Why Mamar Hotel is everyone's favorite.

in blurt •  5 months ago 

IMG_20240803_183047_579.jpg

Delicious food at a low price, sincere hospitality of the hotel staff and clean environment – ​​the combination of these three has made Mama Hotel another name of trust and love among the young university students.

If the list of students' favorite food places around Dhaka University campus is made, the name of Mama Hotel will be at the very beginning.

Inside the campus, Daksu, cafeteria of TSC, own canteens of various faculties, different types of rice and biryani shops in Chankharpool across the Curzon, Mama Hotel located in Gausul Azam Market in Neelkhet has occupied a unique place in the minds of the students of Dhaka University.

Delicious food at low prices, sincere hospitality of the hotel staff and clean environment – ​​the combination of these three has made Mama Hotel another name of trust and love for the young university students.

Locating Mama Hotel is very easy. Gausul Azam Market is just opposite Neelkhet Government Primary School and Neelkhet High School if you pass Dhaka University's Mukti and Democracy Arch and go to the right. If you go a little further along the street on the right side of that market, you will see the signboard of Mama Hotel. When you climb the stairs to the second floor, you will find that the entire hotel is bustling with foodies. Along with that, the atmosphere is filled with the smell of food

কম দামে মুখরোচক খাবার, হোটেলের কর্মচারীদের আন্তরিক ব্যবহার আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ – এই তিনের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে মামা হোটেল হয়ে উঠেছে আস্থা ও ভালোবাসার অপর নাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশে শিক্ষার্থীদের প্রিয় খাবারের জায়গার তালিকা যদি করা হয়, একদম শুরুর দিকেই থাকবে মামা হোটেলের নাম।

ক্যাম্পাসের ভেতরেই বিভিন্ন হলসহ ডাকসু, টিএসসির ক্যাফেটেরিয়া, বিভিন্ন অনুষদের নিজস্ব ক্যান্টিন, কার্জন পেরিয়ে চাঁনখারপুলে নানা ধরনের ভাত ও বিরিয়ানির দোকানের সমাহার সত্ত্বেও, নীলক্ষেতের গাউসুল আজম মার্কেটে অবস্থিত মামা হোটেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে দখল করে নিয়েছে স্বতন্ত্র স্থান।

কম দামে মুখরোচক খাবার, হোটেলের কর্মচারীদের আন্তরিক ব্যবহার আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ – এই তিনের সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে মামা হোটেল হয়ে উঠেছে আস্থা ও ভালোবাসার অপর নাম।

IMG_20240803_183035_637.jpg

A fairly medium-sized hall-like dining room. Six people are seated at one table each. About 60 people are accommodated together. The hotel is naturally very crowded during the 'peak hours' of lunch and dinner. As a result, it is rare to get a seat on entry. You have to wait like a bird, when a table will be empty.

But if you can wait patiently for a while, you will get the table. And as soon as you sit at the table, the hotel staff will welcome you by serving chili bharta, dal bharta, vegetables and thin dal. Seeing and smelling these foods is sure to make the hunger pangs in your stomach grow stronger.

মোটামুটি মাঝারি মাপের হলরুমের মতো ঘরে খাওয়ার ব্যবস্থা। ছয় জন বসার ব্যবস্থা এক-একটি টেবিলে। একসঙ্গে ৬০ জনের মতো স্থান সঙ্কুলান হয়। লাঞ্চ ও ডিনারের 'পিক আওয়ারে' স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড ভিড় থাকে হোটেলে। ফলে ঢোকামাত্রই বসার জায়গা পাওয়া বিরল ব্যাপার। চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করতে হয়, কখন খালি হবে কোনো টেবিল।

IMG_20240803_183003_360.jpg

The interior of Mama Hotel

We didn't want these!" Matiur Rahman, who has been working at the hotel for almost 20 years, says fearlessly, "These items are complimentary with whatever food the customers order." That is, you don't have to pay extra for them.

