করোনা ভাইরাসের এই মহামারিতে সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট।
সবজি হিসেবে " করলা" কে আমরা সবাই জানি।করলা তে একাধিক পুষ্টি উপাদান ,যা মানুষের দেহের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে থাকে। তবে করলার তিতা স্বাদের জন্য অনেকে এটিকে অপছন্দ করে থাকেন। অথচ করলার এই তিতা স্বাদেই রয়েছে একাধিক পুষ্টির উপাদান।
বিভিন্ন ধরনের মানুষ করলাকে বিভিন্ন উপায়ে খেয়ে থাকে। কেউ ভাজি করে,কেউ ভর্তা করে, কেউ জুস বানিয়ে,কেউ সালাদ হিসেবে আবার কেউ তরকারি হিসেবে রান্না করে খায়।
করলাকে আমরা সচরাচর ভাজি হিসেবে খেয়ে থাকি । তবে আমার পরিবারের সবাই মিলে ইদানিং করলা ভাজি বেশি বেশি করে খাচ্ছি। কারণ আমার বাচ্চাদের মধ্যে কৃমির লক্ষন দেখা দিয়েছে।আর বাচ্চাদের কে আমি কোন ধরনের ওষুধ খুব সহজে সেবন না করানোর চেষ্টা করি। আমি সবসময়ই ঘরোয়া চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করি তাদের। তাই এই করলার ভাজি বেশি বেশি করে খেতে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করি। কৃমির সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে। যেহেতু আমরা সবাই জানি যে, করলাতে থাকা এন্হেলমিন্টক কম্পাউন্ডস কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।করলার বাকি উপকারিতা পোস্টের শেষে আমি আবার আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
এখানে আমি বাসার ছাদ বাগানের করলা কে ভাজি করার রেসিপি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।
প্রথমে করলা গুলাকে ভাজি করার জন্য কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।করলার মধ্যে তিতা স্বাদ টা একটু কমানোর জন্য দুটো আলু কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি। তারপর এগুলোকে ভালো ভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
এরপর পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচ কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।
তারপর চুলায় একটি পাত্রে সয়াবিন তেল গরম করে নিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচ কুচি বাদামি করে ভেজে নিয়েছি। এরপর এর মধ্যে স্বাদ মতো লবণ ও হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে আলু ও করলা গুলো ঢেলে দিয়েছি।
৫/৭ মিনিট ধরে কিছুক্ষণ পর পর নাড়াচাড়া করে ভাজি টা সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে নিয়েছি চুলা থেকে। তারপর গরম গরম ভাতের সাথে গরম গরম এই ভাজি টা খেতে অমৃত লাগছিল।
এবার আসি করলার উপকারিতা নিয়ে আলোচনায়।করলায় রয়েছে পালং শাকের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালশিয়াম এবং কলার চেয়েও দ্বিগুণ পটাশিয়াম। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ,সি ও আয়রন।এর আরো নানান রকম উপকারিতা নিম্নরূপ:
*করলার রস রক্ত কে বিশুদ্ধ করে মানুষের দেহের
এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
*নিয়মিত করলার জুস বা ভাজি খেলে দৃষ্টি শক্তি ও মানুষের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। কৃমি নাশক হিসেবে করলার ওষুধী গুন রয়েছে।
*সর্দি,কাশি, মৌসুমী জ্বর ও অন্যান্য ছোটখাটো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় নিয়মিত করলা খেলে।
- ক্যান্সার, শ্বাসরোগ ও হার্ট অ্যাটাক রোধ করে এই করলা।
*কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজমে সাহায্য করায় করলার অনেক ভূমিকা রয়েছে।
এক কথায় মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, খাবারে রুচি আনয়নে, বাতের ব্যাথা নিরাময় ,শক্তিবর্ধক হিসেবে করলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
:::Discord :::Whatsapp:::Twitter :::