আমরা সবাই জানি যে, মানুষের দেহের দুই তৃতীয়াংশই পানিপূর্ণ।
দেহের প্রায় সব বিপাক ক্রিয়া পানি ছাড়া অচল।
এ কারণেই অনেকেই পানির অপর নাম " জীবন " বলে থাকে।
এছাড়াও চিকিৎসকরা রোগী এমনকি সাধারণ মানুষদের কে বেশি বেশি করে পানি খেতে উৎসাহিত করেন।
আমরা যে পানি খাই,তা শরীরে বিপাক ক্রিয়ায় তৈরি আরো পানির সাথে মিশে রক্তের মধ্য দিয়ে শরীরের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ায়।
এক পর্যায়ে তা কিডনীর ছাঁকনির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং সব বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নির্গত হয়।
তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের না হলে, শরীর ফুলে যাবে।
ফলে মানুষের কিডনী বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
পানি পান করার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় বলে চিকিৎসাশাস্ত্রে বলা হয়েছে।
কিন্তু জনগণের মনে এই বদ্ধমূল ধারণা যে- পানি পানে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ,বিশেষত কিডনী খুব সুস্থ,সবল থাকে।
তবে উল্লেখ্য যে, যদি কারো কিডনী সুস্থ থাকে। তবে বেশি পানি পান করার ফলে তার বাথরুমের মাত্রা বেড়ে যায়।আর যদি কিডনী নষ্ট থাকে, তবে সে পানি তার শরীরে জমে রোগের তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়।
প্রস্রাবে ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে তাই আগে থেকেই পরিমিত পানি পান ও মুত্রত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মূলত চিকিৎসাশাস্ত্র মতে, একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন তিন লিটার পানি পান করা উচিত।এর মধ্যে দেড় লিটার পানি পান করা উচিত- যা মাঝারি গ্লাসের আট গ্লাস পানির সমান।
বাকি দেড় লিটারের মধ্যে এক লিটার আমরা যে খাবার খাই তার মধ্যে পাওয়া যায়।
আধা লিটার পানি শরীরের অভ্যন্তরে বিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়।
এই পানির মধ্যে প্রায় দুই লিটার প্রস্রাব হিসেবে বেড়িয়ে যায়।
কিছু পানি বেরিয়ে যায় মলের সাথে।
আর প্রায় এক লিটার পানি আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের ও শরীরের ঘামের মাধ্যমে নির্গত হয়।
এভাবে নিয়ম মেনে পানি পান করি।
এবং সবাই সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করি।