ডুবেছে সিলেট শহর ও বিমানবন্দর, ঘরে ঘরে কোমরপানি।

in blurt •  2 years ago 

ASSALAMUALIKUM OA
ROHMATULL

Hello..!!
My Dear Blurt,
I am @ranna001 from Bangladesh

আসসালামু আলাইকুম আসা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও ভালো আছি। আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো ডুবেছে সিলেট শহর ও বিমানবন্দর, ঘরে ঘরে কোমরপানি।

ডুবেছে সিলেট শহর ও বিমানবন্দর, ঘরে ঘরে কোমরপানি।

prothomalo-bangla_2022-06_1a9ee609-a233-4184-803c-4628474c72cf_Sylhet_flood_01.jpeg

source

প্রথম দফা বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্ভোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দ্বিতীয় দফার বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সিলেট অঞ্চল। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হুহু করে বাড়ছে পানি। প্লাবিত হয়েছে সিলেট নগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা। শহরতলিতে অবস্থিত এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছাকাছি পানি চলে আসায় গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস, পরীক্ষা ২৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

সিলেটের অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক ডুবে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও বিদ্যুতের খুঁটি তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলার প্রায় দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।

সিলেট শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় অধিকাংশ বাড়িঘরে কোমর থেকে গলাসমান পানি দেখা গেছে। কেউ কেউ ঘরের চালা কিংবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। নৌকার অভাবে তাঁরা নিরাপদ স্থানে সরেও যেতে পারছেন না। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।

গত ১৪ মে থেকে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। চলতি মৌসুমে প্রথম দফার সে বন্যার স্থায়িত্ব ছিল দুই সপ্তাহ। এতে জেলায় প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছিল। তবে এবার দুর্ভোগের চিত্র এবং ক্ষয়ক্ষতি অবর্ণনীয়। পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারে গতকাল জেলার কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় সেনাবাহিনী পৌঁছেছে। তবে পর্যাপ্ত জলযান না পাওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মুহম্মদ মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে জানান।

গতকাল সরেজমিন দেখা গেছে, গ্রামের পর গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে। কোথাও হাঁটুপানি আবার কোথাও কোমরসমান। মাচা বানিয়ে কোনো রকমে ঘরের ভেতরে লোকজন আছেন। কেউ কেউ নৌকায় করে বা সাঁতরে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন। নৌকার অভাবে অনেকে ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না। পানিতে চুলা তলিয়ে যাওয়ায় অধিকাংশ ঘরেই রান্নাবান্না বন্ধ।

সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কে বইছে ঢলের পানি। গবাদীপশু নিয়ে নিরাপদ স্থানে দিকে যাচ্ছেন মানুষজন। মিত্রীমহল এলাকা, গোয়াইনঘাটসিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কে বইছে ঢলের পানি। গবাদীপশু নিয়ে নিরাপদ স্থানে দিকে যাচ্ছেন মানুষজন। মিত্রীমহল এলাকা, গোয়াইনঘাট
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। যাঁদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে, তাঁদের আশ্রয়কেন্দ্রে কিংবা অন্য নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হচ্ছে। খাদ্যসংকট দূর করতে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যার পানিতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে সেনাবাহিনী কাজ করবে।

বানভাসি কিছু মানুষ জানান, জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সবচেয়ে বেশি বন্যাকবলিত। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া অনেকের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা কোনো খাবার পাননি।
source

Thanks for reading my post.
@ranna001

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!