আর একটা নতুন দিনের সূচনা হলো এই সকাল হওয়ার মাধ্যমে। বন্ধুরা, আজকে আমি আপনাদের সাথে কচু শাক বা গাটি কচুর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
আর আজকে এখানে যে ছবিগুলো শেয়ার করবো তা আমি গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তুলেছিলাম।
যাই হোক, আমরা সবাই জানি কচু শাক বা গাটি কচুর উপকারিতা। তবুও পোস্টের শেষে আমি আবার কিছু বিশেষ উপকারিতার কথা শেয়ার করবো।
কচু শাক বা গাটি কচু আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। যেহেতু এর অন্যান্য অনেক পুষ্টি গুণ আছে। তাই অধিকাংশ সময়ই এটি আমার বাসায় রান্না হয়।আর এটা যেহেতু সারা বছরই পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা। তবে বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন ভাবে এই কচুশাক বা গাটি কচু খেয়ে থাকে।কেউ তরকারি রান্না করে, কেউ ভর্তা করে,কেউ সিদ্ধ গাটি কচুর সাথে আটা - ময়দা মিশিয়ে বিশেষ ধরনের পিঠা তৈরি করে খায়। এক কথায় মানুষের রুচি ভেদে এটি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া হয়ে থাকে।
তবে আমরা প্রায় সময়ই গাটি কচু তরকারি হিসেবে রান্না করে খাই। প্রথমে এই গাটি কচুকে মাটির নিচে থেকে তুলে এনে ভালো করে ধুয়ে নেয়া হয়েছে।ধোয়ার পর পানি শুকিয়ে নিয়েছি। তারপর একটা চাকু দিয়ে গাটি কচুর বাইরের আবরণ টা তুলে ফেলেছি।আবরণ টা তুলে ফেলার পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর একটা পাত্র চুলায় বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুচি, রসুন, লবণ, হলুদ , সয়াবিন তেল ইত্যাদি দিয়ে গাটি কচুর সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর পাত্রের ঢাকনা আটকে দিয়ে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। এরপর অপেক্ষার পর ঢাকনা খুলে একটা খুন্তি দিয়ে নাড়াচাড়া করে জিরা গুঁড়া মিশিয়ে রান্না শেষ করছি।
এবার আসি গাটি কচুর উপকারিতা নিয়ে আলোচনায়।গাটি কচু শুধু সাদে সুস্বাদু নয়, বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুনে অনন্য গাটি কচু। গাটি কচু তে রয়েছে ভিটামিন এ ,বি সি, ডি। এছাড়াও রয়েছে প্রোটিন, কপার, পটাসিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম ,ক্যালসিয়াম ও আয়রন। মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই গাটি কচু।হজম শক্তি ,রক্তাল্পতা দূর,ক্যান্সার রোধ ,হাইপার টেনশন,দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়,হৃদযন্ত্র ও পাকস্থলী সুস্থ রাখতে ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গাটি কচুর উপকারিতা অবর্ণনীয়।