আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া রহমাতুল্লাহ।হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই মহান সৃষ্টিকর্তা দয়ায় ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি। বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি,১৫ আগস্ট আমি বরিশাল থেকে সুবিদখালী আসতে না পারার ঘটনা।
বন্ধুরা শুরুতে বলি ১৫ আগস্ট আমার বাড়িতে আসার কথা ছিলো সকাল বেলা।আর আমি ছিলাম খালার বাসা বরিশাল নতুল্লাবাদ।আর আমি বাড়ি তে আসার কারন ছিলো আমার কলেজ এ ভর্তি শুরু হয়ে গেছে,তাই আমার বাসায় আসা টা অনেক জরুলি ছিলো,আমি সকালে উঠে জামা কাপড় গুছিয়ে আমার খালার কাছে বলি আমি বাড়িতে যাই খালা বললো, দুপুরের খাবার খেয়ে যাওয়া আমি অনেক বোঝানোর পরেও সে মানে না সে বলে দুপুরে খাবার খেয়ে যেতেই হবে। তারপর অনেকক্ষণ বদলে পড়ে না বলে আমি দুপুরে খাওয়ার পরে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করি।
আমি দুপুরে খাবার খেয়ে আবার গিয়ে খালা কে বলে বাসা থেকে বের হয়ে যাই।বের হয়ে আমি হেঁটে চলে আসি নতুল্লাবাদ, সেখানে বসে অনেক ঘুরাঘুরি করার পর একটি গাড়িতে উঠে বসি যেটি ছিল রুপাতলির গাড়ি ,আর আমারও যাওয়া লাগবে রুপাতলী, আর নতুল্লাবাদ থেকে রুপাতলির ভাড়া ২০ টাকা, গাড়ির ভিতরে অনেকক্ষণ বসে থাকার পরে গাড়ি ফুল হয় তারপর গাড়ি ছাড়ে দেয়, দশ মিনিট পর আপনার রুপোরই পৌঁছে যাই, কিন্তু সেখানে গিয়ে আমার চোখ কপালে উঠে যায় কারণ সেখানে গিয়ে দেখি ১৫ আগস্ট এর অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে যেখানে বাস কাউন্টার বসে, ১৫ আগস্ট এর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ফলে বাস কাউন্টার গুলো বন্ধ ছিল। তাই আমি অনেকটা হতাশ হয়ে একটি ফ্লাক্সিলোটির দোকানে চলে যাই কারণ ফোন করে আমাকে জানাতে হবে বিষয়টা। তারপর আমি ফোনে টাকা ভরে আমার খালাকে জানানোর পরে আমার খালা বলে বাসায় চলে আসতে। তাই আমিও চিনতে পারি বাসায় চলে যাওয়া উচিত কারণ বাড়িতে যাওয়ার তো কোনো ওয়ে নেই।
বাসায় যাওয়ার আগে আমি একটি হেডফোন কিনার পরিকল্পনা করি, আর আমি অনেক ঘোরাঘুরি করে একটু দোকানে গিয়ে হেড কোন পছন্দ করি ,আর হেডফোনটি আমি নেই, হেডফোনটির দাম ছিল ১০০ টাকা, তারপরে আমি ১০০০ টাকার নোট একটি নোট দিয়ে বলে এটা দিয়ে রাখেন আমার কাছে ভাঙতে নেই, তারপরে সে আবার ভাংতি করতে অন্য দোকানে যায় কারণ তার কাছেও ভাঙতি টাকা ছিল না। তারপর সে ইনি আমাকে এক হাজার টাকায় দেয় তারপর আমি তাকে ১০০ টাকা দিয়ে সেখান থেকে চলে আসি। এসে আমি নতুল্লাবাদ এর একটি অটোতে উঠে আবার নতুল্লাবাদ আসি।
নতুল্লাবাদ এসে আমি বরিশাল ডায়গনস্টিক সেন্টার এর সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়াই। কারণ সেখান থেকে আমি রিক্সা নিয়ে বাসায় যাব। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটু আসি, আর তাকে ভালো জিজ্ঞেস করার পর সে ৪০ টাকা বলে, আমি বলি কাকা এখান থেকে ৩০ টাকা ভাড়া, তারপর সেও রাজি হয় আর আমি বাসায় চলে এসেছি। এভাবে আমি চলে যাব আমার বাসায় যেতে পারিনি।
তো বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই আশা করি সবার এই পোস্ট টি ভালো লাগবে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।