আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন । আপনাদের দোয়া আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি । প্রথমে জানাই আমার বাংলা ব্লগ এর সকল সদস্যদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন । আপনাদের সকলের দোয়ার জন্য আজকে বোনের বিয়ের দ্বিতীয় পর্ব টি আপনাদের সামনে উপস্থিত করলাম । তাহলে চলুন বন্ধুরা বোনের বিয়ের দিনটির কাটানো কিছু মুহূর্ত জেনে নেওয়া যাক
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখি খিচুড়ি রান্না হয়ে গেছে । তাই দেরি না করে একটু ফ্রেশ হয়ে এসে খিচুড়ি নিতে গেলাম । |
---|
কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি অনেক ভিড় কারণ সকাল বেলা খিচুড়ি খাওয়ার জন্য সবাই এখানে ভিড় করতেছে । তাই আমি অনেক চাপা ছবির মাঝে এক প্লেট খিচুড়ি নিয়ে ওখান থেকে চলে আসলাম । ওইখান থেকে আসার পর অন্য এক খানে খিচুড়ি খেতে লাগলাম । কিছুক্ষণ খাওয়ার পর একটা বোন এসে বলল সে নাকি এখনো খিচুড়ি পায় নেই । তাই আমারটা তার হাতে দিয়ে তার জন্য কিছু নিতে গেলাম কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি অল্প একটু রয়েছে । এগুলো নিয়ে এসে তার সাথে আমার কিছুটা দিয়ে তাকে দিয়ে দিলাম । দুই ভাইবোন মিলে কিছু সময় খাওয়ার পর খাওয়া শেষ করে দিলাম । খাওয়া শেষ করার পর বোনটি বলল তার নাকি পেট ভরেনি । তাই তাকে নিয়ে গেলাম একটি দোকানে । সেখানে গিয়ে সে তার ইচ্ছামত কিছু নিয়ে নিল । এরপর সেখান থেকে চলে আসলাম । তার একটু পর গোসল করতে চলে গেলাম কারণ দশটা হতেই দাওয়াত খাওয়ার জন্য লোক চলে আসবে । তাই দেরি না করেই গোসল সেরে আসলাম । গোসল শেষে বাসায় যখন আসলাম তখন আপু বলল পরিবেশন করার মত সেরকম কোনো লোক নেই । |
---|
তবে খাইতে বসি আমি ভালো করে খাইতে পারলাম না । সারাদিন পরিবেশন করার কারণে কোনো কিছু খাইতে ইচ্ছা করলো না । তাই একটু খেয়ে সেখান থেকে উঠে আসলাম । |
---|
এরপর সবাই মিলে রাস্তার মাঝে একটু হাটাহাটি করলাম । হাটাহাটি শেষ করেই যখন বাসায় আসলাম তখন ভাইয়া বলল বরের গাড়ি আসতেছে । তাই আমি দেরি না করে বরের প্লেট সাজানো জন্য একটি রুমে চলে গেলাম । সেখানে গিয়ে ফুল দুই ঘন্টা ধরে প্লেট সাজানোর কাজটি সম্পন্ন হল । এরপর বর এর কাছে নিয়ে গেলাম । সেখানে গিয়েই যত ঝামেলা শুরু হয়ে গেল । কারণ আমি এত কষ্ট করে প্লেট টি সাজালাম কিন্তু তার ন্যায্য মূল্য দিল না । মাত্র 400 টাকা দিয়ে বলল এইটাই আপনাদের পারিশ্রমিক । |
---|
তখনই আমার মেজাজটা অনেক খারাপ হয়ে গেল । তারাও অনেক কিছু বলতে থাকলো । আমিও তাদের জবাব দিতে লাগলাম । অবশেষে আমি একটা রুমে একটা কার্ড নেওয়ার জন্য গেছিলাম । কিন্তু সেখান থেকে এসে দেখি একটা আপুকে তারা 400 টাকা দিয়ে সব কিছু মিটিয়ে দিয়েছে । তখন তার হাতে সে টাকাটা দেখেই মেজাজটা আরও গরম হয়ে গেল । কারণ এত কষ্ট করার পরও তারা আমাদের ন্যায্য মূল্য দিল না । তাছাড়া আমাদের অনেক কিছু বলে অপমান করল । তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম সবার শেষে মালা পড়ানো পরবর্তীতে তাদের অপমানের জবাব দিব । তাই মালা নিয়ে ক্যামেরার সামনে চলে গেলাম । সেখানে গিয়ে সবার সামনে শুধু বোনের গলায় মালা পরিয়ে দিয়ে আসলাম । তখন সবাই বললো শুধু কনের গলায় মালা কেন । বরের গলায় মালা কই । তখন রাগের মাথায় বললাম আমাদের বোন আমরা মালা পরায় দিচ্ছি । আপনাদের ভাইয়া আপনারা মালা পরিয়ে নিয়ে যান । তখন তারা চূড়ান্ত অপমান হল । তবে অপমান করার পর বাবার কথায় বরের গলায় আবারো মালা পরিয়ে দিলাম । এরপর বিয়ের রীতিনীতি মত সবকিছু করা হলো । পরবর্তীতে সবার সাথে কথাবার্তা বলে সবাইকে বিদায় দিলাম । |
---|
❤️ সবাইকে ধন্যবাদ ❤️ |
---|