বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন, আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আবারো হাজির হলাম আপনাদের সামনে আমি আমার নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
ধান ওষধি জাতীয় উদ্ভিদ-একবার ফসল উৎপাদন করে মরে যায়। দান আমাদের জন্য আল্লাহর অশেষ নেয়ামত। আমরা ধান থেকে তৈরি চালের ভাত খেয়ে জীবন ধারণ করি। আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। ভাত ছাড়া একদিন ও আমাদের জীবন ধারণের কথা কল্পনা করা যায় না।
ধানের বর্ণনা:
তান একপ্রকার তৃন জাতীয় উদ্ভিদ। ধান গাছ সাধারণত দুই আড়াই হাত লম্বা হয়। ধান গাছ গুচ্ছাকারে জন্মে। প্রত্যেকটি গাছের অগ্রভাগে একটি করে ছরা বের হয়। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে ধান পাকতে শুরু করে। দান পাকলেই গাছ মরে শুকিয়ে যায়।
উৎপত্তিস্থান:
পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র ধানের চাষ হয় কোথাও ব্যাপকভাবে, কোথাও অল্প বিস্তর। তবে এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া প্রভাতে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের ধান উৎপাদনের প্রধান ক্ষেত্র। এশিয়ার মধ্যে ফিলিপাইন, বার্মা, চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, সিঙ্গাপুর, জাপান প্রভৃতি দেশে ধানের উৎপাদন বেশি।
ধানের প্রকারভেদ:
তান প্রধানত তিন প্রকার। যথা আউশ ধান, আমন ধান ও বোরো ধান। আউশ ধান নিচু জমিতে রোপণ করতে হয়। আমন ধান প্রথমে উঁচু জমিতে রোপণ করা হয়, পরে নিচু জমিতে রোপণ করা হয়। আমাদের দেশে আমন্ত্রণ প্রচুর পরিমাণে জন্মে।
উৎপাদনের সময়:
ফাগুন চৈত্র মাসে বৃষ্টিতে যখন মাটি আদ্র হয়, তখন জমিয়ে উত্তমরূপে চাষ করে আউশ ধান বলতে হয়। তারপরেই মই দ্বারা মাটি সমতল করে দিতে হয়। অতঃপর এমন ব্যবস্থা করতে হয় তাতে বৃষ্টি হলে জমিতে পানি আটকে না থাকে। ধানের চারা গুলো বড় হলে নিয়ে আগাছা সাফ করে দিতে হয়। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে আউশ ধান পাকে। তখন কৃষকেরা ধান কেটে ঘরে আনে।
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বৃষ্টিতে জমি চাষ করে আমন ধানের বীজ বপন করা হয়। আষাঢ় শ্রাবণ মাসে বীজ তলা থেকে চারা গাছে উঠিয়ে অন্য কোন জমিতে রোপণ করা হয়। অগ্রহণ মাসের ধান পাকতে শুরু করে তখন মনে আনন্দ নিয়ে ধান কেটে আনে।
বোরো ধান নদী তীরবর্তী কর্দমাক্ত জমি কিংবা নিচু জমিতে চাষ করা হয়। শীতের প্রারম্ভেই উঁচু জমিতে ধানের বীজ বপন করতে হয়। সাধারণত পৌষ মাসে রোপন করা হয়। চৈত্র-বৈশাখ মাসে এই বোরো ধান পাকতে শুরু করে এবং কাটা হয়।
ধানের ব্যবহার:
ধান থেকে চাল এবং চাল থেকে ভাত হয়। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। তান থেকে আরও নানা প্রকার উপাদানের খাদ্য প্রস্তুত হয়। খৈ, চিড়া-মুড়ি প্রস্তুত করা হয়। আতপ চাল থেকে নানাবিধ পিঠা তৈরি হয়। কাপড়ে মাড় দিতে ও মন্ড তৈরি করতে চাল ব্যবহৃত হয়। ধানের খোসা বা তুষার জ্বালানি রূপে ব্যবহার করা হয়। তুষের অতি শুষ্ক অংশকে কুড়া বলা হয়। যা হাঁস-মুরগির প্রিয় খাদ্য। বর্তমানে চালের কুঁড়া ও তুষ থেকে খাদ্য রান্নার তেল উৎপাদন করা হয়।
দান আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। এক কালে খাদ্যশস্যের দিক দিয়ে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। তখন প্রচুর চাল বিদেশে রপ্তানি করা হতো। বর্তমানে চালের উৎপাদনে আমাদের প্রয়োজন মেটে না। তবে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে চাষ করলে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।