অহংকার পতনের মূল কারণ।

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। আজ আমি আপনার সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় শেয়ার করবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন বন্ধুরা সে বিষয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

অহংকার খুবই ভয়ঙ্কর একটি ব্যাধি। অহংকার ধ্বংসের মূল কারণ। কারণ অহংকার শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার মানায় কোন মানুষের অহংকার মানায় না। আমাদের সমাজের লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে মানুষ একটু উপরে উঠে গেলে তারা মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না তারা মানুষের প্রতি সব সময় অফিসার করতে থাকে এবং সে তার পূর্বের কথা ভুলে যায় এবং মানুষের প্রতি অহংকার সৃষ্টি হয়ে যায় সে মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না মানুষকে ছোট চোখে দেখে।

আমরা সকলে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি আমাদের কারোরই অহংকার মানায় না কারণ অহংকার এটি খুবই খারাপ একটি ব্যাধি। এই অহংকার যার ভিতর একবার প্রবেশ করবে সে কখনো অন্য মানুষকে সম্মান করতে পারবেনা সে সবসময় মানুষকে ছোট হিসেবে পরিগণিত করবে এবং অন্যকে সেতুপস মনে করবে কারণ সে নিজেকে অনেক বেশি বড় মনে করবে কারণ সে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে এবং অন্যকে তার কাছে সব সময় ছোট মনে হবে কারণ এই অহংকার একদিন অহংকারীকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়।

অহংকার খুবই খারাপ একটি সামাজিক ব্যাধি কারণ আপনি যদি অহংকারী হয়ে থাকেন তাহলে সমাজে কেউই অহংকারীকে পছন্দ করে না কারণ অহংকারই ব্যক্তিকে সকলে সমাজে ঘৃনার চোখে দেখে কারণ অহংকার ব্যক্তিরা কখনো অন্যের উপকারে বা সমাজের উপকারী কাজ করতে পারে না এরা সবসময় নিজের কথাই চিন্তা করে পরের উপকারী কখনোই নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারেনা কারণে সব সময় নিজের অহংকার নিয়েই ব্যস্ত থাকে।

যদি আপনার মনের মধ্যে একবার অহংকার সৃষ্টি হয়ে যায় তাহলে আপনি নিজেকে নিঃশেষ করে ফেলবেন আস্তে আস্তে কারণ সমাজে কেউই আপনাকে ভালোবাসবে না কারণ অহংকারীরা এরা নিজেদেরকে সব সময় অনেক বড় কিছু মনে করে থাকে এরা অন্যদেরকে সবসময় নীচু দৃষ্টিতে দেখতে থাকে তাই অহংকার থেকে আমাদেরকে সবসময় নিজেদেরকে দূরে রাখতে হবে কারণ অহংকার এটি একবার নিজের মনের মধ্যে ঢুকে গেলে আর কখনো সে নিজে মনে প্রাণে শান্তি অনুভব করতে পারবে না সে সব সময় নিজের থেকে একটি বড় ধরনের ব্যাধির মতো নিজেকে রাস করতে থাকবে।

যে ব্যক্তি নিজেকে অহংকার মুক্ত রাখতে পারে সেই সকলের কাছে প্রিয় এবং সে সকলের মধ্যমণি হয়ে থাকতে পারে কারণ সকলকে নিয়ে সকলের উপকারে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যেই মূল সার্থকতা। দেখে যে বড় মনে করে বড় সেই নয় লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয় তাই নিজেকে কখনো নিয়ে অহংকার করা এটা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নাই যে নিজেকে নিয়ে অহংকার না করে সকলের সাথে মিলেমিশে অন্যের বিপদে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারে সেই সকলের কাছে বড় হয়ে থাকে লোকে তাকে বড় বলেই স্বীকৃতি দেয়।

তাই আমাদেরকে সব সময় নিজেদেরকে অহংকার মনের মধ্যে আসলে আমাদেরকে সবসময় ভাবতে হবে আমরা এক সময় নিঃশ্বাস হয়ে যাব কারণ অহংকারই ব্যক্তিকে সবাই ঘৃনা করে থাকে অহংকারী ব্যক্তি কে কেউই ভালবাসে না সমাজের বা পরিবারের তাই আমরা এই অহংকার থেকে নিজেদেরকে সবসময় মুক্ত রাখবো অহংকার যদি নিজের মনের মধ্যে উঁকি মারে তাহলে আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে পান হাসাবো অহংকার থেকে এবং যারা হাসপাতালের বেডে পড়ে আছে মৃত্যুশয্যায় পাঞ্জা লড়ছে তাদেরকে একবার দেখতে গেলে আমরা বুঝতে পারব এই অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকদিনের এই পৃথিবীতে আমাদের অহংকার কখনোই মানায় না অহংকার শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার মানায় কারণ যার কোন শেষ নেই তাই আমাদের এই অল্প সময়ের জন্য আমাদের কখনো অহংকার করা উচিত নয় যে ব্যক্তি হংকার করে সে কখনোই সুখী হতে পারে না সে অল্পতেই ধ্বংস হয়ে যায়।

বন্ধুরা আমরা সকলেই এই অহংকার থেকে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখবো যদি কখনো অংকার মনের মধ্যে সৃষ্টি হয় তাহলে আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছে পাঠাব এবং নিজেদেরকে সব সময় বোঝাতে হবে যে অহংকার এটি আমাদের কখনো শোভা পায় না অল্প কয়েকদিনের পৃথিবীতে অহংকার করলে কেউই আমাদেরকে ভালবাসবে না তাই সমাজের সকলের কাছে দেশের কাছে আপনাকে বড় হতে হলে আপনাকে অহংকারী না হয়ে সকলকে ভালবেসে কাছে টেনে সকলের বিপদে এগিয়ে আসতে মাধ্যমেই আপনি সকলের মাঝে অমর হয়ে থাকতে পারেন।

বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই সকলে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশা রইল সকলের প্রতি। আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আল্লাহ হাফেজ।