আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি। আমি এবার লিখব বিভিন্ন প্রকার দূষণ সম্পর্কে।
**প্রথমেই জেনে নেই বর্জ্য এবং দূষণ আসলে কি?
আমরা প্রতিদিন আমাদের অপ্রজনীয় অনেক কিছু ফেলে দিই এই ব্যবহারের অযোগ্য উপাদানগুলোকে বর্জ্য অথবা আবর্জনা বলে।
উদাহরণ হতে পারে পুরাতন গাড়িসহ ঠান্ডা পানির খালি বোতল সবকিছুই এর সাথে জড়িত আবর্জনার পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে পরিবেশকে দূষিত করছে।
Sorsce
#Blurt
পোড়া তেলের মত পানি দূষিত করে কঠিন বর্জ্য পানি এবং বায়ু দূষিত করে শিল্প কারখানার বর্জ্য বায়ু মাটি পানি ইত্যাদি দূষিত করে। একসাথে এসব বর্জ্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয় কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থাপনা এটাকে নিশ্চিতভাবে কমিয়ে আনতে পারে।
আমরা কিভাবে ভ্রমণ করব প্রতিদিনের এ পছন্দটা পরিবেশে অনেক বড় পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারে। একটা গাড়ি ব্যবহার করা থেকে সাইকেল ব্যবহার করা অথবা গণপরিবহন ব্যবহার করা থেকে অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব।
সরকার যদি গণপরিবহন সহজলভ্য এবং আকর্ষনীয় করে তবে জনগণ আরো বেশি এটা ব্যবহার করবে। আমরা কোন জিনিস পুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়ে পূর্ণ উৎপাদন এবং রূপান্তর করে পরিবেশকে অনেকাংশে রক্ষা করতে পারি।
সবজির বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরি করা যেতে পারে জামাতে জমির উর্বরতা বাড়িয়ে কৃষির উন্নয়ন ঘটবে। আমাদের সর্কার এবং অন্যান্য কোম্পানিগুলোকে পূন ব্যবহার বর্ধন এবং ভোগের ধরন পরিবর্তন করে আবর্জনার পরিমাণ হ্রাস করা এবং পরিবেশ রক্ষায় জনগণের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত।
এসব দূষণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত হয় বায়ু এবং পানি এই দুটি দূষণের ফলে আমাদের পরিবেশে নানা রোগে আক্রান্ত হয় বহু লোক। তাই আগে জেনে নিয়েই বায়ু এবং পানি কিভাবে দূষিত হয়।
বায়ু দূষণ আসলে কি?
দূষণ বলতে কোন পদার্থের অবনমন কে বোঝায় যা প্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কি দূষিত করে যেমন বায়ু। বায়ুর এত গুরুত্ব যে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসে এই বায়ুকে ব্যবহার করি। বায়ুতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের গ্যাস যেমন অক্সিজেন নাইট্রোজেন কার্বন ডাই অক্সাইড কার্বন মনো অক্সাইড ইত্যাদি।
বাইরে থেকে আমরা অক্সিজেন গ্রহণ করি এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করি। আর এই বায়ুর যদি দূষিত হয় তাহলে আমরা অসুস্থ হয়ে পরবো এবং পরিবেশের অনেক ক্ষতি হবে।
যা হোক আমরা তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে দূষিত করছি এবং পরিবেশের অশুভ পরিবর্তন আনছি। দ্রুত শিল্পায়ন এবং আধুনিক সভ্যতার সাথে বায়ু দূষণের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আমরা বিভিন্ন দূষক দ্বারা বায়ুকে দূষিত করছি যেমন ইটের ভাটার ধোয়া, যানবাহন ও যন্ত্রপাতির চালাতে আমরা কয়লা পেট্রোল ডিজেল কাঠ প্রভাতী পুরা এবং বিভিন্ন রাসায়নিক গ্যাস যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড কার্বন মনো অক্সাইড উৎপন্ন করি এসকল বিষাক্ত গ্যাস বায়ুতে মিশে যায় এবং একে দূষিত করে।
পরিবেশের উপর বায়ু দূষণের সাংঘাতিক ক্ষতির প্রভাব রয়েছে এটা পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্বের জন্য এক মারাত্মক হুমকি। এটা টাইফয়েড অ্যাজমা টিউবার কুলোসিস দৃষ্টিশক্তি হারানোর মতো বায়ুবাহিত মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে।
