Buffalo meat is now buffalo meat.

in blurtimals •  3 years ago 

IMG_20211216_154642.jpg

দেশে মহিষের মাংসের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। গরুর মাংসের চেয়ে সস্তা এবং এর পুষ্টিগুণ বেশি হওয়ায় ক্রেতারা ঝুঁকছেন মহিষের মাংসের দিকে। বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আসায় তাদের আর মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে চালাতে হয় না।

মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে চালিয়ে দেয়ার সংস্কৃতি এখন আর নেই। বিক্রেতারা মহিষের মাংসকে বিক্রি করছেন ‘মহিষের মাংস’ হিসেবেই। এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন তারা।

কীভাবে সম্ভব হলো এ পরিবর্তন? খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, পরিবর্তন আসলে এসেছে ক্রেতাদের মানসিকতায়। মানুষ এখন গরুর পরিবর্তে মহিষের মাংস খোঁজ করেন। ধারেকাছে কোথাও না পেলে অনলাইন শপে ঢুঁ মারেন। অর্ডার করলে ঘরে বসেই পেয়ে যান মহিষের মাংস। এ বদলটা ঘটছে অনলাইনে মাংস চালু হওয়ার মাধ্যমে।

শুধু অনলাইন শপ নয়, সারা দেশে ‘স্বপ্ন’, ‘আগোরা’, ‘মিনাবাজার’ ও ‘প্রিন্সবাজার’-এর মতো জনপ্রিয় সুপার শপগুলোতে এখন ঘোষণা দিয়েই মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে। এভাবে দেশে গরু-খাসি ও ভেড়ার মতোই দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মহিষের মাংস।

দেশে মহিষের মাংসের বাজার বড় হওয়ার তথ্য পাওয়া যায় হালাল মাংস আমদানিকারক সমিতির তথ্য থেকে।

তাদের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালে দেশে মহিষের মাংস আমদানি ও বিক্রি হয়েছিল মাত্র ২০ টন। ২০১৮ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৮০০ টনে। ২০১৯ সালে সেটি এক লাফে উঠে গেছে ৫ হাজার টনে।

তবে চলতি বছর করোনা মহামারি, দেশি খামারিদের বিরোধিতা আর আদালতে মামলার কারণে আমদানিতে জটিলতা দেখা দেয় এবং দামও কিছুটা বেড়ে যায়। তা সত্ত্বেও মহিষের মাংসের নিয়মিত ক্রেতারা মুখ ফেরাননি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মহিষের মাংস আমদানি ও বিক্রি হয়েছে ১০ হাজার টন।

দেশে মহিষের মাংস জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি বাজারের পরিধিও বাড়ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হালাল মিট ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শামীম আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পণ্য বিক্রিতে অনলাইন শপগুলোর নতুন ধ্যান-ধারণার কারণেই এটি সম্ভব হচ্ছে। তারা এখন ঘোষণা দিয়ে মহিষের মাংস বিক্রি করছে। ক্রেতারাও মহিষের মাংসের খোঁজ করে।

‘তার মানে হচ্ছে মহিষের মাংসের ক্রেতা আছে। মানুষ মহিষের মাংস খেতে চায়। সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যখন মানুষ স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করলে কোরবানি উৎসব ছাড়া গরুর মাংস কমই খাবে।’

তিনি ডেইলি চেইন শপ ‘স্বপ্ন’-এর উদাহরণ টেনে বলেন, ‘স্বপ্ন ঘোষণা দিয়ে প্রথমবার ১৮ কেজি মহিষের মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেয়। এখন তারা দৈনিক আট টন মহিষের মাংস বিক্রি করছে।’

তার আরও দাবি, ‘অনলাইন বা ডেইলি শপেই শুধু নয়, হাটবাজার ও অলিগলিতে স্থায়ী মাংসের দোকানগুলোতেও মহিষের মাংস বিক্রি হতে পারে। কেউ কেউ বিক্রি করছেও। কিন্তু এখনও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মহিষকে গরুর মাংস বলে বিক্রির চেষ্টা করছে। কারণ দেশে এখন মহিষের মাংস ৩৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪৭৫ টাকার মধ্যে। গরুর মাংস বিক্রি হয় ৬০০ টাকা কেজিতে।’

মহিষের মাংস আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাপোলো টেকনো ফার্ম লিমিটেডের মালিক এটিএম নাসির উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমিতির সদস্যভুক্ত আমদানিকারকের সংখ্যা ৪৫। তারা ইচ্ছা করলেই মহিষকে গরু বলে চালাতে পারবে না। কারণ এইচএসকোড অনুযায়ী সবাই মহিষের মাংসই আমদানি করে। এখানে যা হয়, তা হয় মাঠপর্যায়ের বিক্রেতাদের মাধ্যমে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সমিতি মহিষের মাংসকে মহিষের মাংস হিসেবেই বিক্রির জন্য চাপ দিচ্ছে। না মানলে তাকে মাংস সরবরাহ না করতেও সমিতির নির্দেশনা রয়েছে। এর বাইরে মহিষের মাংসকে ব্র্যান্ডিং করতে অনলাইন শপ ও ডেইলি শপের পাশাপাশি সারা দেশে নিজস্ব চেইন শপে মহিষের মাংস বিক্রি করার পরিকল্পনাও নিচ্ছে সমিতি।’