Be it polao, biryani or tehari, the main attraction of Mama Hotel is the variety of fish and meat with white rice. Their prices are also very affordable. Rice 10 rupees per plate. Besides, duck meat 120 taka, laitta fry 120 taka, chicken jhal fry 100 taka, khasi or cow brain roast 120 taka, roe fish 100 taka, roe fish egg 100 taka, boal fish 120 taka, shoal fish 120 taka, shrimp 150 taka, Pigeon meat 150 taka, Rupchanda fish 150 taka, Quail meat 100 taka. All in all, 18-19 positions are cooked even if reduced daily. Buyers have the option of taking any position 'Unlimited' quantity.

মামা হোটেলের ভেতরের পরিবেশ

এসব তো আমরা চাইনি!" বলতে হোটেলে প্রায় ২০ বছর ধরে কর্মরত মতিউর রহমান নির্ভয় দিয়ে বলেন, "কাস্টমাররা যে খাবারই অর্ডার দেন না কেন, সেগুলোর সঙ্গে এই আইটেমগুলো কমপ্লিমেন্টারি।" অর্থাৎ, এগুলোর জন্য বাড়তি টাকা গুনতে হবে না আপনাকে।

পোলাও, বিরিয়ানি বা তেহারি পাওয়া না যাক, সাদা ভাতের সঙ্গে নানা পদের মাছ-মাংসই মামা হোটেলের প্রধান আকর্ষণ। সেগুলোর দামও একদমই হাতের নাগালে। ভাত প্রতি প্লেট ১০ টাকা। এছাড়া হাঁসের মাংস ১২০ টাকা, লইট্টা ফ্রাই ১২০ টাকা, মুরগির ঝাল ফ্রাই ১০০ টাকা, খাসি বা গরুর মগজ ভুনা ১২০ টাকা, রুই মাছ ১০০ টাকা, রুই মাছের ডিম ১০০ টাকা, বোয়াল মাছ ১২০ টাকা, শোল মাছ ১২০ টাকা, চিংড়ি ১৫০ টাকা, কবুতরের মাংস ১৫০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১৫০ টাকা, কোয়েলের মাংস ১০০ টাকা। সব মিলিয়ে রোজ কম করে হলেও ১৮-১৯ পদের রান্না হয়। ক্রেতাদের সামনে রয়েছে যেকোনো পদ 'আনলিমিটেড' পরিমাণে নেওয়ার সুযোগ।

IMG_20240803_183007_634.jpg

The hotel is crowded from 11:30 AM to 11:30 PM. However, many people appeared with hunger in their stomachs even at midnight. Mama Hotel does not disappoint any of them.

From university teachers to customers of all classes and professions, the store employees treat them like friends. Matiur said, "We have a total of 18 employees. Two of them are cooks and two waiters. Most of the customers are DU, DMEC and BUET students."

Irwin Ahmed, a student of Dhaka University who came to eat at Mama Hotel, said, "I come here to get rid of the monotonous food in the hall. The price of the food here is also lower than other hotels in the vicinity. Their khasir brain roast is my favorite item."

Irwin said that the variety of foods that are low in price means that he likes them the most.

Meanwhile, another student of Dhaka Medical College prefers the clean environment of Mama Hotel. He said, "There are many food shops in front and behind our medical college. Besides, Chankharpool is very close. However, I come to Mama Hotel with my friends because the environment here is good."