বায়ুর যেকোনো দূষণ শুধুমাত্র রোগই সৃষ্টি করে না এটা সমগ্র পরিবেশগত প্রক্রিয়াকে ব্যবহৃত করে। বায়ুদূষণ এসিড বৃষ্টি ঘটায় যা মাটির ক্ষতি করে। এ দূষণ গুলো মোকাবেলা করার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
বিষাক্ত গ্যাস করার জন্য আমাদেরকে তেল চালিত যানবাহন এবং যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমাতে হবে এবং বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। যেহেতু এটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তাই এ লক্ষ্যে প্রত্যেক বছর সরকার বিনামূল্যে হাজার হাজার গাছ জনগণকে দেয়া। এখানে একটা কথাই বলা হয় গাছ লাগাও পরিবেশ বাঁচাও। গাছ না থাকলে আমাদের এই পৃথিবী ও টিকবে না কারণ গাছ প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ত্যাগ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ভালো।
তাই আমরা যদি বায়ু দূষণ রোধ করতে পারি তাহলে আমাদের পরিবেশ টা হবে নাতিশীতোষ্ণ এবং পরিবেশ বান্ধব। ঠান্ডা আবহাওয়া এবং ঘনঘন বৃষ্টি হওয়া থেকে শুরু করে পরিবেশ এর সকল সমস্যা সমাধান করবে বায়ু দূষণ রোধ হলেই।
আমাদের উচিত বায়ুদূষণ না করা এবং যেসব কারণে বায়ু দূষিত হয় সে সকল সমস্যা দূর করা যাতে পরিবেশ ভালো থাকে এবং আমাদের উপকার হয়।
বায়ু দূষণ রোধ করার পাশাপাশি আমাদেরকে আরেকটি জিনিস করতে হবে তা হল পানি দূষণ রোধ। পানির অপর নাম জীবন যা না থাকলে আমাদের জীবনে বাসতো না।
পানি দূষণ কিভাবে হয়?
দূষণ বলতে কোন কিছুর সংক্রামন বোঝাই যা একে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ব্যবহারের অযোগ্য করে তোলে। পানি দূষণ বলতে পানিতে ময়লা আবর্জনা ফেলে একে ক্ষতিকর এবং ব্যবহারের অনুপযোগী করাকে বুঝায়।
পানির অপর নাম জীবন পানি আমাদের জীবন বাঁচায়। পানি শুধু পান করার উদ্দেশ্যেই নয় বরং গৃহস্থালী চাষাবাদ এবং শিল্পেও ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন কারণে পানি দূষিত হয় এর জন্য মানুষের সবচেয়ে বেশি দায়ী।
মানুষ পানিতে আবর্জনা ফেলে নদী এবং খালের পাড়ে অস্বাস্থ্যকর পায়খানা করে পানি দূষিত করে কৃষকেরা তাদের জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে এগুলো বন্যা অথবা বৃষ্টির পানিতে ভেসে পরবর্তীতে পানিতে ভেসে পার্শ্ববর্তী নদী খাল বা পুকুরের পানি দূষিত করে।
শিল্প-কারখানায় তাদের বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য ও আবর্জনা নদীতে ফেলে এবং পানি দূষিত করে। এমনকি স্টিমার লঞ্চ এবং নৌকা থেকে তেল খাদ্য বর্জ্য এবং মানব বর্জ্য নদীতে এবং খালে ফেলে পানি দূষিত করে।
বিশুদ্ধ পানি জীবনের জন্য অপরিহার্য কিন্তু দূষিত পানি অতি ক্ষতিকর। দূষিত পানি পান করে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি আমরা যদি দূষিত পানি পান করি তবে কলেরা টাইফয়েড আমাশয় এবং অন্যান্য পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়।
এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন মোকাবেলা করতে হয় এমনকি রোগী মারা যায়। এই পানি দূষণে মাছ মারা যায় অনেক দূষিত পানিতে চাষাবাদ অসম্ভব হয়ে পড়ে।
সতর্ক বজ্র আবর্জনা আর মাধ্যমে আমরা পানি দূষণ রোধ করতে পারি। রাসায়নিক সারের পরিবর্তে কৃষকদেরকে প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করতে হবে সর্বোপরি সাধারণ মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
আমাদেরকে এসব দূষণ থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে এবং এসব দূষণ রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তাহলে পরিবেশের ভালো হবে এবং মানব জীবনের ক্ষতি হবে না। আশা করি আপনারা সবাই বুঝতে পেরেছেন।