ধৈর্য

in r2cornell •  4 days ago 

আমরা মায়ের পেট থেকে জন্ম নেওয়ার পর এপৃথিবীতে বিচরন করতে করতে বড় হতে থাকি। সম্পর্ক গড়ে ওঠে অনেক মানুষের সাথে। জড়িয়ে যাই ভাতৃত্ব, মায়া, প্রেম, ভালোবাসার বন্ধনে। এপৃথিবীতে মানুষের বৃদ্ধিকালে সহ্য করতে হয় অন্য মানুষের হাসি, ঠাট্টা, অবজ্ঞা।এ নিয়েই মানুষের জীবন। তবে অনেক মানুষ আছেন যারা অন্যের হাসি, হাট্টা, অবজ্ঞা, সমালোচনাকে সাধুবাদ জানিয়ে নিজেকে শুধরিয়ে নেয়। আবার অনেকেই আছেন যারা অন্যের যেকোনো কটুকথা সহ্যই করতে পারে না।

EEEoA8oLaAxsTkPYAARp78o5cJA1o6Chv9x98TzCFT6v5Gbt8i3negAkyqtWxoVqV9DupC5yzXVzCctxUeg8MSAHcSnrAQcbDf9dbzDhpuCKE5x3akn1vgrfyT26b7RGw9DJBvH6YBAQuvFZaybHp.jpegsource

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328TbVUk9fedjg3soeDmM64k63g8JXwLPVkB9rqweePsTmWG6WjxiH1MLvFZh3nC3sSNGLpCTjKeZV94k1nZWBDuovAKoNMLHTRG1k.jpegsource

যারা মানুষের কটুকথাকে সাধুবাদ জানিয়ে নিজেকে পরিবর্তন করে তারাই এপৃথিবীতে পরবর্তিতে ইতিহাস সৃষ্টি করে যায়। অপরদিকে যারা অন্যের একটু কটু কথায় নেতিয়ে পরে তারা সারাজীবন মেরুদণ্ড সোজা করে হাঁটতেও পারে না।

EEEoA8oLaAxsTkPYAARp78o5cJA1o6Chv9x98TzCFT6v5GDXB74KB9esdkyS6bgoEtYXLpeiabgqXZzNGpiEd1QzwvAG2y3A7vykRFF3YqCwBD71vnbqd9okE65ukdT3QeQTwP84sCtsFSfKA9Dxr.jpegsource

এপৃথিবীতে বিচরণ করা কালে এপৃথিবীর একেকটা উপাদান ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। কারও কাছে কোন কিছু আশা করার দরকার নাই। আপনি নিজে যতটুকু অর্জন করতে পারবেন সেটাই আপনার আপন অর্জন। পৃথিবীর মানুষের সাথে সুগভীর সম্পর্ক রেখে চলতে হবে বলেই আপনি সম্পর্ক ভালো রেখেই চলবেন। আপনি মানুষকে কিছু দিতে পারলে দিবেন কিন্তু অন্যের কাছে কিছু প্রত্যাশা করবেন না। তাহলেই আপনি সব ধরনের কষ্ট এড়িয়ে চলতে সক্ষম হবেন, আশাকরি।

পরিবার কিংবা কর্পোরেট জব সেক্টরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনেকসময় কলিগদের মধ্যে মনমালিন্য হয়৷ আর এতে কেউ কেউ এত খারাপভাবে ভেঙে পড়েন যেন তার খুব বড়সড় ক্ষতি হয়ে গেছে৷ আমার এক আত্মীয়ের কথাই বলি।সে কয়েকদিন পরপরই বলে, পরিবারের বিভিন্ন মানুষের কটু কথা শুনতে শুনতে সে নাকি ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে, আর সহ্য করতে পারছে না। সে পরিবার ছেড়ে অন্য কোথায় যেতে চায়, একটু স্বস্তি খোঁজার জন্য।

আসলে সে হয়তো জানেনা, তার পথ ব্যতিত অন্যসব পথ যতই চাকচিক্যময় লাগুক না কেনো, সব পথের ভিতরের খবরগুলো আরও বেশি ভয়ংকর৷
আমরা যখন কোনো সিনেমা দেখি, তখন বেশিরভাগ সিনেমাই কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা দীর্ঘ হয়ে থাকে। এই দুই আড়াই ঘন্টার সিনেমা জুড়ে কখনো হাসি, কখনো কান্না, কখনো সুখ, কখনো দুঃখ। তবুও আমরা গোটা সিনেমা খুব মনযোগ দিয়ে উপভোগ করি। আমাদের জীবনটাও ঠিক সিনেমার মতই। সিনেমা যদি মনোযোগ দিয়ে উপভোগ করতে পারি, তবে জীবন কেনো নয়...! যদিও সিনেমা আর বাস্তব জীবন এক নয়।

পরিবার কিংবা জব সেক্টরের মানুষগুলোর বলা কটুকথাগুলো অভিনয় হিসেবেই গ্রহণযোগ্য হোকনা আপাতত, নিজেকে ভালো রাখার জন্য ।
এই এক জীবনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় আর আমাদের মনোভাব থাকতে হবে সেসব পরিস্থিতিকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করার। একটা কথা সবসময় মনে রাখা জরুরি, কোনো খারাপ পরিস্থিতিই দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয় না৷

আলোর উপস্থিতিতেই অন্ধকার দূরীভূত হয়।
পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেনো, ধৈর্যের সাথে এগিয়ে চলুন। নেতিয়ে না পড়ে মনোবল দৃঢ় রাখুন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!