প্রিয় স্টিমিয়ান্স বন্ধুগণ,কেমন আছেন সবাই.??? আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আমার নব আরেকটি লেখায় আপনাকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আমি আজকের পোস্টের টপিক সিলেক্ট করেছি,"ডাবের পানি পান করার উপকারিতা ও অপকারিতা"।নিচে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো,সাথেই থাকুৃন।
pexels-zbigniew-bielecki-3887928.jpg
আমরা সবাই জানি, ডাব একধরনের ফল।উদ্ভট গরমে তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানি একটি কার্যকরি পানীয়।ডাবের পানি আমাদের দেশের ন্যায় বিশ্বের সকল দেশেই বেশ জনপ্রিয় এর গুণাগুণের জন্য।ডাবের পানিতে রয়েছেঃ ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম,লিপিড, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন,শর্করা, ভিটামিন সি সহ আরোও অনেক ধরনের খাদ্য পুষ্টি,যেগুলো মানবদেহের জন্য বেশ উপকারী ।ডাবের পানিতে থাকা খাদ্য পুষ্টির কারণে মানব শরীরের বাহির ও ভিতর উভয়ই সুস্থ থাকে।ডাবের পানিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের মানব শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
IMG_20230717_203753.jpg
IMG_20230717_203735.jpg
IMG_20230717_203815.jpg
সর্বজন স্বীকৃত মহৌষধ কালিজিরার মতো ডাবের পানিও একধরনের মহৌষধ।কারণ,ডাবের পানি মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখের সুরক্ষায় রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।সুস্থ অথবা অসুস্থ দুই অবস্থাতেই ডাবের পানি গ্রহন করা যায়।
চলুন এবার দেখে নেয়া যাক ডাবের পানির উপকারিতা ও অপকারিতাগুলো কি কি...।
উপকারিতাঃভালোভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে ডাবের পানির অপকারের তুলনায় উপকারের সংখ্যাই বেশি।চলুন তবে দেখে নিই ডাবের পানির উপকারী দিকগুলো;
১.ডাবের পানি পান করার ফলে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
২.ডাবের পানিতে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় গঠন এবং চুল,ত্বকের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩.পেটে হজম জনিত ব্যাপারগুলোতে রয়েছে ডাবের পানির কার্যকরি ভুমিকা।
৪.ডাবের পানি মানব শরীরে রক্ত সরবরাহকে ত্বরান্বিত করে,অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায় এবং হার্টকে রাখে সুস্থ।কারণ,ডাবের পানিতে কোনোরকম কোলেস্টেরল বা চর্বি থাকে না।
৫.ডাবের পানিতে পটাসিয়ামের আধিক্যের কারণে এই পানি ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
৬.ডাবের পানি মানবদেহের কোষগুলোকে করে তোলে সতেজ ও প্রাণবন্ত,এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করে।
৭.ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এই পানির রয়েছে কার্যকর ভূমিকা।
৮.ত্বকের সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবও ডাবের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৯.বসন্তরোগে ডাবের পানি দিয়ে সারা শরীর মোছন করলে উপশম পাওয়া যায়।
১০.ডায়রিয়া ও জন্ডিসের জন্য ডাবের পানি ঔষধের মতো কাজ করে।
অপকারিতাঃডাবের পানির উপকারী দিকের পাশাপাশি কতিপয় কিছু সংখ্যক অপকারী দিকও রয়েছে।চলুন দেখে নেয়া যাক সেই অপকারী দিকগুলো...;
১.ডাবের পানি পান করলে ঠান্ডা জনিত রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
২.শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য ডাবের পানি অনেকসময় বিষ সমতুল্য।
৩.এটি কিডনি রোগীদের জন্য প্রায় ক্ষতিকর। কারণ,ডাবের পানিতে থাকে উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম,যা কিডনির রেচন প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্থ করে।
উপরিউক্ত আলোচনার ভিত্তিতে আমরা বলতেই পারি, ডাবের পানির অপকারী দিকের চেয়ে উপকারী দিকই বেশি কিন্তু অপকারী দিক দুই একটা হলেও তো আছে।সেই হিসেবে আমার একান্ত মতামত,যেহেতু ডাবের পানির কিছু অপকারী দিকও রয়েছে, আর তাই আমি মনে করি অপকারী দিকগুলোকে বিবেচনা করেই ডাবের পানি পান করা উচিত। তাহলে হিতে বিপরীত ঘটবে না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আপনার মুল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।