Images source
হিজরতের সময় হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত রাঃআনহু এর বয়স 11 বছর ছিল। তিনি 6 বছর বয়সে এতিম হয়ে যান। বদরের যুদ্ধে স্বেচ্ছায় নিজেকে পেশ করেন কিন্তু অনুমতি মিলে নাই। পুনরায় উহুদের যুদ্ধে বাহির হইলেন কিন্তু ফিরাইয়া দেওয়া হইল।কেহ কেহ বলিয়াছেন যে সামরা রাযিঃআনহু ওরাফে রাঃ উভয়েরই অনুমতি হইয়াছিল যেমন এইমাত্র পূর্বের ঘটনায় বর্ণিত হইয়াছে এই কারণে তাহাকে অনুমতি দেয়া হয়।ইহার পর হইতে প্রত্যেক যুদ্ধে শরিক হতে থাকেন। তবে যুদ্ধে বনু মালেকের ঝান্ডা হযরত ও উমারা রাঃ আনহু এর হাতে ছিল। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত উমারা রাযিঃ আনহুকে দিয়া দিলেন। উমারা চিন্তিত হলেন সম্ভবত আমার দ্বারা কোন ভুল হইয়া গিয়াছে অথবা কোনো অসন্তুষ্টির কারণ ঘটিয়াছে। তিনি আরজ করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ!আমার ব্যাপারে আপনার কাছে কোন অভিযোগ আছে কি? সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন,না, ব্যাপার ইহা নহে। বরং জায়েদ তোমার চেয়ে কুরআন শরীফ বেশি পড়িয়াছে ।কুরআন তাহাকে ঝান্ডা বহনে অগ্রগণ্য করিয়া দিয়াছে।
ফায়দা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাধারণ অভ্যাস ছিল ,মর্যাদার ব্যাপারে দ্বীন অনুপাতে অগ্রধিকার দিতেন।এখানে যদিও যুদ্ধের ব্যাপারে ছিল ঝান্ডা বহনে কুরআন শিক্ষা বেশি হওয়ার কোন দখল ছিল না। এত সত্ত্বেও কুরআন অধিক জানার কারণে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হুজুর সল্লাল্লাহু সালাম এই বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখিতেন। এমনকি কোনো কারণে যদি একাধিক লোককে একই কবরে দাফন করিতে হইত তবে যাহার কুরআন অধিক জানা থাকিত তাহাকে অগ্রাধিকার দিতেন।যেমন ওহুদের যুদ্ধে করিয়াছেন।