বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
শেষ বিকালে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার কিছু আনন্দময় মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি পরিপূর্ণভাবে কেউই ভালো নেই। আপনারা জানেন দীর্ঘ কয়েক দিন আন্দোলনের কারণে আমরা নেট থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছি। আমরা সাত দিন পরে গতকালকে আসরের পরে বের হতে পেরেছি, পুরো সাত দিন আমাদের মাদ্রাসার ভিতরে থাকতে হয়েছে। বের হওয়ার কোন সুযোগ ছিলনা। এই সাত দিন খুবই কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করলাম।
আমরা এখনো ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছি, যদিও ওয়াইফাই দিয়েছে কিন্তু আমাদের তো ওয়াইফাই নেই। তাই বাধ্য হয়ে বন্ধুর বাসায় এসেছি, শুধুমাত্র আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। কিন্তু এখানে আজকের পরে আর থাকা সম্ভব হবে না। যাইহোক, খবরে শুনেছি দ্রুত ইন্টারনেট দেওয়ার জন্য কাজ চলতেছে আশা করি আগামী তিন চার দিনের মধ্যে আমরা ইন্টারনেট পেয়ে যাব।
গতকালকে বন্ধুদের সাথে যাত্রাবাড়ী থেকে পোস্তগোলা ব্রিজের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল একটু হাটাহাটি, কেননা গত সাত দিন মাদ্রাসার মধ্যে থাকতে থাকতে কেমন যেন অস্বস্তিকর মনোভাব এসে পড়েছে, তাই একটু হাঁটার জন্য বের হলাম। আমরা প্রথমে ধোলাইপাড় গিয়ে দাঁড়ালাম, সেখানে দেখতে পেলাম রাস্তার ওপর একটি ফুট ফ্লাইওভার বানানো হয়েছে যা দেখতে একটি নৌকার মতো।
আমরা ওই ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে কয়েকটি সেলফি উঠেছে, এরপরে ফুড ফ্লাইওভার এর উপর উঠেও কয়েকটি ফটো উঠেছি এবং যাত্রাবাড়ি টু মাওয়া হাইওয়ে রাস্তার ফটোও সংগ্রহ করেছি। আমরা মাঝে মাঝে ধোলায়পাড় ফুট ফ্লাইওভার ব্রিজে গিয়ে দাঁড়ায় কারণ সেখানে ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায়। আমরা সেখানে প্রায় মাগরিবের আজানের আগ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলাম।
যখন আমরা মাগরিবের আজান শুনতে পেলাম তখন নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ খুজতেছিলাম, কিন্তু রাস্তার ধারে মসজিদ পাচ্ছিলাম না। এক ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম নামাজ পড়বো মসজিদ কোথায়? ঐ ভাই আমাদেরকে বললেন এই রাস্তা দিয়ে ভিতরে চলে যান তাহলে একটি মাজার দেখতে পাবেন এবং মাজারের পেছনে মসজিদ রয়েছে।
আমরা ভিতরে গিয়ে দেখি মাজারটি খুবই চাকচিক্য ভাবে বানানো হয়েছে, আমরা মাজারটি পরিদর্শন করলাম এবং ফটো উঠালাম। যেহেতু মাগরিবের নামাজের সময় হয়েছে তাই ওযু করার জন্য অজুখানা খুজতেছিলাম। তখন আমাদেরকে ওযুখানা দেখিয়ে দিল আর আমরা সেখানে অজু করে নিজেরাই নামাজ আদায় করলাম কারণ জামাত শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রথমেই এ মাজারটি সম্পর্কে ভিন্ন চিন্তা এসেছিল নামাজ পড়ে আসার সময় সেটাই দেখতে পেলাম।
নামাজ পড়ে আসার সময় দেখি মাজারের ভিতরে যখন লোক প্রবেশ করছে তখন সেখানে মাথা নিচু করে এবং ফ্লোরের সাথে হাত লাগিয়ে সেলাম করে ভিতরে প্রবেশ করতেছে। ভিতরে যাওয়ার পরে আর যে কি করবে সেটা তো আপনারা ভালোভাবেই জানেন, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই ভন্ডদের মাজার থেকে সর্বদাই সাবধানে থাকবেন। আমরা সেখান থেকে পোস্তগোলা ব্রিজে গিয়েছিলাম। যেহেতু সেখানে রাত হয়েছিল আর ব্রিজে কোন লাইট ছিল না তাই ফোন বের করিনি এবং ফটো উঠাইনি।
এই ছিল আমাদের গতকালকে বিকেলবেলার আনন্দময় কিছু মুহূর্ত।
আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme 12 Pro |
Camera | 50MP 32MP 8MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
Hey abdulmomin.
I invited you to to post in our community we support quality posts and we must support you please join us thanks
https://blurt.blog/created/blurt-1787181