এখন দিনের বেলায় হালকা গরম পড়লেও মাঝরাতের পর বেশ শীত লাগছে। আমিও তো এখন থেকে কাঁথা গায় দিয়ে ঘুমানো শুরু করেছি।
দিনের বেলায় গরম আর রাতে হালকা ঠান্ডা এই দুরকম আবহাওয়ার কারনে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আমি নিজেও তার ভুক্তভোগী। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে অনেকেরই আবার অনেকেই সহজে মানিয়ে হয়।
সৃষ্টিকর্তা একেকজনকে একেক রকম শক্তি দিয়েছে তাই তো আমরা একে অপরের থেকে ভিন্ন।
pexels-kristingroth2-54200.jpgSource
কাঠফাটা রোদ্দুর আর অসহ্য গরমকে দুরে সরিয়ে এবার কনকনে শীতের সাথে যুদ্ধ শুরু হবে। তবে যে যাই বলুন না কেন,
শীত কাল আমার সব থেকে প্রিয়
শীত কালে সব থেকে বেশি ভালো লাগে রাতের বেলায় কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে।
অনেকে অবশ্য কম্বল মুড়ি দিতে পারেন না কারন তাদের নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তবে এটা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।
এটা তো গেলো শীতকালের ভালো লাগার বিষয়। আর শীত কালের খারাপ দিক হলো -
স্নান করতে খুব খুব কষ্ট হয়। আমার তো শীতকালে স্নান করতে ইচ্ছে করে না তবুও বাধ্য হয়ে করতে হয়।
কেন বাধ্য হয়ে করতে হয় জানেন?
বন্ধু বান্ধব জানতে পারলে হাসাহাসি করবে বলে। বলতে পারেন লোকলজ্জার ভয়ে বাধ্য হয়ে স্নান করতে হয়।
শীত কালে আমার স্নান করা নিয়ে একটা মজার ও একই সাথে গোপন তথ্য আছে।
pexels-pixabay-258303.jpgSource
আমি যখন মাধ্যমিকে পড়তাম। তখন অনেক সকালে আমাকে স্কুলে যেতে হতো কারন প্রথমে প্রাইভেট পড়তে হতো তারপর স্কুল শুরু হতো। একারনে অনেক সকালে বাড়ি থেকে রওনা করতে হতো।
সারা বছর ঠিকঠাক ভাবে সব কিছু চললেও শীতকালে বেশ বিপদে পড়তাম। শীতকালে এত সকালে স্নান করা সত্যি যুদ্ধ জয় করার মতো একটা অবস্থা ছিলো!
তবে এই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য মাঝেমধ্যে একটু চালাকি করতাম সেটা হলো -
সকাল বেলা যখন মা - বাবা বাড়িতে থাকতো না সেই সুযোগ বুঝে স্নান করতে গিয়ে স্নান না করেই মাথায় কোনো রকম জল দিতাম আর জামা কাপড় ধুয়ে এনে সেগুলো এমন জায়গায় শুকাতে দিতাম যেখানে সবার চোখ পড়ে।
বাড়িতে যেহেতু বাবা মা দু'জনই জানতো আমি শীতকালে স্নান করতে চাই না। তবে বাড়িতে এসে মা জামা কাপড় শুকাতে দেওয়া দেখে ভেবে নিতো হয়ত আমি স্নান করেছি।
ভাববেন না যে সব সময় এমন করতাম। যেদিন অনেক বেশি শীত করতো সেদিন এই চালাকিটা করতাম মাঝে মাঝে।
pexels-pixabay-259698.jpgSource
যাহ,
নিজের গোপন তথ্যটা নিজেই বোকার মতো ফাঁস করে দিলাম।
তবে এখন তো বড় হয়ে গেছি তাই স্নান করাটা মানসম্মানের সাথে জড়িয়ে গেছে। সেটা কেমন?
এখন যদি বাড়িতে বলি আজ স্নান করবো না ভীষণ শীত করছে। তখন মা বাড়ির পাশের ছোট বাচ্চাদের উদাহরণ দিয়ে বলে -
ওরা ছোট বাচ্চা হয়ে স্নান করতে পারছে তার আমি এত বড় হয়ে স্নান করতে চাইছি। এটা শোনার পর একটু সম্মানে লাগে আর কি! তাই যতই শীত পড়ুক না কেন স্নান করতেই হয়।