জীবনে হাসতে হবে

in burn •  24 days ago 

পরিস্থিতি সব সময় এক রকম থাকে না। সময়ের সাথে সাথে আমাদের জীবনের গতির পরিবর্তন ঘটে। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে সকল সমস্যা সমাধান করা উচিত। জীবনে যত সমস্যাই আসুক না কেন মুখে হাসি থাকাটা জরুরি।

pexels-pixabay-207983.jpgSource
হয়ত আমাদের জীবনে মাঝে মধ্যে এমন পরিস্থিতি উপস্থিত হয় যখন আমরা হাসতেই ভুলে যাই। হাসি মনে যেকোনো জটিল সমস্যা যতটা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব, দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে সেটা সম্ভব হয় না।

2VZXybTSZJq1AreaDn1D7Jp7ZEvgLC9TvJctofX1ChMgSZpVhxxLZG8eyWWy6FHCw9NHReirfkgBW4FQycKohanys8vUXUcY2r2bn1XqqoBa6WWn7CjT4LsYx9MvqqrGfgmEpe9MFDvPoLBiat5AJK6xYzz.jpegsource

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JWXgxHPBhE9L3K1NqMAexhag2Z183RWouhNqHfsH7ThdrPyBE1PBxfnJDBTjhCb4zy1mUb8AqoAay6cvhChZMu7futQ1KHFC.jpegsource

আমাদের হাসিমুখের উপর হয়ত আরও কয়েকটা মুখের হাসি নির্ভর করে। আমরা হাসলে তারা হাসে আর কাঁদলে তারাও কাঁদে। জীবনে হাসিখুশি থাকতে শেখাটা অনেক জরুরি। যত সমস্যার মধ্যেই থাকুন না কেন খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে মন খুলে একটু হাসবেন, তাহলে মনটা ভালো হয়ে যাবে।

বিভিন্ন কারনে আমাদের মন খারাপ হতে পারে। বার বার কাজে ব্যর্থতা, আশেপাশের মানুষজনের কাছ থেকে অপমানিত হওয়া থেকে শুরু হাজারও কারনে।

pexels-pixabay-160914.jpgSource
আকাশ মেঘলা হলে কিন্তু সূর্য মন খারাপ করে না। শুধুমাত্র ক্ষনিকের জন্য আমরা তার হাসি মুখটা দেখতে পাই না। তবে মেঘ সরে গেলে আবারও সূর্যের হাসি দেখতে পাই আমরা।

কোনো কারনে কষ্ট পেলে নিজের মনে চেপে না রেখে সেটা প্রকাশ করা দরকার। যদি সেগুলো বলার মতো লোক না পান তাহলে ঘর বন্দ করে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সাথেই বলা বলুন। তাহলে মন অনেকটা হালকা হয়ে যাবে।

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে, যার কোনো কারনে রাগ হলে সেটা কারো উপর প্রকাশ না করতে পারলে সেই রাগ কমতে চায় না। তবে অনেকেই রয়েছে যারা রাগ চেপে রাখেন, তাদের মধ্যে আমি একজন।

তবে খারাপ লাগাগুলো, মনের কষ্টগুলো চেপে রাখলে সেটা নিজেরই ক্ষতি হয়। এতে মনের উপর অনেক প্রেসার পড়ে যেটার প্রভাব স্বাস্থ্যের উপরেও পড়ে।

pexels-thepaintedsquare-1118429.jpgSource
আমাদের ভাবনাগুলোর প্রভাব আমাদের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। বিজ্ঞানিরা এই বিষয়টার উপর গবেষণা করেছিলেন। তারা যেটা করেছিলেন সেটা হলো -

একই রোগে আক্রান্ত কয়েকজন রোগিদের দুইভাগে ভাগ করেন। বিজ্ঞানিরা একদল রোগিদের তাদের রোগ নিরাময়ের জন্য সঠিক ঔষধ খেতে দেন এবং অন্য দলকে সঠিক ঔষধ দেওয়া হয় না বরং সাধারণ ভিটামিন জাতীয় ঔষধ দেওয়া হয়।

তবে বিজ্ঞানিরা দুই পক্ষকেই বলে যে তাদের সঠিক ঔষধ দেওয়া হচ্ছে এবং তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো, সকল রোগীই সুস্থ হয়ে যায়। যে রোগীদের উপযুক্ত ঔষধ দেওয়া হয় নি তারাও সুস্থ হয়ে যায় তার কারন তাদের বিশ্বাস করানো হয়েছে যে তারা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে।

এই বিশ্বাসের কারনেই তাদের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সঠিক চিকিৎসা না পাওয়া শর্তেও তারা সুস্থ হয়ে উঠেছে। মনে সব সময় পজিটিভ ভাবনা ভাবতে শেখাটা জরুরি। যদি মন ভালো থাকে তাহলে মন ও শরীর দুটোই সুস্থ থাকে। তাই একটাই কথা বলবো, নিজেও হাসতে শিখুন এবং অন্যকেও হাসতে শেখান!

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!