আশা করি সবাই ভাল আছেন, আমিও অনেক ভালো আছি।
আমি আবার লিখব সুমেরীয় সভ্যতা সম্পর্কে। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে সবার ভালো লাগবে।
Sorsce
মিশরীয় সভ্যতার সমসাময়িক বর্তমান ইরাক ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী উর্বর ভূমিতে সময়ের ব্যবধানে কতগুলো নগরসভ্যতার উন্মেষ ঘটে একত্রিত ভাবে এই নগর সভ্যতা গুলোকে মেসোপটেমিয়া সভ্যতা বলা হয়।
গ্রীক ভাষায় মেসোপটেমিয়া শব্দের অর্থ দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি। অর্ধচন্দ্রের মতো আকৃতি বলে ভৌগলিক অঞ্চল এর নাম দিয়েছেন ক্রিসেন্ট। মহাসপ্তমী ও সভ্যতার মধ্যে রয়েছে সমূহ, সুমেরীয়, ব্যাবিলনীয়, অ্যাসিরীয়, ক্যালডীয় সভ্যতা।
মোসোপটেমিয়ান সভ্যতা চারিত্রিক ধরন মিসরীয় সভ্যতায় আলাদা ছিল। প্রথমটি নীতি ধর্ম ভিত্তিক, দ্বিতীয় টি আইনশাস্ত্র ভিত্তিক।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার অগ্রদূত সেমেটিক জাতি খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ অব্দ থেকে ৪০০০ অর্ধে টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী ভূমিকে বসবাস করতে শুরু করে। সুমেরীয়দের আদি বাসস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। তবে মধ্য এশিয়ার কোন অঞ্চল থেকে তারা মেসোপটেমিয়ায় আগমন করে। সুমেরীয় সভ্যতার কয়েকটি নগর কে কেন্দ্র করে বিকাশ লাভ করেছিল।
নগর গুলোর মধ্যে রাজধানীর উর ছাড়াও, উড়ুক, লারসা, ইরুদু, লাগাস অন্যতম। নগর রাষ্ট্রের সংগঠন বা কনফেডারেশন গড়ে উঠলেও তা ছিল দুর্বল শিথিল। সুমেরীয় সভ্যতার ধর্ম প্রধান ও নাগর রাষ্ট্রের প্রধান কে বলা হত পাতেশি। তিনি ছিলেন প্রধান পুরোহিত, সেনাপ্রধান ও শেষ ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রক।
সুমেরীয় অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষিভিত্তিক। তারা দক্ষ কৃষক ছিল। শেষ ব্যবস্থার উদ্ভাবন, কাঠের লাঙ্গল, ধাতু নির্মিত কাস্তে, ইরানের ব্যবহার দ্বারা তারা উন্নত কৃষি পদ্ধতি গড়ে তোলে। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর বন্যার পানিতে জমে থাকা পুলিশ আমিতো উর্বর মাটিতে আশাপ্রদ ফসল ফলাতে। সুমেরীয়দের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক উৎস শিল্প বাণিজ্য। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বাণিজ্য চালু ছিল। তারা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, ফিনিশিয়া, ইজিয়ান দীপ মালা, ভারত, এশিয়া মাইনর ও মিশরের সাথে বাণিজ্য করতো। ব্যবসায়ী লেনদেন চলত সোনা ও রূপার পিণ্ড দ্বারা। কৃষি ও বাণিজ্য সরাসরি ওরা ঘরবাড়ি নির্মাণ। প্রাচীন সুমেরীয় চেনে বিভক্ত ছিল। উচ্চস্বরে অবস্থান করতো পুরোহিত, অভিজাত, বানিক, শিল্পপতি ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাগন। মাধ্যম যুক্ত ছিলেন চিকিৎসক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। নিম্নশ্রেণির অবস্থান ছিল দাস, ভূমিদাস ও সাধারণ শ্রমিকদের।
আমার লেখাতে কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।