সকল পেশার মানুষেরই সমান অধিকার রয়েছে সমাজে। তবে আমাদের মতো অহংকারী মানুষরাই পেশার ভিত্তিতে মানুষকে সম্মান করে থাকি। সমাজে কুলি বা মুচিরও অবদান রয়েছে৷ তবে সেটা ভুলে যাই আমরা।
তবে আমাদের চোখের সামনে এমন কিছু অহংকারী মানুষকে দেখি যারা নিজেকে অনেক জ্ঞানী ও সম্মানী মনে করেন এবং অন্যকে ছোটো করে দেখেন।অর্থের দিক থেকে হয়ত সবাই সমান নয় তবে মানুষকে কি অর্থের হিসাবে বিবেচনা করা উচিত?
আমি তো সেটা মনে করি না! অর্থ, ধন -সম্পদ আজ আছে কাল নাও থাকতে পারে তাই সম্পদের পরিমাণ বিবেচনা করে নিজেকে বড় বা অন্যকে ছোটো মনে করা উচিত না। আজ হয়ত আমার অনেক কিছু আছে তবে কাল যখন আমার কিছুই থাকবে না তখন যদি আমার আশেপাশের মানুষজন আমাকে পাত্তা না দেয় বা আজকের মতো সম্মান না দেয় তাহলে আমার খারাপ লাগবে না??
অবশ্যই খারাপ লাগবে! অন্যকে অপমান করার আগে সেই অপমানিত ব্যক্তির জায়গায় সর্বপ্রথম নিজেকে দাঁড় করিয়ে তার কষ্টটা অনুভব করা উচিত।
হয়ত বর্তমান অবস্থায় দাঁড়িয়ে তার কষ্টটা পুরোপুরি অনুভব করতে পারবো না। ধান ঝাড়তেও কখনও কখনও ভাঙা কুলার প্রয়োজন হয়ে থাকে তাই আমাদের জীবনে কখন যে কার দরকার পড়বে সেটা কেউ বলতে পারে না।
pexels-rdne-7045377.jpgSource
আমি সব সময় একটু চুপচাপ স্বভাবের। সবার মাঝে উপস্থিত থাকলেও একটু কম কথা বলতে পছন্দ করি। তার মানে এই না যে আমি মানুষের সাথে মিশতে জানি না এমন কিছু! আবার এমনটাও নয় যে, আমি রসিকতা বা সকলের সাথে মজা করতে পছন্দ করি না।
তবে সবাই যখন কথা বলে তখন আমি চুপচাপ থেকে তাদের কথা বোঝার চেষ্টা করি। আমাদের প্রত্যেকের আশেপাশে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা সকলের মাঝে নিজেকে সবজান্তা বলে দাবি করার চেষ্টা করে। তাদের কথা শুনে মনে হয় তারা জোর করে হলেও অন্যের কাছ থেকে সম্মান আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা করে।
আমার গ্রামের একজনের কিছু স্বভাবের কথা ভেবেই এই কথাগুলো মাথায় আসলো। আমাদের গ্রামেই তার বাড়ি। লোকটা একটা স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা হেড মাস্টার ছিলো।
তবে লোকটার অনেক অহংকার ছিলো এবং সকলের মাঝে অনেক দম্ভ নিয়ে কথা বলতো। বলতো, কেন বলছি সেটা পরেই জানতে পারবেন।
pexels-abhinav-tripathi-473877923-15774329.jpgSource
লোকটা এতটাই অহংকারী ছিলো যে তাকে যে যাই বলে ডাকুক না কেন প্রথমে হেড মাস্টার বলতে হবে। শুধু মাস্টার বললেও হবে না, তাকে হেড মাস্টার বলতে হবে।
এমনও হয়েছে সে অন্যকে বুঝিয়ে বলছে যেন তাকে হেড মাস্টার বলে ডাকা হয়!
এই লোকটা সবার মাঝে ভুল বলুক বা সঠিক বলুক কেউ যদি তার উত্তরে কিছু বলতো তাহলে তাকে অপমান করতেও দ্বিধা করতো না।
একটা কথা কি জানেন- যতদিন শরীরে জোর থাকে ততদিন নিজের দম্ভ থাকে তবে গায়ের জোর কমার সাথে সাথে সব অহংকারও বিলুপ্ত হতে থাকে।
আমরা যেমন কর্ম করবো উপরে একজন তার হিসাব রাখছে এবং সেই অনুযায়ী কর্মফল দিয়ে থাকেন। আমরা যদি অহংকার করি তাহলে ঈশ্বর আমাদের সাথে এমন কিছু করবে যাতে করে আমাদের সকল অহংকার, সকল দম্ভ চুর্ণ হয়ে যাবে!
সেই লোকটার সাথেও সেটাই হয়েছে। তার দুটো ছেলে, আর এই দুই ছেলেই তার সব মান সম্মান সব কিছু ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে। তার দুই ছেলের অনৈতিক কাজ কর্মের জন্য সে এখন লোকজনের সামনে আগের মতো মুখ তুলে কিছু বলতে পারে না।
অন্যদের সামনে নিজেকে বড়ো মনে না করে নিজের কাজ, নিজের সততার দিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত তাহলে সবাই এমনিতেই সম্মান করবে। সম্মান তো মানুষের নিজের জন্য হওয়া উচিত। নিজের কাজকে তথা নিজের ব্যক্তিত্বকে যদি নিজে সম্মান করা যায় তাহলে অন্য কারো অসম্মান গায়ে লাগে না।
অনেক সময় এমনও পরিস্থিতি সামনে আসে যেখানে সকলের সামনে নিজের মাথা নত করলেও সম্মানটা নিজেরই প্রাপ্ত হয়। আমার সম্মান আমার কাছে, অন্য কারো কাছ থেকে আমি সম্মান আশা করি না, এই নীতিতে বিশ্বাসী আমি!
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. Get more BLURT:
@ mariuszkarowski/how-to-get-automatic-upvote-from-my-accounts
@ blurtbooster/blurt-booster-introduction-rules-and-guidelines-1699999662965
@ nalexadre/blurt-nexus-creating-an-affiliate-account-1700008765859
@ kryptodenno - win BLURT POWER delegation
Note: This bot will not vote on AI-generated content