কলেজের প্রজেক্ট
ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারিং যেনো শেষ হয়ে ও শেষ হচ্চে না। নানা ধরের নিয়মের বেরাজালে আবার আটকে যাচ্ছি। এখন আমার অষ্টম পর্ব চলতেছে। গত মাসের ৩১ তারিখে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং শেষ হয়েছে। ভাবলাম, আর হয়ত কোনো কিছু করা লাগবে নানে। শুধু অষ্টম পর্বের ভাইবা দিলেই হবে। কিন্তু পরেই দেখি আমাদের ডিপার্টমেন্টের সিআই স্যার নোটিশ দিয়েছে যে কলেজে আবারও এক মাস ট্রেনিং করতে হবে, এবং প্রজেক্ট তৈরি করে জমা দিতে হবে। এদিকে এডমিশন দেওয়ার জন্য আমি কোচিং করা শুরু করেছি, পড়াশুনার চাপ, এর পাশাপাশি কলেজের নানা ধরনের নিয়ম কানুন। কলেজের প্রজেক্ট জমা দেওয়ার জন্য চলতি মাসের এক তারিখে আমি গাজিপুর থেকে আবারও বাসায় এসেছি৷
কলেজে এসে সবার কাছ থেকে প্রথমে ৩০০ টাকা করে চাদা তুললাম। এরপর আমাদের স্যার আমাদের গ্রুপে মোট ৪ টা প্রজেক্ট দিয়েছিল। একদিন লাগল আমাদের টাকা তুলতে। পরের দিন আমরা কয়েকজন গেলাম, প্রজেক্টের জন্য মালামাল কিনতে। এরপর পরের দিন থেকে শুরু হলো আমাদের প্রজেক্ট তৈরির কাজ। ৪ দিনের মধ্যে আমরা আমাদের প্রজেক্টের কাজ শেষ করলাম৷ কিন্তু স্যারের জরুরি কাজে ঢাকাতে চলে যাওয়ার কারণে প্রজেক্টটা জমা দেওয়া হলো না। এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হলো। এক সপ্তাহ পর গত সপ্তাহে আমরা আমাদেরকে প্রজেক্টটা জমা দিয়েছিল।
আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালোভাবে আমাদের প্রজেক্টের কাজটা সম্পূর্ণ করতে পেরেছিলাম। কিন্তু প্রজেক্ট করতে এসে পড়াশুনা কিছুই করতে পারি নাই৷ যেখানে এডমিশনে গিয়ে দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশুনা করা উচিত,, সেখানে ১৮/২০ দিন পড়াশুনার বাইরে সময় কাটালাম। প্রজেক্টের কাজ শেষ করে যে টাকা বেঁচে গিয়েছিল, সেটা দিয়ে আমরা আবার সবাই মিলে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করলাম। আমরা সফল ভাবে আমাদের প্রজেক্টটা জমা দিতে পেরেছি। এখন শুধু বোর্ডের নিদের্শনায় ভাইবা দিলেই শেষ হয়ে যাবে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইন্জিনিয়ারিং।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমাদের নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
ধন্যবাদ।