বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
প্রিয় ভাই ও বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি অনেক ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও অনেক ভালো আছি।
@মহাকাশ ও মহাবিশ্ব@
আল্লাহ একমাত্র স্রষ্টা। একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। আর সবকিছুই আল্লাহর সৃষ্টি। আর এক সময় আল্লাহ ছাড়া কিছুই ছিলো না।
সৃষ্টি জগতের যা কিছু আমরা দেখি, আর যা কিছু আমরা না দেখি, এই সব কিছুই ছিলো না,ছিলেন শুধু এক মাএ আল্লাহ তায়ালা।
আচ্ছা! এখন একটু কল্পনা করুন তো, শুধু মাত্র আল্লাহ পাক আছেন, আর কিছু নেই। সব শূন্য- শূন্য- শূন্য- মহাশূন্য-!
সেই মহাশূন্যের সবকিছু আল্লাহ তায়ালা তার আপন কুদরতে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহতালা যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তাহলো সৃষ্টি জগত। এই যে সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ এবং কোটি কোটি তারকা এগুলো হচ্ছে সৃষ্টিজগতের একটি অংশ, আর একে আমরা বলি মহাবিশ্ব। আর এই মহাবিশ্বকে ঘিরে রেখেছে যা তার নাম হচ্ছে মহাকাশ। প্রথম মহাকাশ। আর এই প্রথম মহাকাশের পরে রয়েছে একে একে আরো ছয়টি মহাকাশ। আর এই সাত মহাকাশ ও সৃষ্টিজগতের একটি অংশ। সাত মহাকাশ বা সাত আসমানের কথা কোরআন শরীফে আল্লাহ তাআলা বলেছেন যে, সব মহাকাশে আল্লাহ তা'আলা কত কিছুনা সৃষ্টি করেছেন তা শুধু আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন এটা দুনিয়ার কোন মানুষের জানা সম্ভব নয়।
রাতের বেলা আমরা আকাশের দিকে তাকালে দেখতে পাই সমস্ত আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য তারা, এই তারা মিটি মিটি করে জ্বলছে তাকে বলা হয় আকাশ প্রদীপ। এ জন্যই তো আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফে বলেছেন আমি প্রথম আকাশ কে অসংখ্য বাতি দিয়ে সাজিয়েছি।
আমরা আকাশের দিকে তাকালে যেমনিভাবে দেখতে পাই আমাদের মাথার ওপর তারা ভরা আকাশ, তেমনি ঠিক আমাদের নিচে পৃথিবীর অপর পিঠে যে সব দেশ আছে, তারাও দেখতে পায় তাদের মাথার ওপরে তারা ভরা আকাশ ঝিলিমিলি ঝিলিমিলি করছে। আবার দুই পাশে যারা আছে তারাও তাদের মাথার ওপর এরকম আকাশ দেখতে পায়। এমনিভাবে পৃথিবীর সব দিকের মানুষ তাদের মাথার ওপর মহাকাশের সামান্য একটা অংশ দেখতে পায়। আর সেটাকেই বলে পৃথিবীর আকাশ।
আসলে আমরা আকাশ দেখতে পাই না। চোখের ভুলে মহাশূন্যে যে নীল রং দেখি সেটাকেই বলি নীল আকাশ। এই মহাবিশ্ব এবং মহাবিশ্বকে ঘিরে থাকা মহাকাশ যে কত বিশাল, কোথায় শুরু আর কোথায় শেষ মানুষ তা জানেনা। আর এগুলো আল্লাহ তা'আলা ছাড়া কেউ জানেননা। আর আমরা জানবোই বা কিভাবে, কারণ আল্লাহ তাআলা কুরআন শরীফে বলেছেন মানুষের জ্ঞান খুবই সামান্য।।