বন্ধুরা বিশ্ববাসী নতুন এক আতঙ্কের নাম এমপক্স।তাই আমাদের থেকেই সচেতন হতে হবে।আসুন এ রোগ সম্পর্কে কথা বলি ও নিয়ন্ত্রণের উপায় জানি।
প্রাথমিক লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ঘর্মাক্ত হওয়া, পিঠে ব্যথা ও পেশিতে ব্যথা। একবার জ্বর সেরে গেলে ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। প্রায়ই এ ফুসকুড়ি মুখমণ্ডলে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে হাতের তালু ও পায়ের তলায়।
ফুসকুড়িতে ভীষণ চুলকানি বা ব্যথা হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুসকুড়িতে পরিবর্তন আসে ও চূড়ান্তভাবে খোসপাঁচড়ায় রূপ নেওয়ার আগে এটি কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে। খোসপাঁচড়াগুলো পরে শুকিয়ে পড়ে যায়। দেখা দিতে পারে শরীরে ক্ষতচিহ্ন।
সাধারণত এ সংক্রমণ নিজে থেকে সেরে ওঠে এবং তা ১৪ থেকে ২১ দিন স্থায়ী হয়। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে সারা শরীর, বিশেষ করে মুখমণ্ডল, চোখ ও যৌনাঙ্গে ক্ষত দাগ দেখা দিতে পারে।
যেভাবে ছড়ায় How it spreads
এমপক্সে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এমন সংস্পর্শের মধ্যে রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক, ত্বকের স্পর্শ, কাছাকাছি থেকে কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাস।
ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করে ভঙ্গুর ত্বক, শ্বাসপ্রশ্বাস, চোখ, নাক বা মুখের মধ্য দিয়ে। এ ছাড়া ভাইরাস লেগে আছে এমন বস্তু, যেমন বিছানাপত্র, জামাকাপড় ও তোয়ালে স্পর্শ করেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এমপক্স।
সংক্রমিত হওয়ার আরেকটি মাধ্যম সংক্রমণের শিকার পশু, যেমন বানর, ইঁদুর ও কাঠবিড়ালি।
২০২২ সালে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার পেছনে মূলত কাজ করেছে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক।
পরামর্শ Advice
আক্রান্ত হওয়া ঠেকাতে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। কমিউনিটির মধ্যে এ রোগ দেখা দিলে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।
এ ছাড়া সম্পূর্ণ সেরে না ওঠা পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিকে সঙ্গনিরোধ অবস্থায় থাকতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সুস্থ হয়ে ওঠার পর আক্রান্ত ব্যক্তি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে পূর্বসতর্কতা হিসেবে তাঁর ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত কনডম ব্যবহার করা উচিত।
নিয়ন্ত্রণের উপায় Control method
এমপক্সের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার সেরা উপায় টিকা গ্রহণ। এর টিকা রয়েছে। কিন্তু সাধারণত তাঁরাই শুধু এটি নিতে পারেন, যাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে বা রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে রয়েছেন।
সম্প্রতি ডব্লিউএইচও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জরুরি ব্যবহারের জন্য এ টিকার সরবরাহ বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানিয়েছে; এমনকি ওই সব দেশেও, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ টিকার অনুমোদন দেয়নি।তাই আসুন আমরা এখনই সচেতন হই।