লক্ষ্মণ বোঝা যাচ্ছে না!....
প্রতিটা রোগের বিশেষ কিছু রোগের বিশেষ কিছু লক্ষ্মণ থাকে। যেটা দেখে রোগটা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। এরপরও যদি রোগটা চিহ্নিত করা না যায় তাহলে নানা ধরনের পরিক্ষা করা হয়। যার মাধ্যমে রোগটা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে যখন একজন মানুষের শরীরের বিভিন্ন সমস্যায় এক সাথে জরিয়ে যায় তখন তাকে কি ধরনের ঔষুধ দেওয়া হবে বা কোন ধরনের খাবার খাওয়ানো হবে সেটা নিয়ে দিধা দন্দে পরতে হয়। একটা রোগ নিরাময় করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে অন্য আর একটা বেড়ে যাচ্ছে। সব দিক বিবেচনা করেই সকল রোগগুলো নিরাময় করতে হবে। তা না হলে খারাপ কিছু হয়ে যেতে পারে।
গত ৬ দিন হলো আমার মা কে নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি। প্রথমে ডেঙ্গু পজিটিভ হয়। তার ২ দিন পর আবার এজমা ধরা পরে। এরপর গত পরশু দিন আবার ফুসফুসে পানি জমছে ডাক্তার বলছে। এরপর হাই ব্লাড প্রেসার। সব কিছু যেনো একসাথে জরিয়ে গিয়েছে। এজন্য সুস্থ হয়ে উঠতে একটু দেরি হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা খুব তারাতারি মাকে সুস্থ করে দিবেন। হাসপাতালে আসলেই মানুষের আহাজারি আর অসুস্থতা দেখলে নিজের কাছে খুবই খারাপ লাগে। মানুষ এখানে কতটা অসহায়। কতশত টাকা যেনো খরচ করতেছে প্রিয়জনের জন্য। তাও যেনো একটু সুস্থতার দেখা যাচ্ছে না।
রক্তের প্লাটিলেট বাড়তে দেরি হচ্ছে এজন্য মাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিচ্ছে না। সব সমস্যা একসাথে হওয়ার কারণে প্লাটিলেট বাড়তে দেড়ি হচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা যেনো তারাতারি সকল সমস্যা সমাধান করে দেন। (আমিন). সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমাদের পরিবারে লোক কম। মাকে যে বাড়ি নিয়ে গিয়ে রাখব। সেটাও সম্ভব না। কারণ এখানে হাসপাতালে তাও আপু, আমি এবং আমার ছোট খালা মায়ের পাশে আছি৷ বাড়ী নিয়ে গেলে সবাই তো নিজ নিজ বাসায় চলে যাব তখন মা একা একা ভালো ভাবে চলতে পারবে নানে। এজন্য বাড়ীতে ভালো ভাবে সুস্থ না হলে নিয়ে যাচ্ছি না।
মানুষের বাহ্যিক দিক দিয়ে সুস্থ মনে হলে, তারা কেউ যেনো শারীরিক এবং মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ নয়। সবাই যেনো একটু শান্তি আর সুখ খুজতে চায়৷ হাজার হাজার টাকা দিয়ে হলেও যেনো সবাই শান্তিকে আনতে চায়। যাই হোক আল্লাহ তায়ালা যেনো সবাইকে সুস্থতা দান করেন। (আমিন).
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
ধন্যবাদ৷