মিষ্টিমুখ।
আমরা সবাই চেষ্টটা করি আমাদের খুশিী মুহূর্ত গুলে স্মরণ করে রাখতে। আমাদের জীবনে যদি ভালো কিছু ঘটে তাহলে আমরা মিষ্টিমুখ মুখ করার মাধ্যমে দিনটাকে আরও স্মরণীয় করে রাখি৷ সবার সাথে আনন্দটা ভাগাভগি করে নেয়। বিশেষ করে ছাত্র জীবনের খুশির মুহূর্ত গুলো সবচেয়ে বেশি মিষ্টিমুখ করে স্মরনীয় করে রাখা হয়। হয়ত আপনারা বুঝতে পেরেঢ়েন,আমি ছাত্র জীবনের কোন আনন্দের কথাটা বলতে চেয়ে। বেশির ভাগ ছাত্রদের আশা থাকে তারা প্রতিটা পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করবে৷ হাসিখুশি থাকবে। যার প্ররিপেক্ষিতে সবাইকে মিষ্টিমুখ করায়৷
গত কালকে আমাদের ডিপ্লোমা পর্যায়ের পর্ব সমাপনী পরিক্ষা ফল প্রকাশিত হয়েছে। আমারও সপ্তম সেমিস্টারের রেজাল্ট প্রকাশ পেয়েছে। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমি 4 out of 4 পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমি বর্তমানে যে আবাসিকে থাকি, সেখানে প্রায় ১৬০ জনের মতে ডিপ্লোমা ছাত্র থাকি৷ সবাই আমরা এডমিশনে আসছি৷ এদের মধ্যে আমরা তিনজন ছাত্র 4 out of 4 পেয়েছি৷ আমি তো রেজাল্ট পাওয়ার পর অনেক খুশি ছিলাম। যা বলে বোঝানো যাবে নাহ৷
আমাদের রেজাল্ট শুনে বন্ধু থেকে শুরু করে আমাদের আবাসিকের সকল বড় ভাই এবং পরিচালকেরাও আমাদের কাছে মিষ্টি খেতে চান। আমরা যদিও গতকালকে কাউকেই কিছু খাওয়াতে পারি নাই৷ এজন্য আজকে আমরা তিনজন মিষ্টি কিনে এনে বড় ভাই এবং পরিচালকদেরকে খাওয়ালাম। তারা আবার আমাদের মুখে মিষ্টি তুলে দিলেন৷ এটা যেন ভিন্ন ধরনের মুহূর্ত। স্মরণীয় একটা মুহূর্ত ছিল৷ সবাই অপরিচিত মুখ৷ তবুও যপনো কত ভালোবাসা সবার সবার প্রতি৷ যা বলে বোঝানো যায় না।
আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত আমাকে এত সুন্দরবনের নেয়ামতটা দান করার জন্য। তিনি যেনো আমার ডুয়েটের স্বপ্নটাও পূরণ করেন। যাতে আমি আবারও বড় ভাইদের নিয়ে এভাবে আনন্দ করতে পারি। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।
ধন্যবাদ৷