এম পক্স" ভাইরাসজনিত রোগ

in burn •  5 months ago 

এম পক্স (Mpox), যা আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল, একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই রোগটি মূলত পক্সভিরিডি পরিবারভুক্ত অর্থপক্সভাইরাস (Orthopoxvirus) জেনাসের অন্তর্ভুক্ত। এম পক্স ভাইরাসটি ১৯৫৮ সালে প্রথমবারের মতো শনাক্ত করা হয়, যখন গবেষণাগারে রাখা বানরের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, এজন্যই একে প্রথমে মাঙ্কিপক্স বলা হয়েছিল। যদিও এর নামকরণ করা হয়েছে বানরের নামানুসারে, তবু প্রকৃতপক্ষে এর প্রাথমিক বাহক বিভিন্ন ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী যেমন ইঁদুর, কাঠবিড়ালি ইত্যাদি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

download (2).jpegsource

download (6).jpegsource

সংক্রমণের উৎস ও বাহক
এম পক্স ভাইরাসের প্রধান সংক্রমণ উৎস হলো বন্য প্রাণী। সংক্রমণ ঘটে তখন, যখন একজন ব্যক্তি সংক্রমিত প্রাণীর রক্ত, শরীরের তরল, বা ক্ষতযুক্ত অংশের সংস্পর্শে আসে। এছাড়া, রোগটি মানুষ থেকে মানুষেও সংক্রমিত হতে পারে, তবে এটি তুলনামূলকভাবে কম ঘটে। সংক্রামিত ব্যক্তির শ্বাসতন্ত্রের ফোঁটাগুলির মাধ্যমে ভাইরাসটি অন্যদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, বা সংক্রমিত ব্যক্তির ত্বকের ক্ষতের সংস্পর্শে আসার মাধ্যমেও এটি সংক্রমিত হতে পারে।

লক্ষণ
এম পক্স রোগের প্রধান লক্ষণগুলি হলো জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীর ব্যথা, এবং ক্লান্তি। সাধারণত জ্বরের পরেই ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা যায়, যা মুখে শুরু হয়ে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ফুসকুড়িগুলি প্রথমে ছোট দানার মতো হয়, পরে সেগুলি ফোস্কার মতো আকার ধারণ করে, এবং শেষে পুঁজ ভর্তি ফোসকা রূপে পরিণত হয়। কিছু ক্ষেত্রে এই ফোসকাগুলি ফেটে গিয়ে পুঁজ বের হয়ে আসতে পারে। এই লক্ষণগুলি সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যায়। তবে কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে, বিশেষত যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাদের মধ্যে জটিলতা দেখা দিতে পারে, যা কখনও কখনও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
এম পক্সের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা টিকা নেই। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, গুটিবসন্তের (Smallpox) টিকা এম পক্স প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে। কারণ এম পক্স ভাইরাস এবং গুটিবসন্ত ভাইরাস একই পরিবারভুক্ত। যেহেতু এম পক্স একটি ভাইরাসজনিত রোগ, তাই এর চিকিৎসায় সাধারণত উপসর্গ অনুযায়ী সহায়ক চিকিৎসা দেওয়া হয়, যেমন জ্বর কমানোর ওষুধ, ব্যথানাশক ইত্যাদি।

এম পক্স প্রতিরোধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংক্রমিত প্রাণী এবং ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়ানো। এছাড়া, যে এলাকাগুলিতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে, সেখানে যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকাও গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ সংক্রমিত হয়, তবে তাকে আলাদা করে রাখা এবং তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র পরিষ্কার রাখা জরুরি।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতি
সম্প্রতি এম পক্স সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, কারণ এটি কিছু অঞ্চলে প্রাদুর্ভাব আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও এই রোগটি মহামারি আকারে ছড়ায়নি, তবে এটি জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, বিশেষত যখন এটি শহুরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

সারসংক্ষেপে, এম পক্স একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা প্রধানত বন্য প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। রোগটির লক্ষণগুলো সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি ধরনের হয় এবং এটি সামগ্রিকভাবে প্রাণঘাতী নয়, তবে সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!
Sort Order:  
  ·  5 months ago  ·  

Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. Get more BLURT:

@ mariuszkarowski/how-to-get-automatic-upvote-from-my-accounts

@ blurtbooster/blurt-booster-introduction-rules-and-guidelines-1699999662965

@ nalexadre/blurt-nexus-creating-an-affiliate-account-1700008765859

@ kryptodenno - win BLURT POWER delegation

Note: This bot will not vote on AI-generated content