রাজধানীতে মহিষের মাংস বিক্রির বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সেতারা ফার্ম। এর কর্ণধার বাবলু চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গরু-খাসি, ভেড়া সব মাংসেরই ব্র্যান্ডিং রয়েছে। মহিষের মাংসেরও ব্র্যান্ডিং করার মতো সব উপাদান আছে।’

বাবলু চৌধুরী বলেন, ‘এটা করা হচ্ছিল না বলেই মহিষের মাংসকে ক্রেতার কাছে সহজলভ্য ও ব্র্যান্ডিং করার আগ্রহ জাগে। সেটা আমি কাজে লাগাই আমার অনলাইন শপে। এখানে পণ্য বিক্রির তালিকায় মহিষের মাংস অন্তর্ভুক্ত করি এবং বিশ্বের বিখ্যাত ভারতীয় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যালেনা ব্র্যান্ডের মাংস বিক্রির ঘোষণা দেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মহিষের মাংস বিক্রির ঘোষণা এবং ক্যাটাগরি অনুযায়ী মাংসের দাম দেখেই ক্রেতারা সেতারা অনলাইন শপে অর্ডার করছেন। এতে বেশ সাড়া পাচ্ছি। আমি এখন প্রতি মাসে গড়ে এক টন মাংস বিক্রি করছি।’

মাথাপিছু মাংসের ভোগ ও দাম

ওয়ার্ল্ড ফুড অর্গেনাইজেশনের (ডব্লিউএফও) তথ্য অনুযায়ী, মানবদেহের সুস্থতা রক্ষায় প্রতি বছর মাথাপিছু কমপক্ষে ৪৮ কেজি মাংস খেতে হয়। কিন্তু দেশের ভোক্তারা গড়ে খাচ্ছে মাত্র চার থেকে সাড়ে চার কেজি। অর্থাৎ বিশ্বে মাথাপিছু মাংস ভোগের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে।

Translation:

The popularity of buffalo meat is increasing rapidly in the country. Buyers are turning to buffalo meat as it is cheaper than beef and has more nutritional value. Vendors say that with the change in the mindset of buyers, they no longer have to use buffalo meat as beef.

The culture of calling buffalo meat as beef is no more. Vendors are selling buffalo meat as 'buffalo meat'. They are feeling comfortable in it.

How is this change possible? The research shows that the change has come in the mindset of the buyers. People are now looking for buffalo meat instead of beef. If you can't find it anywhere near, go to the online shop. If you order, you can get buffalo meat sitting at home. This change is happening through the introduction of meat online.

Not only online shops, but also popular super shops like 'Swapna', 'Agora', 'Minabazar' and 'Princebazar' all over the country are now selling buffalo meat with announcements. In this way, buffalo meat is becoming more and more popular in the country like cow-khasi and sheep.

Data on the growing buffalo meat market in the country is available from the Halal Meat Importers Association.

According to their data, in 2016, only 20 tons of buffalo meat was imported and sold in the country. In 2016, it increased to 1,600 tons. In 2019, it has jumped to 5 thousand tons.

However, this year, due to the Corona epidemic, opposition from local farmers and lawsuits, there have been complications in imports and prices have risen slightly. Despite this, regular buyers of buffalo meat have not turned away. In the fiscal year 2019-20, 10 thousand tons of buffalo meat has been imported and sold.

In addition to the popularity of buffalo meat in the country, the scope of the market is also increasing.

Asked about this, Shamim Ahmed, president of Halal Meat Importers Association, told NewsBangla, "This is possible because of the new ideas of online shops in selling products." They are now selling buffalo meat with an announcement. Buyers also look for buffalo meat.

‘That means there are buyers of buffalo meat. People want to eat buffalo meat. The day is not far off when people will think of health and will hardly eat beef except for the festival of sacrifice. '

He cites the example of the daily chain shop 'Swapna', which for the first time took the initiative to sell 18 kg of buffalo meat by announcing 'Sapna'. Now they are selling eight tons of buffalo meat daily. '

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!
Sort Order:  
  ·  3 years ago  ·  

Your post has been upvoted (2.06 %)

Delegate more BP for better support and daily BLURT reward 😉
Delegate BP Here
Thank you 🙂 @tomoyan
https://blurtblock.herokuapp.com/blurt/upvote