্বগুলোর রহস্য আমি ধরতে পেরেছি।
Sorsce
অস্পষ্টতা হতে ধীরে ধীরে আমি স্পষ্টতার দিকে উপস্থিত হয়েছি।" দার্শনিক ভলতেয়ার বলেছেন, “প্রতিভা বলে কিছুই নেই। পরিশ্রম ও সাধনা করে যাও, তাহলে প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করতে পারবে।" ডালটন বলেছেন, “লোকে আমাকে প্রতিভাবান বলে, কিন্তু আমি পরিশ্রম ছাড়া আর কিছুই জানি না।” অর্থাৎ প্রতিভাকে সফল করতে হলে অধ্যবসায় প্রয়োজন। ছাত্রজীবনে অধ্যবসায় : ছাত্রজীবনে অধ্যবসায়ের একান্ত প্রয়োজন। আলস্যপরায়ণ ও শ্রমবিমুখ ব্যক্তি কখনো বিদ্যালাভ করতে পারে না। অল্প মেধাশক্তিসম্পন্ন ছাত্রও অধ্যবসায়ী হলে সফলতা লাভ করতে পারে। কোনো ছাত্র একবার অকৃতকার্য হলে হয়ত পরিবার থেকে তাকে নানা ভর্ৎসনা শুনতে হয়, তাই বলে তাকে উদ্যম বা ধৈর্যহারা হলে চলবে না। আগের চেয়ে অধিক মনোবল নিয়ে তাকে চেষ্টা করতে হবে। তবে সাফল্য আসবেই। এ সভ্য উপলব্ধি করেই কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার লিখেছেন
“কেন পান্থ ক্ষান্ত হও, হেরি দীর্ঘ পথ উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?"