সকাল সাড়ে এগারটা থেকে রাত সাড়ে এগারটা পর্যন্ত হোটেলে লেগে থাকে জনসমাগম। তবে রাত বারোটা-একটার সময়েও পেটে খিদে নিয়ে হাজির হন অনেকে। মামা হোটেল হতাশ করে না তাদের কাউকেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার ক্রেতাদের সঙ্গেই বন্ধুর মতো আচরণ করেন দোকানের কর্মচারীরা। মতিউর জানান, "আমরা মোট ১৮ জন কর্মচারী আছি। এদের মধ্যে দুজন বাবুর্চি আর দুজন বুয়া। কাস্টমারদের মধ্যে বেশিরভাগ ঢাবি, ঢামেক আর বুয়েটের শিক্ষার্থীই থাকেন।"

মামা হোটেলে খেতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরউইন আহমেদ বলেন, "হলের একঘেয়ে খাবার থেকে মুক্তি পেতেই এখানে আসি। আশপাশের অন্যান্য হোটেল থেকে এখানে খাবারের দামটাও কম। এদের খাসির মগজ ভুনা আমার প্রিয় আইটেম।"

দামে কম মানে ভালো বিচিত্র ধরনের খাবারগুলোই তার সবচেয়ে পছন্দের বলে জানান আরউইন।

IMG_20240803_183011_037.jpg

In addition to students, people from various professions including Neelkhet and the surrounding area gather at Mama Hotel. Sohail, an employee of a bookstore in Neelkhet, is like that.

He said, "If I don't bring food from home in the afternoon, this hotel's food is my only hope. You can eat as many items as you want with rice and the price is not too high."

He also leaked the 'secret information' that the price can be reduced by bargaining while paying the bill after the meal.

By now, the question must have arisen in your mind, why is this hotel called Mama Hotel? To get the answer to that question, first you need to know the story of a cook named Kashim Uddin. Mama Hotel was founded by this man.

Kashim Uddin from Savar used to sell food at various places including Caravan Bazaar, ICMA canteen before independence. After independence, he started selling khichuri on the road in front of Martyr Sergeant Zahurul Haque Hall of Dhaka University. Then he came to the street in front of Gausul Azam Market. That was 32 years ago. While staying here, he was known as 'Mama' to the students of Dhaka University. And everyone started calling his hotel as 'Mama Hotel'.

Since 1999, Mama Hotel has been based at its present address on the second floor of Gausul Azam Market. With the passage of time its fame and recognition has not diminished but has steadily increased.

শিক্ষার্থী ছাড়াও নীলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকার আরও বিভিন্ন পেশার মানুষেরই সমাগম ঘটে মামা হোটেলে। সেরকমই একজন নীলক্ষেতের একটি বইয়ের দোকানের কর্মচারী সোহেল।

তিনি বলেন, "দুপুরে বাসা থেকে খাবার না আনলে এই হোটেলের খাবারই আমার একমাত্র ভরসা। ভাতের সাথে ইচ্ছামতো নানা আইটেম নিয়ে পেট ভরে খাওয়া যায় আবার দামটাও খুব বেশি না।"

খাবার শেষে বিল দেওয়ার সময় দরাদরি করে দাম কিছুটা কমানো যায়, এমন 'গোপন তথ্য'ও ফাঁস করেন তিনি।

এতক্ষণে নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে, এ হোটেলের নাম মামা হোটেল কেন? সেই প্রশ্নের জবাব পেতে হলে, আগে জানতে হবে কছিম উদ্দিন নামের এক বাবুর্চির কাহিনি। এই মানুষটির হাত ধরেই যে গোড়াপত্তন মামা হোটেলের।

IMG_20240803_183014_643.jpg

Kashim Uddin died seven years ago, in 2014. Since then, his three sons - Aslam Uddin Raju, Taijul Islam Saju and Hriday Hossain Rana took charge of the hotel. However, although the three brothers are responsible for hotel management, their mother Asma Begum also has some contribution. Once he used to help his late husband in the market of the hotel. He has maintained that habit even today. He still keeps track of the hotel's bazaar-saadi when he meets at bat-ball.

Talked to Hriday Hossain Rana, one of the owners and managers of the hotel. He gave a rough idea about the sales of the hotel. "Every day it sells up to Tk 10-15 thousand depending on the crowd. If there is a festival like Pahela Boishakh, it is sold as much as Tk 25-30 thousand."

