বন্ধুরা অনেকদিন পর আবারও আপনাদের মাঝে চলে আসলাম। ঈদ শুরু হওয়া থেকে অনেক ব্যস্ততার মধ্যে থাকার কারণে নিয়মিত পোস্ট ও এনগেজমেন্ট করতে পারিনি, এখন থেকে আবারও নিয়মিত পোস্ট ও এনগেজমেন্ট করব।
আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি মামা হওয়ার অনুভূতি। অনেক কল্পনা জল্পনার পর সৃষ্টিকর্তার রহমতে পরশুদিন রাতে নতুন ভাগ্নার আগমন ঘটেছে। একটা শিশু পৃথিবীতে আসার জন্য তার মায়ের অনেক যুদ্ধ করতে হয় আর এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া মানেই সার্থকতা।
ঈদের পরের দিন থেকে বাসায় ছিলাম না, মামাতো বোনের বিয়ে ও বন্ধুর বিয়ে নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যে ছিলাম। কোন বিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে শেষ করতে পারেনি বৃষ্টির যন্ত্রনায়। আর ঈদের পর থেকেই বিয়ের এক ধুম পড়ে গেছে, একই দিনে তিন বন্ধুর বিয়ে ছিল আর সবাই দাওয়াত করেছে। তাদের মাঝখান থেকে এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছিলাম আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে। আর বন্ধুর বিয়ে থেকে রাতেই বাসায় চলে আসি যেহেতু বাসার কাছে ভেবেছিলাম সকালে উঠে আবার যাব।
কিন্তু ঘুম থেকে উঠে দেখি বোনের সমস্যা দেখা দিয়েছে, এদিকে বৃষ্টি হচ্ছে আর ভাইয়া বাসায় ছিল না। পড়ে ভাইয়াকে ফোন করি আর ভাইয়া রওনা হয় বাসায় আসার উদ্দেশ্যে। এদিকে আম্বুলেন্স কে ফোন করি, পরে ভাইয়া বাসায় চলে আসে পরে আমরা সবকিছু গুছিয়ে ১১ টার পরে রওনা হই রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে যাওয়ার উদ্দেশ্যে।
ঠিক ১.৪০ মিনিটে ক্লিনিকে পৌঁছায় আর যাওয়ার পর আমরা ডাক্তার আজিজা বেগম লুসিকে দেখায় আর সে বলে আজকে রাতেই সিজার করাতে হবে। যেহেতু সিজার করাবে, আনুষঙ্গিক কিছু কাজ থাকে সেগুলো দুই ভাই দৌড়াদৌড়ি করে করি । বোনের যেহেতু টিউমার হয়েছে সেটা তো অপারেশন করবে সিজার করার সাথে সাথে।
ডাক্তার বলেছিল রাত ১১ টার পরে সিজার করাবে, ঠিক এগারোটার আগ মুহূর্তে বোনকে নিয়ে যায় আর আমি ভাইয়া ও ভাবিও সেখানে যেয়ে বাইরে অপেক্ষা করতে থাকি। কিছু সময় পরেই, বাচ্চা নিয়ে আসে দেখে এতটা প্রশান্তির লাগছিল যেটা বলার মত না। একটা মা একটা বাচ্চার মুখ দেখার জন্য কতই না কষ্ট করে থাকে সেটা আমি আমার বোনকে দেখে বুঝেছি।
সৃষ্টিকর্তা রহমতে বাচ্চা একদম সুস্থ রয়েছে, বাচ্চাকে দেখার জন্য আমরা একজন শিশু বিশেষজ্ঞ নিয়ে রেখেছিলাম। আর বাঁচা হওয়ার সাথে সাথে শিশু ডাক্তার দেখে আর বলে কোন সমস্যা নেই। আমরা ভেবেছিলাম টিউমারটা থাকার জন্য বাঁচার কোন সমস্যা হবে, সৃষ্টিকর্তার রহমতে কোন সমস্যা হয়নি। আর টিউমার অপারেশন একসাথে করার কথা ছিল কিন্তু করতে পারেনি বোনের কিছু সমস্যা থাকার জন্য। যদি টিউমার অপারেশন করে তাহলে অনেক রক্ত ক্ষরণ হবে যার ফলে রোগীর অনেক বড় বিপদ হতে পারে আর এই জন্য টিউমার অপারেশন পরেনি, আর সেটা ওষুধের মাধ্যমে বা পরবর্তীতে অপারেশন করার কথা বলে।
ডাক্তার বলেছে ওটা নিয়ে সমস্যা হবে না। আর বাচ্চার মা এমনি সুস্থ আছে, কথাবার্তা ও হাঁটাচলা করতে পারে আসতে আসতে। আশা করি সৃষ্টিকর্তা সকল সমস্যা দূর করে দেবে।
Telegram and Whatsapp