কুনো ব্যাঙ দিতে পারে ভূমিকম্পের পূর্বাভাষ।

in r2cornell •  2 years ago 

ASSALAMUALIKUM OA
ROHMATULL

Hello..!!
My Dear Blurt,
I am @ranna001 from Bangladesh

আসসালামু আলাইকুম আসা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো কুনো ব্যাঙ দিতে পারে ভূমিকম্পের পূর্বাভাষ।

2307424_303.jpg

source

কুনো ব্যাঙ দিতে পারে ভূমিকম্পের পূর্বাভাষ।

ঘরের পাশের কুনো ব্যাঙকে তুচ্ছ করবেন না! হয়তো আপনার জানা নেই বিজ্ঞানীরা ঝাঁকড়া চুল দুলিয়ে, মাথা চুলকিয়ে কিংবা ঘন্টার পর ঘন্টা ল্যাবরেটরিতে বসে যে বিষয়টি আবিষ্কার করতে পারেননি, প্রকৃতি কুনো ব্যাঙ’কে সে ক্ষমতা দিয়েছে৷
ভূমিকম্প, যার কারণে প্রতি বছর শত শত মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী থেকে, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সম্পদহানি হচ্ছে৷

ভূমিকম্পের পূর্বাভাষ কোন বিজ্ঞানী বা আবিষ্কৃত কোন যন্ত্র না দিতে পারলেও কুনো ব্যাঙ কিন্তু ঠিকই টের পেয়ে যায় ভূমিকম্পের আগাম সংকেত৷ তাও আবার একদিন বা দুই দিন নয়৷ কমপক্ষে সপ্তাহ খানিক আগে তারা জেনে যায় সেই তথ্য৷

বিষয়টি কিন্তু সত্য৷ আর তা না হলে ভূমিকম্পের পাঁচ দিন আগে নিজের ঘর ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয় নেয় কেন তারা!

তাহলে চলুন পুরো ঘটনা খুলে বলার আগে কুনো ব্যাঙ সম্পর্কে জেনে নিই কিছু তথ্য৷

বিজ্ঞাপন

কুনোব্যাঙ শীতল রক্তবিশিষ্ট প্রাণী৷ অর্থাৎ বাহ্যিক তাপমাত্রার সঙ্গে এদের দেহের তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে৷ তাই শীতকালে রক্ত জমাট বাঁধার হাত থেকে রক্ষার জন্য ব্যাঙ মাটির গর্তে, ঘরের কোণে, মালপত্রের স্তূপের নিচে, গাছের কোটরে নিশ্চলভাবে পড়ে থাকে৷ এ সময় এরা কোনো খাদ্য গ্রহণ করে না৷ দেহের সঞ্চিত স্নেহপদার্থ এদের শক্তি জোগায়৷ কুনোব্যাঙের এই শীতকালীন নিষ্ক্রিয়তাকে বলে শীতনিদ্রা বা হাইবারনেশন৷ ব্যাঙ উভচর শ্রেণীর মেরুদণ্ডী প্রাণী৷ কুনো ব্যাঙ ও সোনা বা কোলা ব্যাঙের দেখা মেলে সবচেয়ে বেশি৷ কুনো ব্যাঙ শুকনো জায়গায় বেশি থাকে আর কোলা ব্যাঙ আর্দ্র জায়গায় বা জলে বেশি থাকে বলেই জানা যায়৷

যুক্তরাজ্যেরওপেন ইউনিভার্সিটির প্রাণিবিদ ড. রাসেল গ্রান্টের প্রিয় বিষয় ব্যাঙ৷ আর এই ব্যাঙকে নিয়েই চলছিল তাঁর নিয়মিত গবেষণা৷ এবারে অবশ্য তাঁর দেখবার বিষয় ভূমিকম্পে কি ধরণের আচরণ করে প্রাণীকুল৷ বিশেষ করে ব্যাঙ৷ এর আগে দেখা গেছে ভূমিকম্পের ঠিক আগে আগে মাছেরা পানির মধ্যে ছোটাছুটি করতে থাকে, সাপেরা কুঁকড়ে যায় গর্তের মধ্যে৷ কিন্তু ব্যাঙ কি করে?

ইটালিতে একটি লেকের পাড়ে গবেষণার জন্য ঘাঁটি গাড়লেন প্রফেসর গ্রান্ট৷ এই এলাকাতে মাঝে মাঝেই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়৷ গবেষক হয়তো বেশ সফল৷ কারণ তাঁর এই গবেষণার ২৯ দিনের মাথায় ইটালিতে হলো ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প৷ এর আগে গবেষক বেশ কিছু কুনো ব্যাঙের গায়ে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিশেষ সংকেতযুক্ত যন্ত্র৷ ভূমিকম্পটি হয় ৬ এপ্রিল৷ এর ছ সাতদিন আগে থেকে আজব আচরণ শুরু করে গবেষকের ব্যাঙগুলো৷ পাঁচ দিনের মাথায় নিজেদের আবাস ছাড়তে শুরু করলো তারা৷ এরপর তিনদিনের মাথায় গবেষণাস্থল সান রুফফিনো লেকের কুনো ব্যাঙ চলে গেলো অন্য কোন জায়গায়৷ কেবল যে সাধারণ কুনো ব্যাঙগুলোই ঘর ছাড়লো তাই নয়, পোয়াতি ব্যাঙগুলোও ছাড়লো ঘর৷ বিষয়টি ভাবিয়ে তুললো এই গবেষককে৷ এই ঘটনার তিন দিন পরেই হলো ভয়াবহ ভূমিকম্প৷ আবরুৎসো অঞ্চলে লাকিলা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের মারা যায় শতাধিক মানুষ৷

গবেষক গ্রান্ট জানালেন, ঝড় কিংবা বৃষ্টিতে এ ধরণের আচরণ করে না কুনো ব্যাঙগুলো, যায় না ঘর ছেড়ে৷ কি এক বিশেষ সেন্সর রয়েছে কুনো ব্যাঙের৷ প্রকৃতি তাকে দিয়েছে আশ্চর্য এই ক্ষমতা৷ তিনি জানালেন, তার গবেষণাস্থলে চিহ্নিত ব্যাঙগুলো আবার ফিরে এসেছিল৷ সেটা ভূমিকম্পের আরও ছয় থেকে সাত দিন পর৷ আর এই কয়েকদিনের মধ্যে আরও কয়েকটি ছোটখাট ভূমিকম্প হয়েছে সেই এলাকায়৷

এখন তাঁরা গবেষণা চালিয়ে দেখতে চান, কি করে কুনো ব্যাঙ বুঝতে পারে ভূমিকম্পের পুর্বাভাষ৷
source

Thanks for reading my post.
@ranna001

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!