আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার কাটানো আজকের সকল কর্মকান্ড গুলো।
কাল রাতে লঞ্চে ঘুমিয়েছি সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠি ছয়টার দিকে। ঘুম থেকে সকাল বেলা উঠোনো হয় মানে ঢাকা সদরঘাট চলে এসেছি তার জন্য। তো ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি। এসে কিছুক্ষণ লঞ্চের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকে। লঞ্চ ঘাটে ভিরায় তারপর আমরা লঞ্চ থেকে নামি। লঞ্চ থেকে নেমে আমরা অল্প কিছুক্ষণ রাস্তায় হাঁটি।
মানে আমরা হাঁটতে হাঁটতে গাজীপুর যাওয়ার জন্য বাস স্ট্যান্ডে আসি। আমরা এসে সবাই বাসে উঠে পড়ি। বেশ অনেকটা সময় লাগে আমাদের গাজীপুর আসতে। তারপর বাসে থেকে নেমে একটা অটোতে উঠে পড়ি আমাদের গন্তব্য স্থানে যাওয়ার জন্য। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা সবাই সেখানে চলে আসি।
রাস্তায় উঠেই দেখতে পাই আমাদের নেওয়ার জন্য আমাদের দুই সহপাঠী দাঁড়িয়ে আছে। তারপর আমরা গাড়ি থেকে নেমে আগে একটা হোটেলে গিয়ে উঠি। তারপর সেখানে সরকারের নাস্তা করি। প্রচন্ড ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল সবার। তাই তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। তারপর সে দোকানের বিল পরিশোধ করে বায়ে বের হয়।
হোটেল থেকে বাইরে বেরিয়ে একটা কম্পিউটার দোকানে গিয়ে একটা সিভি কিনে নেই। তারপর আমার সহপাঠীরা যে রুমে থাকে সেই রুমে চলে যাই। সেখানে গিয়ে সিভিটাকে পূরণ করে নেই। অল্প কিছুক্ষণ রেস্ট নেই সেই রুমে বসে। অনেকটা পথ অতিক্রম করে এসেছি তাই অনেকটা ক্লান্ত লাগছে।
তারপর সেই সিভি নিয়ে চলে যাই কোম্পানির মধ্যে। সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আমাদের। আমাদের মত আরও অনেক মানুষ এসেছে এখানে। তো আমাদের নাম ও ঠিকানা ও ফোন নাম্বার এক জায়গায় লিখে নিচ্ছে। আর আমাদের সিভি জমা নিয়ে নিয়েছে।
🌸 দুপুর বেলা বিকাল বেলা 🌸
তারপর আমাদের ১২:০০ টার শিফটে কাজ করতে বসিয়ে দেয়। তো কাজ তেমন একটা কঠিন নয় তাই আমাদের একবার দেখিয়ে দেওয়াই আমরা সবাই পেরে যাই। খুব সুন্দরভাবে সবাই মিলে যে যার মত কাজ করতে থাকি। এইতো শুরু জীবন যুদ্ধ আমার। বেশ অনেকটা সময় এভাবেই কাজ করতে করতে কেটে যায়।
২:০০ টার দিকে আমাদের খাবার খেতে নিয়ে যায়। তো এই ফ্যাক্টরির মধ্যেই আমাদের খাবার খেতে একটা স্থানে নিয়ে যায়। তো আমরা সবাই সেখানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আসি। খাওয়া দাওয়া করে আবার চলে আসি সেই কাজের স্থান নেই। সেখানে এসে আবারো কাজ করতে বসে যাই। এভাবেই কেটে যায় আমার আজকের পুরো দিনটা।
পাঁচ টার দিকে আমার আজকের মত কাজ শেষ হয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা একটা অফিসে গিয়ে বসি। সেখানে বসে আমরা বেশ অনেকটা সময় স্যারে আমাদের সাথে কথাবার্তা বলে। তারপর আমাদের ফ্যাক্টরি রেট দিয়ে ঢোকার জন্য একটা টোকেন দেয়। কিছুদিন পরে আমাদের যদি একটা কার্ড বানিয়ে দেয়া হবে।
তারপর আমরা সেগুলো নিয়ে বাইরে বের হই। সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা একটা হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে নেই। সবারই মোটামুটি প্রথম দিন কাজ করে বেশ ভালো লাগলো। আমরা খাওয়া দাওয়া করি ও বেশ অনেকটা সময় সেখানে বসে কথাবার্তা বলি। বেশ ভালোই লাগলো প্রথম দিন এভাবে কাজ করতে।
তারপর সেখান থেকে আমরা চলে আসি আমাদের সহপাঠীর রুমে। সেখানে এসে আমরা আরেকটা স্থানে গিয়ে কিছু কাগজ জমা দেই ও আমাদের নাম এন্ট্রি করাই। আমাদের থাকার জন্য ও সেই জায়গায় খাওয়া-দাওয়া করার জন্য এইসব নেই। আমরা সবাই খুব সুন্দর ভাবে সেগুলো জমা দিয়ে দেই। তারপর আমাদের একটা রুম দেওয়া হয় কিছু বড় ভাইদের সাথে। সেখানে আমরা সবাই যে যার মত বিছানা গুছিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পড়ি।