আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ।
আমাদের গ্রাম।
Sorsce
আমাদের গ্রামের নাম পূর্ব খুকশিয়া। এটা সিরাজগঞ্জ জেলার, কাজিপুর থানার, গান্দাইল ইউনিয়ন এর অন্তর্ভুক্ত যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এই পূর্ব খুকশিয়া গ্রাম। আমাদের গ্রাম টি অনেক বড় ছিল। আমাদের গ্রামে ছিল স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাট, মাঠ, ঘাট ইত্যাদি। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও বাস্তব সত্য এই যে আমাদের গ্রাম টি যমুনা নদীর কবলে পরে ভেঙ্গে ভেঙ্গে অনেক ছোট হয়েছে। যেখানে বসবাস করত প্রায় দশ হাজার লোক। কখন নদী ভাঙ্গার পরে গ্রামের লোক সংখা এসে দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই হাজারে। আমাদের গ্রামের প্রায় আট হাজার লোক হারিয়েছে তাদের ঘর- ভিটা, সম্পদ, মাঠ- ঘাট, ফসলের মাঠ, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি। আমাদের গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা নদী। এই নদীর প্রবল ভাঙ্গনে রক্ষা পাইনি কেউ। তাই তো আমাদের গ্রামের ভাঙ্গন রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড এখন যথেষ্ট অবদান রেখেছেন। তা হল জয় বাধ নামে একটা বাধ স্থাপন করেছেন। এর পর আমাদের নদীর পার দিয়ে অনেক কাজ করা হয়েছে। আমাদের গ্রামের নদী এখন আগের মত ভাঙ্গন দেখা যায় না। আর নদী না ভাঙ্গার কারনে হচ্ছে বড় বড় স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাট, বাজার ইত্যাদি। আমাদের গ্রাম দেখতে অনেক সুন্দর। সবুজ শ্যামল শস্য ভরা মাঠ এটা যেন প্রকৃতির একটা অদ্ভুত দান। আমাদের গ্রামে শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল ধরনের মানুষ আছে। তবে শিক্ষিত মানুষ এর সংখা অনেক বেশি। তাদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষক আবার অনেকেই ব্যবসায়ী আবার অনেকেই গার্মেন্টস ফাক্টরির মালিক। আমাদের গ্রাম টি কৃষি প্রধান। অনেকেই কৃষি কাজ করে ফষল উৎপাদন করে। আর এই ফষল দেশ বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেন। আমাদের গ্রামের ফসলের জমি অনেক উর্বর, কারন আমাদের গ্রামের ফসলের জমিগুলোতে বছরে প্রায় তিন চার মাস বন্যা থাকে। আর এই পানি অনেক ঘোলা হয়, যার কারনে ফসলের জমি গুলোতে পলি মাটি পরে। আর এই জন্য জমিগুলো অনেক উর্বর হয়। ফসলের দিকে লক্ষ্য করলে অনেক ভাল লাগে। কিন্তু অন্য দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় বন্যায় কবলিত হয় অনেক ঘর বাড়ি। আর ঘর বাড়িগুলো অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সব দিকে বিবেচনা করলে দেখা যায় আমাদের গ্রামটি অনেক সুন্দর-----।