Cultivation of banana in modern way.

in r2cornell •  3 years ago 

IMG_20211223_100642.jpg

আসসালামু আলাইকুম আপনারা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভালো আছেন আমিও আপনাদের দোয়ায় খুব ভালো আছি আমি আজ আপনাদের মাঝে আধুনিক উপায়ে কলা চাষ সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করব.চলুন শুরু করা যাক...

কলা বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল যা সারা বছর পাওয়া যায়। কলাকে প্রাচীন সাহিত্যে কদলি বলা হতো।

কলাগাছ, কলাপাতা, কলাগাছের শিকড় ও কলা সবই উপকারী। কলাগাছ ও কলাপাতা শুধুমাত্র পশু খাদ্য নয়। এদের আছে আশ্চার্যজনক ভেষজ গুণ। রোগ নিরাময়ে অদ্বিতীয়।

কলার পুষ্টিগুণ প্রচুর। কলা উপাদেয় খাদ্য। কাঁচা পাকা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায়। কলায় রয়েছে জলীয় অংশ ৭০ গ্রাম, আঁশ ০.৫ গ্রাম, খাদ্য শক্তি কিলোক্যালরি ১০৯, আমিষ ০.৭ গ্রাম, চর্বি ০.৮ গ্রাম, শর্করা ২৫.০ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১১.০ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৯ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ২৪ মিলিগ্রাম। নারিকেল ছাড়া আর কোনো খাদ্যেই কলার মতো খাদ্যশক্তি নেই। তাই যে কোনো সময় পরিশ্রান্তে অথবা শক্তিক্ষয়জনিত অবস্থায় কলা আহার করলে শরীর পুনরায় কর্মক্ষম হয়ে উঠবে। নারিকেলে ৩৫.৫৭ গ্রাম চর্বি থাকে। যদিও নারিকেলের শর্করা মাত্র ১০.২২ গ্রাম। নারিকেলে খাদ্য শক্তি ৩৭৬ কিলোক্যালরি। যা প্রচলিত ফলের মধ্যে সর্বোচ্চ। দৈনিক খাদ্য তালিকায় সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনের খাবারে অন্তত ৬০ গ্রাম ফলাদি থাকা বাঞ্ছনীয়। এ ক্ষেত্রে খাবারে আপনার পছন্দের যে কোনো কলা থাকতে পারে।

কলা চাষ : বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যেসব জাতের আবাদ হচ্ছে তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাতগুলো হচ্ছে বারিকলা-১ ও বারিকলা-২ (আনাজিকলা), অমৃতসাগর, সবরি, চম্পা, কবরি, মেহেরসাগর, বীচিকলা অন্যতম।

মাটি : পর্যাপ্ত রোদযুক্ত ও পানি নিকাশের সুবিধাযুক্ত উঁচু জমি কলা চাষের জন্য উপযুক্ত। উর্বর দো-আঁশ মাটি কলা চাষের জন্য উত্তম। চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল ও আগাছামুক্ত করে নিতে হবে।

চারা রোপণ : কলার চারা বছরে ৩ সময়ে রোপণ করা যায়। ১ম রোপণ কাল : আশ্বিন-কার্তিক সবচেয়ে ভালো সময়। ২য় রোপণ কাল : মাঘ-ফাল্গুন ভালো সময়। ৩য় রোপণ কাল : চৈত্র-বৈশাখ মোটামুটি ভালো সময়।

চারার দূরত্ব : সারি থেকে সারির দূরত্ব ২ মিটার এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ২ মিটার।

গর্ত তৈরি : চারা রোপণের মাসখানেক আগেই গর্ত খনন করতে হবে। গর্তের আকার হবে ৬০ সেমি. চওড়া ও ৬০ সেমি. গভীর। গর্ত তৈরি হয়ে গেলে গোবর ও টিএসপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে গর্ত ভরে রাখতে হবে।

চারা রোপণ : রোপণের জন্য অসি তেউড় উত্তম। অসি তেউরের পাতা সরু, সুঁচালো এবং অনেকটা তলোয়ারের মতো, গুড়ি বড় ও শক্তিশালী এবং কা- ক্রমশ গোড়া থেকে ওপরের দিকে সরু হয়। তিন মাস বয়স্ক সুস্থ সবল তেউড় রোগমুক্ত গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হয়।

সার ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি

অর্ধেক গোবর জমি তৈরির সময় এবং অবশিষ্ট অর্ধেক গর্তে দিতে হবে। অর্ধেক টিএসপি একই সঙ্গে গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। রোপণের দেড় থেকে দুই মাস পর ৪ ভাগের ১ ভাগ ইউরিয়া, অর্ধেক এমপি ও বাকি টিএসপি জমিতে ছিটিয়ে ভালোভাবে কুপিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এর দুই থেকে আড়াই মাস পর গাছ প্রতি বাকি অর্ধেক এমপি ও অর্ধেক ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে। মোচা বের হওয়ার সময় অবশিষ্ট ৪ ভাগের ১ ভাগ ইউরিয়া জমিতে ছিটিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে।

