১/ রাতে একা একা হাটলে যদি বুঝেন আপনার পিছনে কেউ আছে ঘাড় ঘুরাবেন না, পুরু শরীর ঘুরিয়ে দেখোন,আর পিছনে না তাকানোই উত্তম।
২/ ঘরে, মসজিদে বা বিছানায় সাপ দেখলে প্রথমে মারবেন নাহ, চলে যেতে বলবেন, কারণ জ্বীনেরা সাপের রুপ ধারণ করতে পছন্দ করে, না গেলে বুঝবেন ওটা সাপ,মারতে পারেন বা তাড়িয়ে দিন।
৩/ যদি রাতে কখনো দেখেন গাছের ডাল বা বাঁশ ঝুকে আছে এর উপর বা নিচ দিয়ে যেতে চেষ্টা করবেন নাহ, সুরা ইখলাস পাঠ করোন।
৪/ গভীর রাতে ঘরের বাহির থেকে কেউ একবার ডাকলে সারা দিবেন না, তিনবার ডাকলে সতর্কতার সহিত বের হোন।
৫/ যদি কখনো গাছের ডগায় বা ডালে অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পান,দ্বিতীয় বার না তাকিয়ে মাটির দিকে তাকিয়ে চলে যান।
৬/ যদি রাতে আপনার রুমে এসে দেখেন আপনিই আপনার রুমে বসে আছেন, ভয় না পেয়ে চোখ বন্ধ করে আয়াতুল কুরসি পরবেন তারপর চোখ খুলুন, এটা আপনার সাথে থাকা ( কারিন জ্বীন)
৭/ রাতে কখনো চিত হয়ে ঘুমাবেন নাহ, আর যদি ভয়ের স্বপ্ন দেখেন, বুকের বাম পাশে তিনবার থুথু ফেলবেন, (বুখারী)
৮/ পুকুরে বা নদীতে গোসল করার সময় যদি কেউ আপনার পা টেনে নিচের দিকে নিয়ে যায় এমন বুঝেন প্রথমে চিৎকার দিবেন, পরে কষ্ট হলেও দোয়া ইউনুস পাঠ করোন, পানির নিচে জ্বীন বাস করে।
৯/ যদি রাতেকখনো দেখতে পান কুকুর বা বিড়াল আপনার সাথে অস্বাভাবিক আচরণ করছে তাহলে সাথে সাথে মাটিতে একটা বৃত্ত একে তার ভিতরে দাড়িয়ে যান,আর দোয়া ইউনুস পাঠ করোন।
১০/ যদি কখনো রাতের বেলায় পথ হারিয়ে ফেলেন বা একি রাস্তায় বারবার চলে আসেন, বা গন্তব্য মনে পরছে নাহ,আজান দিবেন ঠিক হয়ে যাবে, গয়রান- নামক জ্বীন আপনাকে ঘোরাচ্ছে।
১১/ রাতে ঘুমের মধ্যে যদি দেখেন আপনার বুকে কেউ ভর করে আছে চিৎকার দিবেন নাহ লাভ নেই কারণ আপনার চিৎকার কেউ শুনতে পাবেনা, আপনার জানা যেকোনো সুরা বা আয়াত পাঠ করোন।
১২/ মরা মানুষের আত্মা আপনার সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন কিছু ঘটলে ভয় না পেয়ে আয়াতুল কুরসি পরবেন, জ্বীনেরা এমনটা করে থাকে। শুধু সালাম দিয়ে চলে যান।
১৩/ কবরস্থান পবিত্র জায়গা হলেও সেখানে (ঘুল) নামক জ্বীন থাকে, সতর্ক হওয়া উচিত।
১৪/ আয়নার মধ্যে জ্বীন প্রবেশ করতে পারে তাই পর্দা দিয়ে রাখবেন, বাতরুমের আয়না রাতে না দেখা ভালো।
১৫/ যদি কখনো দেখেন আপনি মিষ্টি জাতীয় কিছু খাচ্ছেন পিঠা বা অন্য কিছু সামনে বিড়াল খেতে চাচ্ছে অবশ্যই তাকেও খেতে দিন,সাপ আর বিড়ালের রুপ ধারণ করতে জ্বীন পছন্দ করে আর ওদের প্রিয় খাবার মিষ্টি।
১৬/ মাগরিবের সময়, ঠিক দুপুর বেলায় এবং রাত ১২ টার দিকে জ্বীনদের প্রভাব বেশি থাকে, এই সময় সতর্ক থাকবেন বাচ্চা দের সতর্ক রাখবেন, বিশেষ করে সন্ধ্যায় বিসমিল্লাহ বলে দরজা বন্ধ করবেন।
১৭/ অতিরিক্ত রাগ করবেন নাহ, রাগের সময় আমাদের মুখের কথা যখন আটকে যায় তখন জ্বীনেরা আমাদের শরীরে প্রবেশকরে, রাগের সময় দাড়িয়ে থাকলে বসে যান,বসে থাকলে শুয়ে যান।
ধন্যবাদ সবাইকে কষ্ট করে পড়ার জন্য।