পিতামাতার সেবা শুরুষা করা সন্তানের প্রধান কর্তব্য। তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এতটক দেরি করা
হবে না, কেননা তাতে তাঁরা মনে কষ্ট পেতে পারেন। তাঁদের সেবাযত্নের বিন্দুমাত্র ত্রুটি যাতে না ঘটে, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে। পিতামাতার
Sorsce
বৃদ্ধ বয়সে উপযুক্ত সন্তান স্ত্রী ছেলে-মেয়ে নিয়ে অন্যত্র চলে গেলে সে মহাপাপী হবে। সন্তানের সবসময় মনে রাখতে হবে, শিশুকালে পিতামাতা তাকে মানুষ
তোলার জন্য যত্ন নিয়েছেন, লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন এবং বড় হলে মুখে শান্তিতে বসবাসের জন্য যথারীতি চেষ্টা চালিয়েছেন। তাই আজীবন
জ্ঞতা প্রকাশ করলেও সন্তানের কর্তব্য পালন করা হবে না, বৃদ্ধ বয়সে পিতামাতা যাতে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারেন সেদিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি
হতে হবে এবং তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যদি কোনো সন্তান পিতামাতার প্রতি অযত্ন ও অবহেলা দেখায় তবে তার পাপের শেষ থাকবে না।
পিতামাতার প্রতি সম্মান : প্রত্যেক ধর্মেই পিতামাতাকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে এবং তাঁদের সন্তুষ্টি বিধান করতে বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআন
শহছে ভক্তি ও শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে আল্লাহর পরেই পিতামাতার স্থান নির্দিষ্ট করা হয়েছে। হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র), হযরত বায়েজীদ
বেজামী, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রমুখ পিতামাতার বাধ্য ও অনুগত ছিলেন। এজন্য তাঁরা আজ স্মরণীয় হয়ে আছেন। সুতরাং তাঁদের মনে কষ্ট
হয় এমন কাজ কখনো করা উচিত নয়। নানা ধর্মে ও নানা মতে ব্যক্ত পিতামাতার সম্মান রক্ষার দায়িত্ব পালন করার জন্য প্রত্যেক মানব সন্তানকে সচেতন হওয়া দরকার। পিতামাতা সন্তানের পরম হিতৈষী। এমন আপনজন দুনিয়াতে আর কেউ নেই। অল্প বয়সে যে ব্যক্তি পিতামাতাকে হারায় সে এ বতে সত্যি ভাগ্যহীন। পিতামাতার স্নেহ, মায়ামমতা বেহেশতের শ্রেষ্ঠ দান। তা যে ব্যক্তি বেশিদিন ভোগ করতে পারে, তার জীবন বেশি ধন্য হয়। পিতামাতার প্রতি কর্তব্য পালনের মাধ্যমে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করে পৃথিবীতে স্মরণীয় বরণীয় এবং মর্যাদা লাভ করা যায়।