গুই সাপ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার দ্বীপ অঞ্চলে দেশে দেখা যায় এছাড়াও বাংলাদেশ ভারত ও মায়ানমার এবং চীন দেশেও এর প্রাণীর দেখা মেলে। চীন দেশে এগুলো দোকানে দোকানে বিক্রি হয় চীন দেশের মানুষ এগুলো খুব মজা করেই খেয়ে থাকেন।
গুই সাপ আদেও কোন সাপ নয় এটি একটি টিকটিকি প্রজাতির টিকটিকি দেখতে আকারে অনেক ছোট কিন্তু গুইসাপ দেখতে অনেক বড় বড় এগুলো অনেকটা ইন্দোনেশিয়ার কমোডো ড্রাগন মত লাগে।
IMG_20240930_180939.jpg
গুই সাপ বিভিন্ন প্রজাতের হয়ে থাকেন তবে আমি যেগুলো ছবি আপনাদের কাছে শেয়ার করছি এগুলো আকারে ছোট হয় ৮ থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত এক একটার ওজন হয়ে থাকে যেগুলো পাহাড় এলাকায় অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি পাহাড়ের আশেপাশে বেশি দেখা নাই কমোডো ড্রাগনের ওজন হয়ে থাকে ৮০ থেকে ৯০ কিলো পর্যন্ত বিশাল দেহের এই কমোডো ড্রাগন নিমেষে একটি মানুষকে আস্ত গিলে খেতে পারে। ঠিক তেমনি বড় ধরনের গুইসাপ হাঁস মুরগির বাচ্চা গিলে খাই।
IMG_20240930_180903.jpg
আমি যেগুলোর ছবি আপনাদের কাছে শেয়ার করছি এই ছবিগুলো আমি সংগ্রহ করছি আমাদের কোম্পানি থেকে কয়েকদিন আগে বিকাল আনুমানিক ছয়টার সময় প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হয় বৃষ্টির কারণে কোথা থেকে যেন বেরিয়ে পড়ে এই গুই সাপটি প্রথমে তো আমি দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
IMG_20240930_180915.jpg
এই প্রাণীটি অনেক দ্রুত দৌড়াতে পারে আমার দাদীর মুখে শুনছি যে এই সাপ যখন কারোর কামড় দেয় যতক্ষণ মেঘ না ডাকে ততক্ষণ ছাড়ে না আর এইসব কামড়ানোর পরে নাকি এইসপের আগে পানিতে সাতটি ডুব দিতে হবে তা না হলে সে মারা যাবে এর বাস্তবতা আমি জানিনা। লোকমুখে সোনা গল্প কথায় আছে সোনা গল্পে কান দিতে নাই তবে অনেক সময় এই গল্পগুলো আবার বাস্তবে প্রমাণিত হয়।
IMG_20240930_180924.jpg
নিজের মনে অনেক সাহস নিয়েই কিছুটা দূর থেকে ক্যামেরা জুম করেই ছবিগুলো উঠেয়েছি এমনকি একটি ভিডিও করেছি পরবর্তীতে আমাদের কোম্পানির গ্রুপে সেগুলো দিয়েছি সবাই দেখে তো ভয় পেয়ে গিয়েছে এত বড় গুইসাপ আগে কখনোই দেখিনি সবাই বলছে। আমার মনে হয় এই সাপটি খাবারে তাগিদে বাহিরে বেরিয়ে আসছে।
আমি এটা বিশ্বাস করি যে কোন প্রাণীর গাই আপনি যদি আগে আঘাত না করে তাহলে সে আপনাকে কখনোই ক্ষতি করবে না এই বিশ্বাস নিয়ে একটু কাছে গিয়েপই দুইটা ছবি উঠিয়েছি।