খুদা মেটায়।
মেস জীবনে আমার কাছে সবচেয়ে বিরক্তিকর মুহূর্তটা হলো, যখন সকালে ঘুম থেকে উঠে খাবার আনতে গিয়ে দেখি খাবার রান্না হয় নাই। মানে সেদিন সকালে খালা রান্না করতে আসে নাই। তখন আমি খুব রাগ হয় এবং বিরক্ত লাগে। এটা যেনো ক্ষুদার্ত ব্যক্তির সামনের থেকে খাবার থালা কেড়ে নেওয়ার মতো। খুদা পেটে যখন খাবার আনতে গিয়ে দেখি খাবার রান্না হয় নাই, তখন কেমন লাগতে পারে নিশ্চয় আপনারা বিষয়টা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। খালাদের না আসার অযুহাতের অভাব নাই। তারা নানা ছলে বলে কৌশলে, ছুটি কাটাতে পারলেই হলো।
তবে কুষ্টিয়া মেস জীবনে এগুলো বেশি হতো, গাজিপুরে আবাসিকে আসার পর কিছুটা হলোও এটা কমেছে। কিন্তু ১০০% শেষ হয়ে যায় নাই৷ এখানেও খালারা দুই একদিন রান্না করতে আসে না। আমার আবার বেশি একটা বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাসটা খুব একটা নাই। যেদিন খালা আসে না, সেদিন একটু কষ্টই হয়ে যায়। তবে রুমে যা থাকে, তা দিয়েই সকালের নাস্তাটা চালিয়ে নেই। সচারাচর আমার রুমে সব সময়ই কিছু না কিছু খাবার থাকে। আমি আবার পড়ার ফাকে ফাঁকে কিছু না খেলে কেমন যেনো লাগে।
সেদিন হঠাৎই খালা তার একটু সমস্যার কারণে সকালে রান্না করতে আসতে পারেন নাই। আমাদের আবাসিকের সবাইই প্রায় বাইরে খেতে গেল৷ আমাকে কয়েকজন ডাকল কিন্তু আমি বাইরে খেতে ভালো লাগে না বলে গেলাম না। শুধু বাইরে থেকে একটা ১০ টাকা দিয়ে রুটি কিনে এনে খেলাম।বেশির ভাগ সময় খুদা মেটানোর জন্য আমি এই রুটিটা কিনে খাই। আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। স্বাদটাও অনেক ভালো। দামেও সস্তা। এটা খেলে আপাতত আমার সকালের নাস্তা করা শেষ হয়।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
ধন্যবাদ।