সুখ যেমন কেনা যায় না, তেমনি এটা কেউ চুরিও করতে পারে না। সুখ মনোদৈহিক ব্যাপার। সুখ যতটা না মাথা বা জ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত; তার চেয়ে বেশি হৃদয় বা ভালোবাসার সাথে সম্পর্কিত।এ বিষয়টি কে, কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে নিচ্ছে; তা গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা শুধু আশা করে বসে থাকব না, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত কাজে লেগে যাব।এরপর প্রাপ্তি যাই হোক, তাকে মেনে নিব।এভাবে সহজেই সুখী হওয়া যায়।পুরো কাজের মাঝেই সুখের সন্ধান করতে হয়।শুধু ফলাফলের উপর সুখ নির্ভর করে না।সবসময় নিজেকে ভালোবাসতে হবে।
প্রতিটি মানুষই আলাদা।আমার চাওয়াটা আমাকেই নির্ধারণ করতে হবে।প্রতিদিন কিছু সময় নিজের সাথে কথা বলতে শিখতে হবে। সুখ ভিতরের বিষয়।মন খুলে হাসুন।প্রতিদিন ভালোকিছু অন্যকে উপহার দিন।অতীত ভুলে যান।ভবিষ্যৎ আমরা কেউ জানি না।আমরা বাস করি বর্তমানে।তাই প্রতিদিনকে উপভোগ করব।
কোনো বিষয়কে অতিজরুরী মনে করতে নেই। মানসিক চাপ বাড়িয়ে লাভ কী?নিজেকে অন্যের সাথে কখনোই তুলনা করব না।জীবনটা মহান স্রষ্টার দেয়া সবচেয়ে বড় উপহার।আমরা সাদরে এ উপহার গ্রহণ করব।কখনোই বিরক্ত হব না। সময় এবং প্রাণশক্তিকে বেহুদা গল্প করে নষ্ট করতে নেই।গাধার মতো শুধু খাটব না।বরং জীবনকে উপভোগ করব।
mom-7920579_1280.jpg
Pixabay
একমাত্র মানুষই জীবনকে উপভোগ করে।অন্য প্রাণীরা তা পারে না।এমন কিছু করতে নেই, যাতে কোনো আনন্দ নেই।অনেকেই বলে মানুষ ক্যারিয়ার কে উপভোগ করে; অথচ চাকরিকে বোঝা মনে করে।সে-ই বুদ্ধিমান, যে এমন চাকরি করে; যা তার ক্যারিয়ার বা পেশা।
ধর্মবিহীন বিজ্ঞান, মানুষের মানবিক উপকারে আসে না।অথচ পূর্বে মানুষ ভাবত, ধর্ম ও বিজ্ঞান পাশাপাশি চলতে পারে না।স্রষ্টার সাথে সম্পর্কহীন আত্মা অসুখী, অশান্ত।ইবাদত করতে হবে এবং তা হতে হবে শুধুমাত্র স্রষ্টার উদ্দেশ্যে।পরিমিত খাব,প্রচুর পরিমাণে পান করব।
adult-3086304_1280.jpg
Pixabay
ঋণাত্মক চিন্তা ধ্বংসাত্মক।অন্যেরা আমাকে নিয়ে কী ভাবে? এতে কিছু যায় আসে না। নিজেকে নিজেই নতুনভাবে আবিষ্কার করুন। অন্যদের উপকার করুন।সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।আরও নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী হোন, কারণ এটাই মানবতা।অন্যের ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ভাবাভাবির কিছু নেই।আমাদের কর্ম ও চাওয়া সীমার মধ্যে থাকতে হবে।কারো সময় যতই খারাপ যাক না কেন, ওটা চিরস্থায়ী নয়।
সুসময় সামনে অপেক্ষমাণ।সময়ের সাথে সাথে সব ঘাঁ শুকিয়ে যায়।এজন্যই ধৈর্য্য হচ্ছে উৎকৃষ্ট গুণ। সত্যিকারের স্বপ্ন, জেগেই দেখতে হয়। ঘুমিয়ে যা দেখা হয়, তা দুঃস্বপ্ন।আসল স্বপ্ন আপনাকে ঘুমাতে দিবে না।জীবন হচ্ছে সময়ের একটা বাগান।সময়কে কোনোভাবে নষ্ট করতে নেই।তবে জীবনের জন্য পরিপূর্ণ সুখ অত্যাবশ্যক।প্রতিদিনের ২৪ ঘণ্টায় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরী।
আমরা ১৫টি জিনিষ ক্রয় করতে পারি না। সময়, সুখ, শান্তি, সততা, ভালোবাসা, চরিত্র, ভদ্রতা, স্বাস্থ্য, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, ধৈর্য্য, বিবেক, শ্রেণি, সাধারণ জ্ঞান, অবস্থান।
flower-field-8782368_1280.jpg
Pixabay
সুখ ঊর্ধ্বমুখী আর দুঃখ নিম্নমুখী।জীবন একটি বৃক্ষ।যার শাখা, ডালপালা, ফুল, ফল, পাতা-সব সুখ।আর যার শেকড় হলো দুঃখ, যা দেখা যায় না। প্রোথিত থাকে মাটির ভিতর।দুঃখ লুকিয়ে রাখার বিষয়।জীবনে দুটোরই দরকার আছে। তবে এ দুটোর মাঝে সমতা বজায় রাখা হলো সফলতা আর সফল মানুষরা তা পারে। অন্যদিকে ব্যর্থরা ভুল করে এবং কষ্ট পায়।সুখ নিয়ে আমার বক্তব্য একটাই।এই ধারণাকে ই আমি বিশ্বাস করি যে,