বন্ধুরা, বেশ কয়েক দিন ধরে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন।আর আজকে আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে শুরু হয়েছে রহমতের বারিধারা। মুহূর্তের মধ্যেই শীতল হয়ে শরীর ও মন। চারদিকে কেমন যেন একটা প্রশান্তির পরিবেশ।
তবে বৃষ্টির সময়কাল টা হয়তো শুধু মাত্র কিছু প্রকৃতি প্রেমিক এবং কিছু বিত্তবান মানুষের কাছে প্রিয়।যাদের কোন নাওয়া খাওয়ার চিন্তা ভাবনা করতে হয় না। এয়ার কন্ডিশন রুমে বসে সব প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করা তেমন কোন কৃতিত্ব এর ব্যাপার কি ?
তাই বর্ষাকাল বা শীতকাল বিত্তবানদের জন্য আশীর্বাদ এর হলেও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এই সময় গুলো অভিশাপ স্বরুপ। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী। তিনি যা করেন অবশ্যই তার বান্দাদের মঙলের জন্য করেন।
এই যেমন ধরুন, আজকের এই প্রচন্ড বৃষ্টির সময়েও দেখলাম কিছু অটোরিকশা চালক এবং কিছু কায়িক পরিশ্রমী মানুষ ভিজে ভিজে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের ভাবার সময় নেই যে, বৃষ্টিতে ভিজলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। সবকিছুর আগে তারা তাদের জীবিকা উপার্জনের উপায় টা কে ই প্রাধান্য দিচ্ছে। আর দিবে নাই বা কেন? তাদের পথ চেয়ে বসে আছে যে তাদের পরিবার।
অথচ আমরা যে যেখানে অবস্থান করছি সেখানে থেকেই আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যদি এই ধরণের খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারি , তাহলে হয়তো কিছু অভুক্ত মানুষের আহারের ব্যবস্থা হবে ।আমরা সকলেই শুরুতেই বিশাল কোনো মহৎ কাজ করতে পারবো না জানি। কিন্তু ভালবাসা দিয়ে ছোট ছোট অনেক ভাল কাজ তো করা সম্ভব।
এভাবে আমরা যখন সবাইকে ভালবাসতে শিখবো, সবার কল্যাণে কাজ করে যাবো- জীবনের প্রান্তিলগ্নে গিয়ে দেখবো মানুষের ভালবাসায় আমরা একদম আকণ্ঠ ডুবে আছি! বিশ্বাস করুন বন্ধুরা এরচেয়ে পরিতৃপ্তি জীবনে আর কিছুতে হতে পারে না!
বেঁচে থাকুক পৃথিবীর এই অকৃত্রিম ভালোবাসা গুলো এবং সুখী ও সুস্থ থাকুক এই খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষ গুলো।