কলা গাছের পরিচর্যা : চারা রোপণের সময় মাটিতে পর্যাপ্ত রস না থাকলে তখনই সেচ দেয়া উচিত। এছাড়া শুকনো মৌসুমে ১৫-২০ দিন পর পর সেচ দেয়া দরকার। বর্ষার সময় কলা বাগানে যাতে পানি জমতে না পারে তার জন্য নালা থাকা আব্যশক। মোচা আসার পর গাছপ্রতি মাত্র একটি তেউড় বাড়তে দেয়া ভালো।

রোগ ও প্রতিকার : কলা গাছের প্রধানতম রোগগুলো হচ্ছে পানামা, বানচিটপ ভাইরাস, সিগাটোকা ও কলার দাগ রোগ।

পানামা রোগ প্রতিকারের জন্য আক্রান্ত গাছ গোড়াসহ উঠিয়ে পুড়ে ফেলতে হবে। আক্রান্ত গাছের তেউড় হিসেবে চারা ব্যবহার করা যাবে না।

বানচিটপ ভাইরাস রোগ প্রতিকারের জন্য আক্রান্ত গাছ গোড়াসহ উঠিয়ে পুড়ে ফেলতে হবে। গাছ উঠানো আগে জীবাণু বহনকারী ‘জাব পোকা’ ও ‘থ্রিপস’ কীটনাশক ওষুধ দ্বারা দমন করতে হবে। সুস্থ গাছেও কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করতে হবে।

সিগাটোকা রোগ আক্রান্ত গাছের পাতা পুড়ে ফলতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি লিটার টিল্ট ২৫০ ইসি ১ গ্রাম ব্যাভিস্টিন মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর গাছে ছিটাতে হবে।

বিটল পোকার আক্রমণে কলার গায়ে বসন্ত রোগের দাগের মতো দাগ হতে দেখলে কলার মোচা বের হওয়ার সময় ছিদ্রবিশিষ্ট পলিথিন ব্যাগ দিয়ে মোড়ে দিতে হবে। এছাড়াও অনুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায়। যে কোনো ধরনের রোগের প্রতিকারের জন্য রোগ আক্রান্ত মাঠে বার বার কলা চাষ করা যাবে না।

ফসল সংগ্রহ : কলার চারা রোপণের ১১-১৫ মাসের মধ্যেই সাধারণত সব জাতের কলা পাকার উপযুক্ত হয়। প্রতি হেক্টরে ১২-১৫ টন কলার ফলন পাওয়া যাবে।

কলা ও কলা পাতার ভেষজ গুণ

ক. রোগ নিরাময়ে কলার ব্যবহার

১. শুষ্ক কাশিতে : একটি পাকা কলা চটকে অল্প পানিতে মিশিয়ে হালকা গরম করে সেটাকে ছেঁকে নিয়ে সেই পানিটা সকাল ও বিকালে কয়েক দিন খেলে উপশম হবে। তবে প্রতিদিন নতুন করে তৈরি করতে হবে।

২. সন্ধিযুক্ত গলক্ষতে : গলায় ব্যথা, লাল দেখায়, কর্ণমূল পর্যন্ত ব্যথা, মনে হয় যেন গলায় ঘা হয়েছে, গলার স্বর ভাঙা ভাঙা; এ ক্ষেত্রে একটা পাকা কলা ১ কাপ পানি দিয়ে চটকে গরম করে ছেঁটে নিয়ে সকালে এবং নতুন করে তৈরি করে বিকালে খেতে হবে। মাসখানিক খেলেই উপশম হবে।

৩. কৃমিতে : ১ চা-চামচ কলাগাছের শিকড়ের রস সকালে খালি পেটে ১ সপ্তাহ খেতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক ৩-৪ চা-চামচ, কিশোর বয়স্কদের ২ চা-চামচ আর শিশুদের ১ চা-চামচ খাওয়াতে হবে।

৪. প্রদর রোগে : ১টা কাঁচাকলা চাকা চাকা করে কেটে রাত্রে ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খালিপেটে সেই পানি খেলে মাসখানিকের মধ্যে প্রদর রোগ সেরে যাবে।

৫. ডায়রিয়াতে : কাঁচাকলা দুই তিনটা খোসাসহ দুই-টুকরো করে কেটে অল্প পানিকে সিদ্ধ করে কলার ভর্তা ৪-৫ বার খেলে দাস্ত বা বেশি পায়খানা বন্ধ হয়ে যাবে। পাশাপাশি খাবার স্যালাইনও চলবে।

৬. প্রসূতির কাঁচা নাড়ি শুকাতে : প্রসবের পর শরীরকে ঝরঝরে করার জন্য কাঁচা কলা পুড়ে ভর্তা করে ভাত খেতে দিতে হবে।

Translation:

Assalamu alaikum how are you all I hope everyone is well I am also very good in your prayers I will share with you today some things about banana cultivation in a modern way. Let's get started ...

Banana is an important fruit of Bangladesh which is available throughout the year. Kala was called Kadali in ancient literature.

