ডারবান টেস্টের একাদশে অসুস্থতার কারণে নেই তামিম ইকবাল। তবে ম্যাচের চতুর্থদিন শেষ হতেই....

in blurthipano •  3 years ago 

ডারবান টেস্টের একাদশে অসুস্থতার কারণে নেই তামিম ইকবাল। তবে ম্যাচের চতুর্থদিন শেষ হতেই মাঠে ঢুকে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস ও আদ্রিয়ান হোল্ডস্টকের সঙ্গে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ওপেনারের কথোপকথন দৃষ্টি এড়ায়নি কারোর। এরপর ঢাকা থেকে তিনি ফোন পেয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসানের। ড্রেসিংরুমে ফিরেও তামিমকে জনে জনে বর্ণনা দিতে হয়েছে কী কথা হয়েছিল তাঁর আম্পায়ারদের সঙ্গে? দলীয় সূত্রে জানা গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার এই দুই আম্পায়ারের পক্ষ-পাতিত্বমূলক আচরণের প্রতিবাদই শুধু করেননি, পোর্ট এলিজাবেথে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় টেস্টের জন্য আগাম হুমকিও দিয়েছেন তামিম।
প্রশ্নবিদ্ধ আম্পায়ারিং এবং প্রযুক্তির সন্দেহজনক ব্যবহার নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে বাংলাদেশ দলে। আম্পায়ারদ্বয়ের, বিশেষ করে এরাসমাসের বেশ কয়েকটি ‘কল’ বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। তার ওপর প্রোটিয়াদের ক্রমাগত ‘স্লেজিং’য়ের শিকার হওয়া বাংলাদেশ দলের কেউ প্রতিবাদ করলে পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন আম্পায়ারদ্বয়। দিনের খেলা শেষে এরাসমাসের কাছে সেসবেরই প্রতিবাদ করেছেন তামিম। দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, “তামিম এরাসমাসকে বলেছে, ‘আমাদের দলের তরুণ প্লেয়ারদের সঙ্গে আপনারা যে আচরণ করেছেন, সেটা ঠিক না। একটা জুনিয়র ক্রিকেটারকে (এবাদত হোসেন) আপনারা দুইজন মিলে সতর্ক করেছেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা যে প্রত্যেকদিন যা তা বলছে, তখন কিছু বলছেন না কেন? আমাদের বলছেন ছেলেরা জুনিয়র বলে? ঠিক আছে, পোর্ট এলিজাবেথে আমি কথা বলব। দেখি আপনারা কী করেন!’ একদম ঠিক করেছে তামিম। ওরা (আম্পায়ার) খুব বাড়াবাড়ি করছে। ”
তামিম কথা বলেছেন মূলত এরাসমাসের সঙ্গে, যাঁর ‘ভুল’টাই সবচেয়ে প্রকট। অথচ এই দক্ষিণ আফ্রিকানের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের সুসম্পর্ক আছে বলেই এতদিন শোনা গেছে। আর্ন্তজাতিক ম্যাচে এরাসমাসের অভিষেকই বাংলাদেশের ম্যাচ করে। সেই এরাসমাসের এবারের আচরণে তাই বিস্মিত ক্রিকেটাররা। তবে বেশি ক্ষুদ্ধ প্রোটিয়া ক্রিকেটারদের আচরণে। দলে সেই অর্থে সিনিয়র বলতে একমাত্র মুশফিকুর রহিম। তবে প্রোটিয়ারা ছাড় দিচ্ছে না দলের কণিষ্ঠতম সদস্য মাহমুদুল হাসানকেও। রোববার ব্যাটিংয়ে নামতেই যেমন সারিল এরউইন বকাও দিয়েছেন এই ওপেনারকে। জানা গেছে, শেষদিনে প্রোটিয়াদের ‘স্লেজিং’য়ের পাল্টা জবাবও তৈরি করে ফেলেছে বাংলাদেশ দল।
তবে স্বাগতিক দল এবং স্থানীয় আম্পায়ারদের ‘কঠিন সময়’ দেওয়ার জন্য পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টকে টার্গেট করেছেন তামিম ইকবাল। পাল্টা জবাব দেওয়ায় তাঁর জুড়ি নেই। সঙ্গে ‘ডেপুটি’ হিসেবে যে থাকবেন এবাদত হোসেন, সে ইঙ্গিত মিলেছে ডারবানে এবাদতের সমানে সমান বাদানুবাদে।
ড্রেসিংরুম থেকে এমন দৃশ্য দেখে অ্যালান ডোনাল্ড কী ভাবছেন বলা মুশকিল। তিনি প্রোটিয়া হতে পারেন, তবে দু’দলের মাঠের লড়াই শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ নতুন শিষ্যদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘চোখে চোখ রেখে লড়বে। কোনো ছাড় দিবে না। ’ তাই পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতেও পারে। ছেড়ে কথা বলতে না বাংলাদেশ দলও। বাদানুবাদের অভিযোগে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়া আছে তামিমের। পোর্ট এলিবাবেথে সেটি বাড়াতেও নাকি আপত্তি নেই এই বাঁহাতির। বলার অপেক্ষা রাখে না, ‘পক্ষপাতে’ তিরিবিরক্ত বাংলাদশে দলের এতে সম্মতিও আছে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!