সুস্থ মানুষের রাতে যতটুকু ঘুমানো উচিত

in burn •  16 days ago 

ঘুম মানুষের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। একজন মানুষের কতটা ঘুমানো উচিত তা নির্ভর করে বয়স, জীবনযাত্রা, শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, এবং ব্যক্তিগত প্রয়োজনের উপর। তবে বিশেষজ্ঞরা সাধারণত বিভিন্ন বয়সের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ঘুমের সময় নির্ধারণ করেছেন, যা সুস্থতার জন্য আদর্শ বলে বিবেচিত হয়।

download (5).jpegsource

download (8).jpegsource

বয়সভিত্তিক ঘুমের প্রয়োজনীয়তা
শিশুরা এবং কিশোরদের জন্য ঘুমের প্রয়োজন বেশি। নবজাতক শিশুদের জন্য দিনে ১৪-১৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন, এবং এই সময় তাদের মস্তিষ্ক এবং শরীর দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই প্রয়োজন কমে আসে।

১-২ বছরের শিশুরা সাধারণত ১১-১৪ ঘণ্টা ঘুমায়। ৩-৫ বছরের বাচ্চাদের জন্য ১০-১৩ ঘণ্টা ঘুম আদর্শ। বয়ঃসন্ধিকালে (৬-১২ বছর) এই প্রয়োজন কমে ৯-১২ ঘণ্টায় নেমে আসে।

কিশোরদের (১৩-১৮ বছর) জন্যও ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই সময়টাতে তারা শারীরিক এবং মানসিকভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাদের জন্য প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম সুপারিশ করা হয়।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য (১৮-৬৪ বছর) সাধারণত ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। তবে এটি ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে। কিছু মানুষ ৬ ঘণ্টার ঘুমেই সতেজ বোধ করেন, আবার কেউ কেউ ৯ ঘণ্টা বা তারও বেশি ঘুমের প্রয়োজন বোধ করতে পারেন।

৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদের জন্যও ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট বলে ধরা হয়। তবে, বয়সের সাথে সাথে ঘুমের ধরনেও পরিবর্তন আসে। অনেক সময় বয়স্ক মানুষদের ঘুম ভাঙে, এবং তারা দিনেও ছোট বিরতিতে ঘুমিয়ে নিতে পারেন।

ঘুমের প্রয়োজনীয়তা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ঘুম আমাদের মস্তিষ্ক এবং শরীরের পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা ঘুমাই, তখন আমাদের শরীর মেরামতির কাজ করে এবং মস্তিষ্ক স্মৃতিগুলিকে সংরক্ষণ করে। ভালো ঘুম মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করে। এটি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, এবং স্থূলতা প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে।

অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা হতে পারে। এটি ডিপ্রেশন, উদ্বেগ, এবং মনোযোগের ঘাটতি সহকারে আচরণগত সমস্যা তৈরি করতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের অভাব উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

ভালো ঘুমের জন্য টিপস
১. নিয়মিত ঘুমের সময়সূচি বজায় রাখা: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে জাগ্রত হওয়া শরীরের ঘুমের চক্র স্থির রাখতে সহায়তা করে।

২. ঘুমের পরিবেশ উন্নত করা: ঘুমানোর জন্য শান্ত, অন্ধকার, এবং ঠাণ্ডা পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। অতিরিক্ত আলো বা শব্দ ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে।

৩. ক্যাফেইন এবং ভারী খাবার এড়ানো: ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন, অ্যালকোহল বা ভারী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এগুলো ঘুমের মানকে প্রভাবিত করতে পারে।

৪. ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার সীমিত করা: ঘুমানোর আগে ফোন বা টিভির মতো ডিভাইস ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা ভালো, কারণ এদের থেকে নির্গত নীল আলো ঘুমের হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়।

উপসংহার
পর্যাপ্ত এবং ভালো মানের ঘুম একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। বয়সের সঙ্গে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা পরিবর্তিত হয়, তবে সাধারণত ৭-৯ ঘণ্টার ঘুম প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যথেষ্ট। সঠিক ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুললে আমরা জীবনে সুস্থতা এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!
Sort Order:  
  ·  16 days ago  ·  

Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. Get more BLURT:

@ mariuszkarowski/how-to-get-automatic-upvote-from-my-accounts

@ blurtbooster/blurt-booster-introduction-rules-and-guidelines-1699999662965

@ nalexadre/blurt-nexus-creating-an-affiliate-account-1700008765859

@ kryptodenno - win BLURT POWER delegation

Note: This bot will not vote on AI-generated content