পরিপাকতন্ত্র মানবশরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। অন্ত্রনালি ছাড়াও লিভার, প্যানক্রিয়াস, পিত্তথলি, পিত্তনালি এই তন্ত্রের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শরীরের এই অংশের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অর্গানাইজেশন প্রতিবছর ২৯ মেকে ‘বিশ্ব ডাইজেস্টিভ স্বাস্থ্য দিবস’ বা ‘বিশ্ব পরিপাক স্বাস্থ্য দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০০৪ সাল থেকে এই দিবসটি সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে। প্রতিবছর কোনো একটি বিশেষ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে এই দিবস পালিত হয়। ২০২২ সালের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করুন, সঠিক পথে থাকুন’।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম না করা এবং কায়িক শ্রমে অনভ্যস্তদের মধ্যে পেটের ব্যাথা, ফোলাভাব, অস্বস্তিবোধ তথা গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায়। গ্যাস্ট্রিকের কারণে হজমজনিত সমস্যা, পেট ফেঁপে থাকে যার কারণে পরিপাকক্রিয়ায় সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসব সমস্যার অন্যতম কারণ হলো বেশি খাওয়া, খুব দ্রুত খাওয়া এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ।
গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যাগুলো কম-বেশি সবারই হয়। গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণগুলো হল পেটে জ্বালা-পোড়া করা, বদহজম, বমি বমি ভাব, বমি করা, পেটে ক্ষুধা, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, খাওয়ার পর উপরের পেট বেশি ভরে গিয়েছে অনুভূতি হওয়া ইত্যাদি। খাবার সময়মতো খাওয়া হয়না, বাইরের ভাজা-পোড়া বেশি খাওয়া, জাঙ্কফুড খাওয়া, পরিমাণ মতো পানি না খাওয়া ইত্যাদি কারণে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দেয়।