Bananas, banana leaves, banana roots and bananas are all beneficial. Banana plants and banana leaves are not the only animal food. They have amazing medicinal properties. Unique in curing diseases.

Bananas are very nutritious. Banana is a delicacy. It can be eaten raw or cooked. Bananas contain 60 grams of water, 0.5 grams of fiber, 109 kilocalories of food energy, 0.6 grams of meat, 0.8 grams of fat, 25.0 grams of sugar, 11.0 milligrams of calcium, 0.9 milligrams of iron, and vitamin C. 24 mg. There is no food like banana in any other food except coconut. Therefore, if you eat banana at any time when you are tired or in a state of energy loss, your body will become functional again. Coconut contains 35.56 grams of fat. Although the sugar content of coconut is only 10.22 grams. Coconut food energy 36 kcal. Which is the highest among conventional fruits. It is recommended to have at least 60 grams of fruits in the daily diet for good health. In this case, the food can be any banana of your choice.

Banana Cultivation: Among the varieties which are being cultivated on commercial basis, the notable varieties are Barikala-1 and Barikala-2 (Anajikala), Amritsagar, Sabri, Champa, Kabari, Mehersagar, Beechikala.

Soil: High lands with adequate sunshine and drainage are suitable for banana cultivation. Fertile loamy soil is good for banana cultivation. The land should be leveled and weeded with tillage and ladder.

Seedling planting: Banana seedlings can be planted 3 times a year. 1st planting season: Ashwin-Kartik is the best time. 2nd planting season: Magh-Falgun is a good time. 3rd planting season: Chaitra-Baishakh is a fairly good time.

Distance of seedlings: Row to row distance is 2 m and seedling to seedling distance is 2 m.

Hole making: Holes should be dug one month before planting. The size of the hole will be 60 cm. Wide and 60 cm. Deep. Once the hole is made, the hole should be filled by mixing dung and TSP fertilizer with soil.

Planting of saplings: Aussie teur is best for planting. The leaves of Aussie teur are slender, pointed and much like a sword, the stem is large and strong and the ka- is gradually narrowed from the base to the top. Three months old healthy vigorous taurus is to be collected from disease free tree.

Fertilizer and fertilizer application method

Half of the dung should be given at the time of land preparation and the remaining half should be given in the pit. Half TSP should be applied to the hole simultaneously. One and a half to two months after planting, 1 part 4 urea, half MP and the rest TSP should be sprinkled on the land, chopped well and mixed with the soil. After two to two and a half months, the remaining half MP and half urea should be applied per plant. When the mocha comes out, 1 part of the remaining 4 parts urea should be sprinkled on the soil and mixed with the soil.

Banana care: Irrigation should be given only when there is not enough sap in the soil at the time of planting. Besides, it is necessary to irrigate every 15-20 days in dry season. It is necessary to have drains in the banana orchard during the rainy season so that water does not accumulate. It is better to allow only one tiller per plant to grow after the arrival of mocha.

Diseases and Remedies: The major diseases of banana plant are Panama, Banchitop virus, Sigatoka and banana spot disease.

In order to cure Panama disease, infected trees should be uprooted and burnt. Seedlings cannot be used as seedlings of infected trees.

Infected trees should be uprooted and burnt to cure Banchitop virus. Before planting, the germs ‘Jab insects’ and ‘thrips’ should be controlled with pesticides. Healthy trees also need to be sprayed with pesticides.

The leaves of the Sigatoka diseased tree should be burnt. Mix 0.5 ml Tilt 250 EC 1 g Bavistin in every liter of water and spray it on the plants after 15 days.

In case of beetle infestation, the collar should be covered with a perforated polythene bag when the collar mocha comes out. These insects can also be controlled by spraying approved pesticides. Repeated banana cultivation cannot be done in the affected field to cure any kind of disease.

Harvesting: Banana seedlings are usually suitable for ripening of all varieties within 11-15 months of planting. The yield of banana can be 12-15 tons per hectare.

Medicinal properties of banana and banana leaves

A. Use of banana in curing diseases

  1. In dry cough: Mix a ripe banana chutney in a little water, heat it lightly, strain it and drink that water in the morning and afternoon for a few days to get relief. But you have to make a new one every day.

  2. Arthritic sore throat: sore throat, redness, pain up to earlobes, feeling as if there is a sore throat, broken throat; In this case, a ripe banana should be warmed with 1 cup of water, sliced ​​in the morning and freshly prepared and eaten in the afternoon. It will be relieved after playing for a month.

  3. In worms: 1 teaspoon of banana root juice should be taken in the morning on an empty stomach for 1 week. Adults should be given 3-4 teaspoons, adolescents 2 teaspoons and children 1 teaspoon.

  4. In case of leprosy: Cut 1 raw black wheel and soak it in 1 glass of water at night and drink that water on an empty stomach the next morning, leprosy will be cured within a month.

  5. In diarrhea: Cut the raw banana into two pieces with two or three husks, boil it in a little water and eat it 4-5 times. Besides, food saline will also be used.

  6. To dry the raw pulse of maternity: After delivery, in order to cleanse the body, raw banana should be burnt and stuffed with rice.

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!