শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখার কৌশল।

in burn •  last month 

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তাই সবাইকে এই নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করা উচিত।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে শারীরিকভাবে ফিট থাকা জরুরি। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া, হাড়ক্ষয়, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে, এগুলো রোধে চাই ফিটনেস। দীর্ঘদিন সচল ও কর্মক্ষম থাকার জন্যেও শারীরিক ফিটনেস বেশ জরুরি।

শারীরিক ফিটনেস ঠিক রাখতে করণীয়।

woman-498257_1280.jpg
Source

শারীরিক ফিটনেস ঠিক রাখার প্রধান কৌশল হলো ব্যায়াম। ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়স্ক সুস্থ ও শারীরিকভাবে ফিট মানুষের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি গতিতে বা ৭৫ মিনিট দ্রুত গতিতে অ্যারোবিক ব্যায়াম করা দরকার। এক্ষেত্রে সপ্তাহে ২-৩ দিন করতে হবে পেশীশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম। অ্যারোবিক ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, স্কিপিং, সাঁতার কাটা ইত্যাদি। পার্কে বা রাস্তায় যেতে না পারলে ট্রেডমিল বা ছাদে হাঁটুন, স্পট জগিং করুন, স্পট স্কিপিং করুন বা স্ট্যাটিক সাইকেল চালান।

সাধ্যমতো জোরে হাঁটলে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের বেশি উপকার হয়। টানা ২০-৩০ মিনিট হাঁটতে হবে। টানা না পারলে সকালে ২০ মিনিট ও বিকেলে ২০ মিনিট হাঁটবেন। এমন গতিতে হাঁটতে হবে যেন শরীর ঘেমে যায়।

zumba-4333580_1280.jpg
Source

হাঁটু, কোমর, গোড়ালির অবস্থা দেখে নেবেন। হৃদযন্ত্র-ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যারোবিক ব্যায়াম করুন। তবে হাঁটা বা জগিংয়ের আগে ভালো মানের হাঁটার জুতো পরে নেবেন। না হলে পায়ে ব্যথা হতে পারে।

স্ট্রেচিং কিভাবে করতে হয়, তা কমবেশি সবাই জানেন। বিশেষ কিছু নয়, শরীরের প্রতিটি পেশীসন্ধিকে সচল রাখার জন্য এই ব্যায়াম খুবই উপকারী।

পেশী জোরদার করার ব্যায়াম দু’ভাবে করা যায়। ওজন নিয়ে ও শরীরের ওজন ব্যবহার করে। বিভিন্ন রকমের স্কোয়াটিং আছে, লেগ রাইজিং, প্ল্যাঙ্ক, পুশ-আপ ইত্যাদি উপায়ে এসব ব্যায়াম করা যায়। তবে বয়স্ক বা ক্রনিক অসুখ আছে বা ফিটনেস কম কিংবা হাঁটু-কোমরের ব্যথা আছে, এমন মানুষের পক্ষে অভ্যাস না থাকলে অবশ্যই একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ইদানীং কয়েকটি নতুন ধরনের ব্যায়ামের ধারা চালু হয়েছে। এসবে সুরের তালে তালে অ্যারোবিকের সঙ্গে স্ট্রেচিং, ব্যালেন্সিং, স্ট্রেংথ ট্রেনিং—সব করা যায়।

জুম্বা করতে পারেন। তবে বয়স কম ও ফিটনেস বেশি থাকলে তবেই। ফিটনেস ভালো থাকলে বেশি বয়সেও এ ব্যায়াম করা যায়। এ ব্যায়ামে শরীর-মন দুটোই ভালো থাকে।

রীরকে ফিট ইয়োগাও করতে পারেন। এটা সব বয়সের মানুষই করতে পারেন।

yoga-6128116_1280.jpg
Source

আমাদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি, মানসিকভাবে সুস্থ থাকাও খুব জরুরি। মেডিটেশনের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যায়। এছাড়া বেশির ভাগ সময় সচল থাকার চেষ্টা করুন। এক জায়গায় টানা বসে না থেকে কিছুক্ষণ পরপর উঠে দাঁড়ান, হাঁটাহাঁটি করুন। প্রয়োজনে হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন। এতে শরীর ফিট, তরতাজা ও উৎফুল্ল থাকবে। আর শরীর ফিট থাকলে যেকোনো কাজই সহজে করা যায়। তাই সবসময় শরীরকে ফিট রাখার চেষ্টা করতে হবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!