আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
প্রথমেই সবাইকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। সবার নতুন বছরে যেন খুব সুন্দর ভাবে কাটে।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠি অনেক তাড়াতাড়ি। ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আর কিছু খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি থেকে বের হই। বাড়ি থেকে বের হই ৯:৩০ এর দিকে। অল্প কিছুদূর হাঁটার পরে একটা গাড়ি পেয়ে যাই সেই গাড়িতে করে সোজা কলেজের দিকে চলে যাই। কলেজের একটু সামনে নেমে গাড়িওয়ালা কে তার ভালো টাকা পরিশোধ করে কলেজের দিকে চলে যাই।
তারপর কলেজে গিয়ে দেখি বেশ অনেক মানুষজন আজ এসেছে কলেজে। বেশ ভালো লাগে অনেক বন্ধুদের সাথে দেখা হয় তাই। সবার সাথে বেশ অনেকটা সময় কলেজের মধ্যে আড্ডা দেই। বেশ অনেকটা সময় সবার সাথে এদিক ওদিক হাটাহাটি করে আড্ডা দিতে দিতে খুব সুন্দর একটা সময় কেটে যায়।
তারপর হুট করি আমাকে আমার মামায় কল দেয়। বলেন এখন বরিশাল যেতে হবে তোমার রক্ত দিতে হবে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারপর আমি কিছুক্ষণ ভাবনা চিন্তা করে বললাম আচ্ছা আমি যাচ্ছি। তারপর কলেজ থেকে বেরিয়ে একটা বাসে উঠে পড়ি। সোজা বরিশাল যাওয়ার টিকিট কেটে নেই। বেশ অনেকটা সময় লাগে আমার বরিশাল গিয়ে পৌছাতে।
তারপর আমি সোজা যে হসপিটালে আমার রক্ত দিতে হবে সেই হসপিটাল চলে যায় বাস থেকে নেমে। তারপর সেখানে গিয়ে আমি তাদের সাথে দেখা করি। তারপর পানি ও বিভিন্ন কিছু খাওয়া-দাওয়া করে নেই। তারপর চলে যাই হসপিটালের মধ্যে রক্ত দেওয়ার জন্য। প্রথমে তারা আমার অল্প একটু রক্ত নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে। বেশ অনেকটা সময় লেগে যায় তাদের এই পর্যবেক্ষণ করায়।
তাই হসপিটাল থেকে বেরিয়ে বাহিরে এসে যার স্ত্রীকে রক্ত দিব সে আর আমি খাওয়া-দাওয়া করি। তো আমাদের রক্ত দিতে ৩:৪০ সেখানে যেতে বলে। তো তাই আমরা বাইরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আসি। এসে কিছুক্ষণ বসে থাকি হসপিটাল এর মধ্যে। তারপর ৩:৪০ এর সময় চলে যাই রক্ত দিতে। আমি এই প্রথম রক্ত দিচ্ছি এর আগে কখনোই রক্ত দেই নেই। রক্ত দেওয়ার পরে হালকা একটু অসুস্থ হয়ে গেছিলাম আমি।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার সেই সব আগের মত হয়ে যায়। তারপর বাহিরে বেরিয়ে কিছু ডিম ও পানীয় জাতীয় কিছু খাবার খাই আমি। বেশ ভালো লাগে আমার রক্ত কারো জীবন বাঁচালো। আমার রক্ত যে নিয়েছে তার একটা অপারেশন হয়েছে। আল্লাহর রহমতে সে এখন সুস্থ আছে। তারপর তাদের সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে আমি বাড়ির দিকে রহনা হওয়ার জন্য হসপিটাল থেকে বের হই।
তারপর তাদেরকে বিদায় জানিয়ে আমি একটা গাড়িতে উঠে পড়ি। গাড়িতে উঠে বেশ অনেকটা সময় লাগে আমার বাড়িতে আসতে আসতে। তারপর বেশ অনেকটা সময় পরে আমি আমাদের শহরে চলে আসি। শহরে এসে আমি আমার এলাকার বন্ধুদের কল দেই। বলে একটু সামনে আসতে আমরা সবাই বাজার করতেছি তুই ও আয়। তারপর তাদের কাছে গিয়ে দেখি তারা সবাই মোটামুটি ভাবে সব বাজার করে ফেলেছে।
তো কিছুক্ষণ পরে সবাই সবকিছু নিয়ে গাড়িতে উঠে পড়ে । তারপর যে জায়গায় আমরা পিকনিক করবো সেই জায়গায় চলে আসি। আজকে নতুন বছরের প্রথম দিন উপলক্ষে আমরা সবাই ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান করতে ছিলাম। তার জন্য এই ছোট একটু বাজার করা। তো সব বাজার নিয়ে ব্যাডমিন্টন মাঠের কাছে চলে আসে। আমি সেখান থেকে বাড়িতে চলে যাই। বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে বাড়ি থেকে বের হই।
এসে দেখতে পাই কয়েকজন ব্যাডমিন্টন খেলতেছে। বেশ ভালো লাগে সবার সাথে আমিও একমাস ব্যাডমিন্টন খেলি। শরীরটা অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছে তাই আর বেশি ব্যাডমিন্টন খেলি না আজ। বেশ অনেকটা সময় তাদের খেলা দেখতে থাকি। বেশ ভালো লাগে তাদের খেলা দেখতেও আজ। কারণ খেলতে পারছি না তাই দেখা ছাড়া উপায় নাই। ভালো না লাগে কোথায় যাবে।
তারপর আমরা সবাই এক জায়গায় বসে পিকনিকের আনন্দ উপভোগ করি। সবাই মিলে বেশ অনেক আনন্দ করে খাওয়া-দাওয়া করি। খাবারও খুব সুন্দর রান্না হয়েছে। খেতেও বেশ অনেকটা মজা হয়েছে। সবাই মিলে বছরের শুরুতেই এমন একটা আয়োজন করলাম সেটা সবার কাছেই অনেক ভালো লাগলো। এভাবেই কেটে যায় আমার নতুন বছরের প্রথম দিন।
You shared a very nice post.