Right next to the Mama Hotel, many more food hotels have been built in the last few decades in the book market of Neelkhet. Still, the popularity of Mama Hotel has not waned. The proof is from the overflowing crowd seen in the hotel during lunch and dinner time.
When asked what is the secret of the hotel's popularity, Rana said candidly, "We three brothers have not let any decrease in the system of entertaining the customers started by my father. Our uncle spread the reputation of the hotel through the word of mouth of the customers."

সাত বছর আগে, ২০১৪ সালে কছিম উদ্দিন মারা যান। সেই থেকে হোটেলের দেখাশোনার দায়িত্ব নেন তার তিন ছেলে - আসলাম উদ্দিন রাজু, তাইজুল ইসলাম সাজু ও হৃদয় হোসেন রানা। তবে তিন ভাই মিলে হোটেল ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করলেও, কিঞ্চিৎ অবদান রয়েছে তাদের মা আসমা বেগমেরও। একসময় হোটেলের বাজার-সদাইয়ে প্রয়াত স্বামীকে সাহায্য করতেন তিনি। সেই অভ্যাস বজায় রেখেছেন আজও। ব্যাটে-বলে মিললে এখনও হোটেলের বাজার-সদাইয়ের খোঁজখবর রাখেন তিনি।

মামা হোটেলের ঠিক পাশে তো বটেই, এছাড়া নীলক্ষেতের বইয়ের বাজারেও গত কয়েক দশকে গড়ে উঠেছে আরও অসংখ্য খাবার হোটেল। তারপরও ভাটা পড়েনি মামা হোটেলের জনপ্রিয়তায়। দুপুর ও রাতে খাবার সময়ে হোটেলে দেখা যাওয়া উপচে পড়া ভিড় থেকেই মেলে সেই প্রমাণ।

IMG_20240803_183027_644.jpg

However, like all other businesses, Mama Hotel has also faced losses during the Corona period. Talked about that with Rana.

"There was a lot of loss due to being closed for so long since the beginning of Corona. Even though the hotel opened from July this year, I did not get many customers because the university was closed for so long. The customer has been increasing since the university opened."

However, Rana does not know how long he will be able to completely overcome the damage caused by the corona virus.

However, whatever the loss, neither Rana nor his brothers have any plans to take over the ancestral business in the near future. They are so confident about their 'brand value' that they are thinking of business expansion now.

"We are going to open our new branch in Chankharpool very soon. We want to go further by maintaining the reputation of Mama Hotel."

তবে করোনাকালে অন্য সব ব্যবসার মতো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে মামা হোটেলকেও। সে প্রসঙ্গেও কথা হয় রানার সঙ্গে।

"করোনার শুরু থেকে এতদিন বন্ধ থাকায় অনেক লস হয়ে গেল। এ বছর জুলাই থেকে হোটেল খুললেও এতদিন ভার্সিটি বন্ধ থাকায় তেমন কাস্টমার পাইনি। ভার্সিটি খোলার পর থেকে কাস্টমার বাড়ছে।"

তবে কতদিনে করোনাকালের ক্ষতি পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারবেন, জানেন না রানা।

অবশ্য যত ক্ষতিই হোক, অদূর ভবিষ্যতে পৈতৃক ব্যবসায় পাততাড়ি গোটানোর কোনো পরিকল্পনা নেই রানা বা তার ভাইদের। নিজেদের 'ব্র্যান্ড ভ্যালু' সম্পর্কে এতটাই আত্মবিশ্বাসী তারা যে, ব্যবসা সম্প্রসারণের চিন্তাভাবনাও করছেন এখন।

"খুব তাড়াতাড়িই চাঁনখারপুলে আমাদের নতুন শাখা খোলার কথা চলছে। মামা হোটেলের সুনাম বজায় রেখে আরো এগিয়ে যেতে চাই আমরা।"

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!